হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন পোপ

Reporter name :

Reporter Image :

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Telegram

ভ্যাটিকান (Vatican) জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের (Pope Francis) স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে এবং তাঁর নিউমোনিয়া (Pneumonia) এখন নিয়ন্ত্রণে। রবিবার তাঁকে জেমেল্লি হাসপাতাল (Gemelli Hospital) থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই তথ্য জানিয়েছেন তাঁর স্বাস্থ্য টিমের প্রধান সার্জিও আলফিয়েরি (Sergio Alfieri)। সাম্প্রতিক এক সংবাদ মাধ্যমে আলফিয়েরি বলেছেন, “আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, পোপ আগামীকাল বাড়ি ফিরবেন।” শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পোপের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং তাঁকে ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, তাঁকে অন্তত দুই মাস বিশ্রামে থাকতে হবে।

রবিবার জনসমক্ষে আসবেন পোপ

ভ্যাটিকানের মুখপাত্র মাত্তেও ব্রুনি জানিয়েছেন, রবিবার হাসপাতালের বারান্দা থেকে জনসমক্ষে আসবেন পোপ। ২০১৩ সালের কনক্লেভের পর তাঁর বাসভবন কাসা সান্তা মার্তা (যাওয়ার আগে এটি হবে তাঁর প্রথম প্রকাশ্য উপস্থিতি। ভ্যাটিকান প্রেস অফিস জানিয়েছে, ৮৮ বছর বয়সী পোপ অ্যাঞ্জেলাস প্রার্থনার শেষে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানাবেন। সাধারণত প্রতি সপ্তাহে তিনি এই প্রার্থনা পরিচালনা করেন, তবে গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে তা করতে পারেননি।

জেমেল্লি হাসপাতালে এটি ছিল তাঁর দীর্ঘতম চিকিৎসা পর্ব। কয়েক সপ্তাহ তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি, তবে ভ্যাটিকান থেকে সম্প্রতি তাঁর একটি সংক্ষিপ্ত অডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া, হাসপাতালের চ্যাপেলে প্রার্থনারত অবস্থায় তোলা একটি ছবিও প্রকাশ করেছে ভ্যাটিকান, যা সিএনএন-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ভ্যাটিকানের সর্বশেষ ঘোষণায় বলা হয়েছে, পোপের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো এবং নিউমোনিয়া সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এরপরই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে বলে জানানো হয়।

হাসপাতালে দীর্ঘ সময় কাটানো সত্ত্বেও পদত্যাগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। সম্প্রতি তিনি ক্যাথলিক চার্চের জন্য একটি নতুন তিন বছরের সংস্কার প্রক্রিয়া অনুমোদন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, এখনও তিনি নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এই সংস্কারের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে— চার্চে নারীদের আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া, তাঁদের ডিকন হিসেবে নিযুক্ত করা এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অ-যাজক সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা।

প্রসঙ্গত, ১২ বছর আগে নির্বাচিত হওয়ার পর এটিই পোপ ফ্রান্সিসের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকার ঘটনা। এই পর্ব শেষ করে তিনি আবার দায়িত্বে ফিরতে প্রস্তুত বলে তাঁর সাম্প্রতিক পদক্ষেপে বোঝা যাচ্ছে।

Share the Post:

Related Posts