বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়

কলকাতা: গরমে হাঁসফাঁস শহরবাসী। বৈশাখের শুরুতেই প্রবল গরমে নাজেহাল দশা। কবে দেখা মিলবে বৃষ্টির? চাতক নয়নে আকাশ পানে চেয়ে রাজ্যবাসী। রবিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা খানিক কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সোমবার পর্যন্ত কলকাতায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। রবিবার ও সোমবার কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভবনা। ঝোড়ো হাওয়া-সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়াতে। অন্যান্য জেলাগুলিতে ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার৷ উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টি চলবে। রবিবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-সহ সব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। ঝোড়ো হাওয়ার গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার।

আজ থেকে বঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা

গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী! ভ্যাপসা গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার কাণ্ড সকলের। পাখার নীচে বসলেও মিলছেনা রেহাই। সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, কবে আসবে বৃষ্টি (Rain)? আর এবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Report) পক্ষ থেকে দেওয়া হল বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামীকাল, অর্থাৎ শনিবার থেকে বঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে বজ্রপাত সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। যার জেরে কিছুটা মিলবে স্বস্তি। ইতিমধ্যেই বঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। সকাল থেকেই সূর্যের তেজে ঝলসে যাওয়ার মত অবস্থা সেখানে। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপর ছিল কদিন। এখনও তা অব্যাহত। ২৩-২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে এই কয়েকটি রাজ্যে। এরই মাঝেই আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা হল বঙ্গে বৃষ্টির সতর্কতা। তবে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবেনা। আর্দ্রতাজনিত অশ্বস্তি বজায় থাকবে। বৃষ্টির দিনগুলিতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, বৃষ্টির দিন ফুরতেই আবারও তাপমাত্রা হুহু করে বাড়বে।

মাধ্যমিকের রেজাল্ট ২ মে

কলকাতা: মাধ্যমিকের ফল (Madhyamik Result 2025) প্রকাশ্যের দিনক্ষণ ঘোষণা করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগামী ২ মে প্রকাশিত হবে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। পরীক্ষার ৭০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Secondary Education)। ফল ঘোষণার পর পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে রেজাল্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরিহারা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকদের সংকট দেখা দিয়েছে। এরপর মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সঠিক সময়ে বের হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে সেই সংশয় কাটল। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ২ মে সকাল ৯টায় সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফল প্রকাশ করবেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এসএমএস ও পর্ষদের ওয়েবসাইটের ফলাফল জানা যাবে। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি ও শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৯৪। যা গত বছরের থেকে ৬২ হাজারেরও বেশি ছিল।

সর্বদল বৈঠক শেষে কী জানালেন রাহুল গান্ধী?

ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীর উপত্যকায় হত্যালীলার প্রতিবাদে গোটা দেশ সরব হয়েছে। কূটনৈতিক স্তরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। দু’পক্ষেই কূটনৈতিক স্তরে একে অন্যকে ‘আঘাত’ এবং ‘প্রত্যাঘাত’ করতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে সর্বদল বৈঠকে (All Party Meeting) বসে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদী ছিলেন না বৈঠকে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় রাত ৮টা নাগাদ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেও ছিলেন ওই বৈঠকে। সর্বদল বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেন, “প্রতিটি রাজনৈতিক দল সর্বসম্মত ভাবে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। সরকার যা-ই পদক্ষেপ করুক, বিরোধী শিবির পূর্ণ সমর্থন জানাবে।” কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, “আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীর শান্তি ফিরুক।” তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাকিস্তানকে কড়া জবাব ভারতের

ওয়েব ডেস্ক: জম্মু এবং কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলার দ্রুত জবাব দেওয়া হবে। নয়াদিল্লির তরফে ইতিমধ্যে সেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দেশবাসীকে। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে জরুরি বৈঠক সারল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি (সিসিএস)। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। তারপরই বড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। কী কী জানালেন তিনি? পাকিস্তানিদের জন্য সমস্ত ‘সার্ক’ ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আগে যে ভিসাগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই ভিসার মাধ্যমে যে পাকিস্তানিরা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে। বস্তুত, ‘সার্ক’ সদস্য দেশগুলিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে ১৯৮৮ সালে সদস্য রাষ্ট্রগুলি ‘সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম’ বা এসভিইএস নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছিল। ওই এসভিইএস ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ওয়াঘা-আট্টারি সীমান্তও। ওই সীমান্ত পথে যাঁরা ইতিমধ্য়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ভারত থেকে ফেরার জন্য ১ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। পাশাপাশি নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আধিকারিকদের ‘অবাঞ্ছিত’ হিসাবে ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইসলামবাদেও ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আধিকারিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতে থাকা পাকিস্তানি দূতাবাসের আধিকারিক সংখ্যাও আগামী ১ মে থেকে ৫৫ থেকে ৩০-এ নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে। ভারতও একই পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

এসএসসি দফতরে তাঁদের ঘেরাও কর্মসূচি চলবে

কলকাতা: আলোচনায় জট কাটল না। এসএসসি (SSC) দফতরে তাঁদের ঘেরাও কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়ে দিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে তাঁরা জানান, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করবেন। সেই সঙ্গে অযোগ্যদের বহিষ্কারের দাবি নিয়ে হাই কোর্টে যাবেন তাঁরা। চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুলে এখন আমরা যাচ্ছি না। এই অবস্থান এবং আন্দোলন চলবে।’’ চাকরিহারা শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, ১৭,২০৬ জনের যে তালিকা বিকাশ ভবন দিয়েছে, তার মধ্যে ১৫,৪০৩ জন যোগ্য। কিন্তু তাতে তাঁরা ‘আংশিক সন্তুষ্ট।’ কারণ, ‘মিরর ইমেজ’ প্রকাশ হয়নি। কেন হচ্ছে না, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে মন্ত্রীর কাছে। অন্য দিকে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে চাইবেন, কেন ১৭ হাজারের মধ্যে যাঁরা অযোগ্য, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে না। উল্লেখ্য, এসএসসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করতে আগে চাকরিহারা ১০ শিক্ষক আচার্য সদনে ঢুকেছিলেন। এ বার ওই বৈঠকে গিয়েছিলেন গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র চার জন করে মোট আট জন প্রতিনিধি। বিক্ষোভকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, আলোচনায় যা-ই বলা হোক না কেন, যোগ্যদের তালিকা না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।

যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে কী জানালেন শিক্ষামন্ত্রী?

কলকাতা: স্থায়ী পদে পুনর্বহালের দাবিতে এসএসসি (SSC) ভবনের সামনে অবস্থান (Protest) চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। সোমবার থেকে তাঁরা অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন এবং স্পষ্ট জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তাঁদের মূল দাবি—যথাশীঘ্র যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হোক। তবে আন্দোলনের প্রথম দিনেই এসএসসি তালিকা প্রকাশ না করায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে। এর মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) আশ্বাস দিয়েছেন, রাজ্য সরকার ও বিদ্যালয় শিক্ষাদফতর তাঁদের পাশে রয়েছে। কিন্তু যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা কবে প্রকাশ হবে? মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তালিকা প্রকাশে বিলম্বের কারণ হল আইনি পরামর্শ না পাওয়া। তিনি আরও বলেন, কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি, কাজে যোগ দিতে কারও সমস্যা হয়নি এবং কারও বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ব্রাত্য বসুর দাবি, “আমাদের কাছে ভাগ রয়েছে। সেই অনুসারে আমরা কাজ করছি। এমন কোনও কাজ করবেন না বা এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না, যাতে রিভিউ পিটিশন আপনাদের বিপক্ষে চলে যায়।” কিন্তু তালিকা প্রকাশ না হলে কারা বেতন পাবেন, কারা স্কুলে যাবেন তা নির্ধারণ হবে কী ভাবে? প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বলেন, ‘‘১৭ তারিখ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্য আপনারা বলছেন আমরা নির্ধারণ করতে পারিনি। কিন্তু আপনারা যদি ১৭ তারিখের কেসটি দেখেন, যেখানে আমরা ক্ল্যারিফিকেশন চাই, সেখানে খুব পরিষ্কার করে ১৭,২০৬ জন— তাঁরা যোগ্য। এটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে।’’ তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেন, “আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে সুপ্রিম কোর্টে চলা রিভিউ পিটিশনে আপনাদের অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” তবে অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানান, “এই তালিকা সুপ্রিম কোর্টই প্রকাশ করেছে। আমরা কিছু তৈরি করিনি। তালিকাটি জনসমক্ষে রয়েছে।” এদিকে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, তৃতীয় দফার পরবর্তী কাউন্সেলিং নিয়ে কমিশনের তরফে কোনও বক্তব্য আসেনি। তবে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, এমন কিছু নিয়ে সরকার বা এসএসসি কোনও মন্তব্য করেনি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও তেমন কিছু নেই। তিনি বলেন, “যা বলা হয়নি, তা ধরে নিয়ে অভিযোগ করা অর্থহীন।”

সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু

কলকাতা: দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান থেকে সরবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। সোমবার থেকে তাঁরা এসএসসি ভবন (SSC) চত্বরে শুরু করেছেন ধর্না (Protest)। আন্দোলনকারীদের দাবি, দ্রুত যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করে স্থায়ী পদে ফেরানো হোক তাঁদের। তবে সোমবার এসএসসি সেই তালিকা প্রকাশ করেনি, যার জেরে ক্ষোভ আরও বেড়েছে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) আশ্বাস দিয়েছেন, সরকার এবং বিদ্যালয় শিক্ষাদফতর চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিকাশ ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁদের পাশে রয়েছেন। আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাঁদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন। আমরা রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছি।” মন্ত্রী আরও জানান, সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপযুক্ত শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, “আইনের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করবেন না যাতে রিভিউ পিটিশন দুর্বল হয় বা আদালতের অবমাননা হয়। আমরা প্রতিটি পদক্ষেপ আইনি পরামর্শ নিয়ে নিচ্ছি।” পাশাপাশি চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “আপনাদের জন্যই এসএসসি লড়াই করছে। সরকারই একমাত্র আপনাদের পাশে রয়েছে। বেতন-সহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা কাজ করছি। দয়া করে স্কুলে ফিরে যান, কাজ চালিয়ে যান।” তবে সরকারি আশ্বাস সত্ত্বেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, চূড়ান্ত সমাধান না হলে অবস্থান চলবে অনির্দিষ্টকালের জন্য।

লেডিস স্পেশালে এবার উঠতে পারবেন পুরুষরাও

কলকাতা: অফিস টাইমে লেডিস স্পেশাল ট্রেনে (Ladies Special Train) পুরুষদের জন্য কামড়া ভাগ করে দিল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখা। বর্তমানে শিয়ালদহ শাখায় মোট ১২টি মাতৃভূমি লোকাল চলে। যার মধ্যে দুটি শিয়ালদহ মেইন শাখায় (কৃষ্ণনগর ও রাণাঘাট), শিয়ালদহ নর্থ শাখায় (বনগাঁ ও বারাসত), এবং বাকি দুটি শিয়ালদহ সাউথ শাখায় (ক্যানিং ও বারুইপুর) চলাচল করে। রেল সূত্রে দাবি, বর্তমানে প্রতিটি মাতৃভূমি লোকালই ন’কোচ থেকে ১২ কোচের করে দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের সুবিধার জন্য। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ছ’জোড়া মাতৃভূমি লোকালের ৭৫% আসন ভর্তি থাকে। বাকি ২৫% আসনে তেমন ভিড় হয় না। এই অতিরিক্ত আসনগুলি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। অফিস টাইমে সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার্থে শিয়ালদহ শাখার তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাতৃভূমি লোকালের ১২ কোচের মধ্যে শিয়ালদহের দিক থেকে চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর কোচ ব্যবহার করতে পারবেন পুরুষ যাত্রীরাও। বাকি পুরো ট্রেনের কোচগুলি মহিলাদের জন্য। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিয়ালদহ শাখার তরফে সব ট্রেনে বাড়ানো হয়েছে মহিলা কোচের সংখ্যা। যাতে ব্যস্ত সময়ে মহিলাদের ভিড় সামলানো যায়। মহিলা যাত্রীদের জন্য ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশপাশি, মাতৃভূমি লোকালে তুলনামূলক কম ভিড় থাকার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। শিয়ালদহ ডিভিশনের সিনিয়ির জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী এর আগে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘লোকাল ট্রেনে ইতিমধ্যেই মহিলা কামরার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি পুরুষ যাত্রীরাও যাতে স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারেন সেকথা মাথায় রেখেই মাতৃভূমি লোকাল ট্রেনের কয়েকটি কোচ সাধারণ কোচ-এ পরিবর্তন করা হবে। যেখানে পুরুষ ও মহিলা সকলেই চড়তে পারবেন’।

কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?

গরমে নাজেহাল শহরবাসী। রাস্তাঘাটে দিনভর ছাতা মাথায় ঘাম ঝরাতে দেখা যাচ্ছে মানুষজনকে। ঠান্ডা পানীয়, ফলের দোকান, আইসক্রিম থেকে শুরু করে কোল্ড ড্রিঙ্কস — সবখানে উপচে পড়ছে ভিড়। গরমের প্রকোপে বাজার, নির্মাণকাজ, এমনকি স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও অসহ্য অবস্থা। কলকাতার আকাশে সকাল থেকে মেঘের আনাগোনা থাকলেও এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বরং সূর্যের তেজ দিনভর আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। রাতের দিকে তাপমাত্রা সামান্য কমবে, তবে তা ২৬ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা নেই। আজ সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৫টা ১৬ মিনিটে। সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই আকাশ পরিস্কার ও রোদের তেজ থাকবে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বইবে দুর্বল বাতাস, যার ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জোয়ার আসবে এবং সন্ধ্যা ৭টা ৫৬ মিনিটে পড়বে ভাটা। নদী পারাপার, বন্দর ও মাছ ধরার নৌকা চলাচলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে সমুদ্র শান্ত থাকলেও গরমের প্রভাব স্পষ্ট অনুভূত হবে উপকূলবর্তী অঞ্চল জুড়ে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। নিম্নচাপ বা মৌসুমি বায়ু সক্রিয় না হওয়া পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পাওয়া কঠিন। ফলে শহরবাসীকে আগামী কয়েকদিন এই রোদের তাপ এবং আর্দ্রতার সঙ্গে লড়াই করেই কাটাতে হবে। জলবাহিত রোগ ও হিটস্ট্রোক এড়াতে যথেষ্ট সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।