২০২৫-এর শুরুতেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) বিপর্যস্ত নেপাল (Nepal) ও তিব্বতের (Tibet) একাংশ। মঙ্গলবার সকালে ৭.১ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয় দক্ষিণ এশিয়ার (South Asia Earthquake) বিস্তীর্ণ এলাকায়। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে শহর কলকাতাতেও (Kolkata) সাতসকালে কেঁপে ওঠে মাটি। তবে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিব্বতের লাৎসে শহর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ইতিমধ্যে সেখানে ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
সূত্রের খবর, ৭.১ মাত্রার কম্পনের পর আর ৪৯টি আফটার-শক (After Shock) হয়েছে সেখানে। প্রথম কম্পনের পরে সকাল ৭টা ২ মিনিটে ৪.৭ তীব্রতার দ্বিতীয় কম্পন, ৭টা ৭ মিনিটে ৪.৯ তীব্রতার তৃতীয় কম্পন, এবং এর ছয় মিনিট পর ৫.০ তীব্রতার আরেকটি কম্পন হয়। প্রথম দু’টি ভূমিকম্প ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এবং তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে ছিল।
ভূমিকম্পের প্রভাব নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিম, এবং অসম পর্যন্ত টের পাওয়া গেছে। দিল্লি এবং ভুটানেও কম্পনের খবর মিলেছে। তিব্বতের শিগাতসে শহরে ৬.৮ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের সংবাদমাধ্যম। তীব্র কম্পনের জেরে নেপালের বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কাঠমান্ডুতে আতঙ্কিত মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে সেখানে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।