আশেপাশের সবাই জানতেন সেখানে তৈরি হয় খাবার থালা। আচমকাই সেখানে পুলিশে ছয়লাপ। কলকাতা পুলিশ, বিহার পুলিশের গাড়ির সাইরেন। রাতের অন্ধকারে চমকে ওঠেন এলাকার মানুষ। ঘটনা তাজ্জব সবাই। জানা গেল, সেই খাবার থালা তৈরির আড়ালে মাটির নীচে রয়েছে গোপন সুড়ঙ্গ। সেখানেই তৈরি হত ভয়ঙ্কর সব মারণাস্ত্র। পুলিশ উদ্ধার করল প্রচাুর আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। ঘটনায় দুজন গ্রেফতার। সেখান থেকে অস্ত্র আসত এই রাজ্যে সেই সূত্রে এই পুলিশি অভিযান।
ভিন রাজ্যে গিয়ে মাটির তলায় থাকা অস্ত্র কারখানার হদিশ বার করার সাফল্য কলকাতা পুলিশের। বিহারের ভাগলপুরের পর এক মাসের মাথায় ফের বিহারে ঢুকে অস্ত্র কারখানার নাগাল ভারতের ‘স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের’। ধৃত কারখানা মালিকের নাম মহম্মদ মোনাজির হুসেন ও তাঁর শ্যালক মহম্দ নাসিম। বুধবার রাতে বিহারের তারাপুরের ঘটনা। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফকে সাহায্য করেছে বিহার এসটিএফ, স্থানীয় তারাপুর থানার পুলিশও।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা লালবাজারের। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হত। বন্দুকের যান্ত্রাংশও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, ৬টি ৭ এমএম পিস্তলের যন্ত্রাংশ। পিস্তলের বাট, ড্রিলিং মেশিনও উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে বেআইনিভাবে তৈরি হওয়া সেই সব আগ্নেয়াস্ত্র এই রাজ্যে ঢোকে। গত তিন বছরে ওই দুই পড়শি রাজ্যে এই নিয়ে ১৪তম অস্ত্র কারখানার হদিশ।