দুধ উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আর বিপণনে আধুনিকতার ছোঁয়া—এই দুই লক্ষ্যে করেই বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। ‘বাংলার ডেয়ারি’-র (Banglar Diary) হাত ধরে হরিণঘাটা ও মাটিগাড়ায় তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক দুগ্ধপ্রক্রিয়াকরণ কারখানা। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, এই প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা। রাজ্যের কো-অপারেটিভ ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে হুগলির ডানকুনিতে ‘বাংলার ডেয়ারি’-র একমাত্র কারখানায় দৈনিক ১.২০ লক্ষ লিটার দুধ প্রক্রিয়াকরণ হয়। এবার দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে দুটি পৃথক পরিকাঠামো তৈরি হলে এই উৎপাদন ক্ষমতা তিন গুণেরও বেশি বাড়বে। হরিণঘাটায় দৈনিক ১.৫ লক্ষ লিটার এবং মাটিগাড়ায় ৫০ হাজার লিটার দুধ প্রক্রিয়াকরণ হবে। এর মধ্যে হরিণঘাটায় প্রথম পর্যায়ে উৎপাদন শুরু হবে জুন-জুলাই মাসে।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শুধু দুধ উৎপাদনই নয়, বাজারে আসবে দই, ঘি, ছানা, মিষ্টির মতো নানান দুধজাত পণ্যও। এর ফলে একদিকে যেমন রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, তেমনই উপভোক্তারাও পাবেন গুণমানসম্পন্ন পণ্য—সুরক্ষার নিশ্চয়তা সহ।
স্থানীয় কৃষকেরাও এই উদ্যোগে উপকৃত হবেন। সরবরাহের সুযোগ যেমন বাড়বে, তেমনই নিশ্চিত হবে ন্যায্য দাম ও সময়মতো পেমেন্ট। কৃষি বিপণন দফতর আশাবাদী, এই পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গের দুগ্ধ শিল্পে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গেলে ‘বাংলার ডেয়ারি’-কে শুধু উৎপাদন নয়, আধুনিক বিপণন কৌশলেও নজর দিতে হবে।