আমেরিকান প্রশাসনিক কাজে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk)। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (President Donald Trump) ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) দায়িত্ব নিয়ে হাজারো প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ছাটাই করে চরম ক্ষোভের মুখে টেসলার কর্ণাধার। যার প্রভাব পড়ছে তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর। ‘টেসলা কিনবেন না’ এবং ‘ইলনকে দেউলিয়া করুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা পথে নামে আমেরিকাবাসীর একাংশ।
ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন, লন্ডনের নর্থ অ্যাকটন প্রতিবাদে সরগরম। আন্দোলনকারীদের দাবি, মাস্ক এখন শুধু একজন ব্যবসায়ী নন, বরং সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন।
সেই আবহেই বড় দাবি করলেন ইলন মাস্ক। মার্কিন ধনকুবের বলেন, একদিন মঙ্গলগ্রহও আমেরিকার অংশ হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমেরিকাতেই মরব। আর কোথাও আমি যাব না। আমি অবশ্য মঙ্গলগ্রহে যেতে পারি, তবে সেটা তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই একটা অংশ হবে। গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকির পরে এবার গ্রহ-গ্রহান্তরে হাত বাড়াচ্ছেন ট্রাম্প-মাস্ক। কবি-কথাকে একটু পাল্টে বলা যায় – কোথাও আমার দখল করার নেই মানা।’
উল্লেখ্য, মহাকাশে উপনিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছেন মাস্ক। মঙ্গলগ্রহ অভিযান নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, তাঁর সংস্থা SpaceX আগামী দু’বছরের মধ্যে মঙ্গল অভিযানে মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে। মঙ্গলের বুকে অবতরণ করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখাই লক্ষ্য এই অভিযানের। সব ঠিক থাকলে, এই অভিযানের পরই মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর কাজে হাত দেবে SpaceX.