বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্য়াতন নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রতিবেশী দেশের বিষয়। যা বলবে কেন্দ্র সরকার। তবে একইসঙ্গে এবার মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশে (Bangladesh) শান্তি সেনা পাঠানোর (Peace Keeping Force) জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব দিলেন তিনি। উল্লেখ্য, নয়ের দশকের শুরুতে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের সময় শান্তিসেনা পাঠিয়েছিল ভারত। তবে তার প্রেক্ষিত আলাদা ছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভৌগলিক, সামরিক সহ সব দিক দিয়েই বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভারতের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে সীমানা, ভাষা, সংস্কৃতির সংযোগ থাকা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সোমবার শান্তিসেনা পাঠানোর দাবি তুললেন বিধানসভায়। অবশ্য জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারকে দরবার করতে বলা হয়েছে যাতে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো হয়।
সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা বিষয় নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটছে। এটা কেন্দ্রের বিষয়। কিছু দিন আগে ৭৯ জন ম়ৎস্যজীবিকে বাংলাদেশের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারত সরকারকে জানিয়েছি। আমরা আইনজীবী দিয়েছি। আজও তারা ছাড়া পায়নি। আজ অনেকের পরিবার আছে ওপারে। অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডার। তৃণমূলের নীতি আন্তজার্তিক স্তরের বিষয় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী চলে। ধর্ম, বর্ণ যদি অত্যচারিত হয় তা নিন্দনীয়। আমাদের পরিবার যাতে অত্যাচারিত না হয় তা কেন্দ্রীয় সরকার দেখুক। এরকম যদি চলতে থাকে আমরা চাই লোকসভায় অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকার (প্রধানমন্ত্রী না হলে বিদেশমন্ত্রী) বিবৃতি দিক। আমরা আমাদের লোককে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমাদের থাকা খাওয়ার অসুবিধা হবে না। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি এক। বাংলায় কথা বলাটা অপরাধ নয়। দিল্লিতে বা়ংলায় কথা বললে অনেক সময় হেনস্তা হতে হয়।