দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস

রাজ্যের আবহাওয়ায় (Weather) ফের বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা। বর্তমানে পাঞ্জাব, পশ্চিম হরিয়ানা ও উত্তর রাজস্থানে একটি সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অবস্থান করছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত ও রাজস্থান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ট্রফ লাইন। এর ফলে আগামী কয়েকদিন পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে দাপট দেখাতে পারে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত (thunderstorm and rainfall)। আবহাওয়াবিদদের মতে, দক্ষিণবঙ্গেও এর প্রভাব পড়বে বেশ জোরালোভাবেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আটটি জেলায় তা আরও তীব্র হতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া। বজ্রপাতের পাশাপাশি বইতে পারে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়া সোমবার ও মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। রাজ্যের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অংশেও প্রভাব ফেলছে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া মার। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ৬ মে পর্যন্ত বজ্রপাত সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলাতেই ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও বিদর্ভে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রপাত সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দমকা হাওয়া বইতে পারে ঘন্টায় ৪০–৬০ কিমি বেগে। দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান ও চণ্ডীগড়েও বজ্রঝড় ও ধুলোঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে রাজস্থানে ৫ মে পর্যন্ত প্রবল ধুলোঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত ও সিকিমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি যেমন কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও বিক্ষিপ্ত বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।

কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?

শনি ও রবিবার দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে তৈরি হতে পারে ঝড়জলের পরিস্থিতি। শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে। রবিবার উত্তরবঙ্গে বাড়বে ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব। বজ্রবিদ্যুৎসহ আচমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা। জোর কদমে চলবে শিলা বৃষ্টি ও বজ্রপাত। সোম ও মঙ্গলবারেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভবনা বাড়বে রাজ্যে (West Bengal Rain Forecast)। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, শহরে বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার।

গোয়ার মন্দিরের শোভাযাত্রায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৭

গোয়ার (Goa) শিরগাঁওয়ের লাইরাই দেবী মন্দিরে (Lairai Devi Temple) পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল অন্তত সাতজনের। আহত হয়েছেন ৩০ জন। আহতদের গোয়া মেডিক্যাল কলেজ (Goa Medical College) এবং মাপুসার উত্তর গোয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে লাইরাই দেবী মন্দিরের উদ্দেশ ভক্তদের বিরাট শোভাযাত্রা চলছিল। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত (CM Pramod Sawant) ইতিমধ্যেই আহতদের পরিদর্শন করতে হাসপাতালে গিয়েছেন। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “শিরগাঁওয়ের লাইরাই যাত্রায় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত। আমি আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম এবং সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। সবকিছু যাতে সঠিকভাবে পালিত হয় তার জন্য আমি নিজে তদারক করছি।” সাওয়ন্ত আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, তিনিও এই কঠিন সময়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রশাসনের তরফে এখনও ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ, মৃতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। লাইরাই যাত্রা শুরু হয়েছিল শুক্রবার। শ্রী লাইরাই দেবীর এই বার্ষিক শোভাযাত্রা এক বড় উৎসব। দেবী লাইরাইকে শ্রদ্ধা জানাতে গোয়া এবং গোয়ার বাইরে থেকে বহু ভক্ত এই যাত্রায় যোগ দেন। ভক্তদের কাছে লাইরাই হলেন দেবী পার্বতীর এক রূপ। এই উৎসবের বড় অঙ্গ হল ধোন্ডাচি যাত্রা, যার কিছু অংশে জ্বলন্ত কয়লার উপর দিয়ে হাঁটেন পুণ্যার্থীরা।

একনজরে দেখে নিন মাধ্যমিকের ফলাফল

কলকাতা: আজ সকাল ৯টায় মাধ্যমিকের ফল (Madhyamik Result 2025) প্রকাশের পাশাপাশি মেধাতালিকাও দেওয়া হবে। ফল ঘোষণার পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে সমস্ত স্কুলে রেজাল্ট পাঠানো হবে। দুপুরে পরীক্ষার্থীরা রেজাল্ট হাতে পাবে। অনলাইনেও মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখা যাবে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে। এ বছর পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন। এর মধ্যে রেগুলার পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। এবার একনজরে দেখে নিন প্রথম দশে কারা রয়েছে- প্রথম স্থান: উত্তর দিনাজপুরের আদৃত সরকার । তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬, শতাংশের নিরিখে ৯৯.৪৬ শতাংশ । রায়গঞ্জ করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়। দ্বিতীয় স্থান: ১) অনুভব বিশ্বাস। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির, মালদহ। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। ২) সৌম্য পাল। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। তৃতীয় স্থান: ১) ঈশানী চক্রবর্তী। বাঁকুড়ার কোতুলপুর সরোজ বাসিনী বালিকা বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। চতুর্থ স্থান: ১) মহঃ সেলিম। নিরোল উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব বর্ধমান। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। ২) সুপ্রতীক মান্না। কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউট। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। পঞ্চম স্থান: ১) সিঞ্চন নন্দী। গৌরহাটি হরদাস ইনস্টিটিউট, হুগলি। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। ২) চৌধুরী মহঃ আসিফ। কামারপুকুর আর কে মিশন মাল্টিপারপাস স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। ৩) দীপ্তজিৎ ঘোষ। ইটাচুনা শ্রী নারায়ণ ইনস্টিটিউশন, হুগলি। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। ৪) সোমতীর্থ করণ। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। ষষ্ঠ স্থান: ১) অউন্চ‌ দে। ফালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। ২) জ্যোতিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। ৩) রুদ্রনীল মাসন্ত। গোরাসোলে মুরালিধর হাই স্কুল, বাঁকুড়া। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। ৪) অঙ্কন মণ্ডল। টাকি রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। ৫) অভ্রদীপ মণ্ডল। সারদা বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। সপ্তম স্থান: ১) দেবার্ঘ্য দাস। ফালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। ২) অঙ্কন বসাক। গঙ্গারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। ৩) অরিত্রা দে। বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। ৪) দেবাদ্রিতা চক্রবর্তী। বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। ৫) সৌরিন রায়। অমরগড় উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। অষ্টম স্থান: ১) অনির্বাণ দেবনাথ। তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ২) সত্যম সাহা। রায়গঞ্জের সারদা বিদ্যামন্দির। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ৩) আসিফ মেহবুব। জয়েনপুর উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ৪) মোঃ ইনজামাম উল হক। টার্গেট পয়েন্ট (আর) স্কুল উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ৫) মোঃ ইনজামাম উল হক। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ৬) অরিত্র সাহা। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ৭) শুভ্রা সিংহ মহাপাত্র। বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ৮) অরিজিৎ মণ্ডল। রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ৯) স্পন্দন মৌলিক। রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ১০) শ্রীজয়ী ঘোষ। নব নালন্দা শান্তিনিকেতন হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ১১) পাপড়ি মণ্ডল। বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ১২) সৌপ্তিক মুখোপাধ্যায়। কংসাবতী শিশু বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ১৩) উদিতা রায়। বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠ। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ১৪) অরিত্র সাঁতরা। মনসুকা লক্ষ্মীনারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ১৫) পুষ্পক রত্নম। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। ১৬) অবন্তিকা রায়। রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। নবম স্থান: ১) দেবাঙ্কন দাস। তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ২) মৃন্ময় বসাক। কালিয়াগঞ্জ সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ৩) অনিক সরকার। বালুরঘাট হাইস্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ৪) অরিত্রী মণ্ডল। বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ৫) দিশা ঘোষ। দুবরাজপুর শ্রীশ্রী সারদেশ্বরী বিদ্যামন্দির। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭।৬) ময়ূখ বসু। কাঁকুরিয়া দেশবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ৭) পরমব্রত মণ্ডল। বর্ধমান মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ৮) অয়ান নাগ। কামারপুকুর আর.কে.মিশন মাল্টিপারপাস স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ৯) অঙ্কুশ জানা। বেলদা গঙ্গাধর একাডেমি। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ১০) দ্যুতিময় মণ্ডল। বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম শিক্ষায়তন প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ১১) ঐশিক জানা। কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউট। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ১২) প্রোজ্জ্বল দাস। শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ১৩) অনিশ দাস। প্রফুল্ল নগর বিদ্যামন্দির। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। ১৪) তানাজ সুলতানা। জাঙ্গিপাড়া বালিকা বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। দশম স্থান: ১) কৌস্তভ সরকার। রায়গঞ্জ করনেশন উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। ২) আমিনা বানু। মোজামপুর গার্লস হাই স্কুল। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ৩) উবে সাদাফ। সুজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ৪) প্রিয়ম পাল। বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ৫) তুহিন হালদা। বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ৬) দেবায়ন ঘোষ। কোটাসুর উচ্চ বিদ্যালয়। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ৭) এসকে আরিফ মণ্ডল। গিরিজোর সাঁওতাল উচ্চ বিদ্যালয়। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ৮) সম্যক দাস। নব নালন্দা শান্তিনিকেতন হাই স্কুল। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ৯) স্বাগত সরকার। কাসেমনগর বিএনটিপি গার্লস হাই স্কুল। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ১০) অয়ন্তিকা সামন্ত। চিলাডাঙ্গী রবীন্দ্র বিদ্যাবীথি। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ১১) সমন্বয় দাস। তমলুক হ্যামিলটন উচ্চ বিদ্যালয় (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ১২) বিশ্রুত সামন্ত। ধন্যশ্রী কে.সি. উচ্চ বিদ্যালয়। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ১৩) সায়ন বেজ। পরমানন্দপুর জগন্নাথ ইনস্টিটিউশন। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ১৪) সোহম সাঁতরা। মহিষাদল রাজ উচ্চ বিদ্যালয়। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ১৫) শৌভিক দিন্দা। সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দির। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)। ১৬) রাহুল রিক্টিয়াজ। মজিলপুর জে.এম. ট্রেনিং স্কুল। (প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬)।

কেমন থাকবে আজকের আকাশ?

আজ ১ মে, মে মাসের শুরুতেই আবহাওয়ায় বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিল দক্ষিণবঙ্গ। সকাল থেকেই কলকাতার আকাশে ছিল হালকা মেঘের ছায়া (Rain update), তবে বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে (Weather Update)। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় আজ ঝড়বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যারা কর্মসূত্রে বাইরে বের হবেন, তাদের ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আজকের আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে প্রায় ৯৩ শতাংশ। বাতাসে আদ্রতার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে শহরবাসীর মধ্যে। তবে বৃষ্টিপাত হলে কিছুটা স্বস্তি ফিরবে বলেই আশা করা যাচ্ছে। বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকায় খোলা জায়গা, উঁচু গাছ বা খোলা মাঠে অবস্থান না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘরের দরজা-জানালা শক্ত করে বন্ধ রাখার অনুরোধও জানিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আবহাওয়া বিশ্লেষকদের মতে, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় এমন আবহাওয়া বজায় থাকতে পারে। তাই নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ, সরকারি নির্দেশিকা ও পূর্বাভাসের দিকে নজর রেখে চলুন।

মেছুয়া অগ্নিকাণ্ডে গ্রেফতার হোটেল মালিক ও ম্যানেজার

গ্রেফতার বড়বাজারের (Burabazar) অগ্নিকাণ্ডে হোটেল মালিক আকাশ চাওলা ও ম্যানেজার গৌরব কাপুর। অক্ষয় তৃতীয়ার আগের দিন বড়বাজারের মদন মোহন মেছুয়াবাজার ফলপট্টি এলাকায় একটি হোটেলে আগুন লাগে। ঘটনায় মারা যান ১৩ ব্যক্তি। একজন মারা যায় কার্নিশ থেকে নামতে গিয়ে। মৃতদের মধ্যে ১২ জনকে শণাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন হোটেল মালিক ও ম্যানেজার। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার হয়েছে দুজন। বুধবার রাতে ঘটনার অভিযোগ দায়ের করে দমকল। পাশাপাশি, পুলিশও সুয়ো মোটো অভিযোগ দায়ের করে। সেই দুই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়। ম্যানেজার গৌরবকে বুধবার জিজ্ঞেসাবাদ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি, মৃত ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ।

কাশ্মীরে ৮৭’র মধ্যে ৪৮টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করা হল

২৬ জন নিরীহ পর্যটকের (Kashmir Tourist Attack) উপর নির্বিচারে গুলি চালনার ঘটনায় এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিল কাশ্মীর প্রশাসন (Kahmir Government) । ৮৭টি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি বন্ধ করে দেওয়া হল। মোতায়েন করা হয়েছে অ্যান্টি ফিদায়েন স্কোয়াড (Anti-fidayeen squad)। বেশ কয়েকটি রিসর্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পহেলগামে (Pahalgam) বৈসারণে নরসংহারের পরেই সন্ত্রাসীদের ঘরবাড়ি তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিশোধের বদলা বেশ বড় আকারে নিতে পারে জঙ্গিরা। এমনটা খবর এসেছে গোপন সূত্রে। আরও বড় হামলা ছক করছে জঙ্গিরা। আর যাতে কোনও পর্যটককে বুলেটের শিকার না হতে হয়, তার আগেই বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হল। তদন্তকারী সংস্থাগুলি আরও বড়সড় নাশকতার আঁচ পাওয়ার পর পরই ৪৮টি পর্যটন কেন্দ্র (Tourist spot) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর অনুযায়ী, স্লিপার সেলগুলি (Sleeepter Cell) সক্রিয় উঠেছে। ফলে ফের রক্তাক্ত হতে পারে ভূস্বর্গ।  তাই আর কোনও রকম গাফিলতির ফাঁক ফোকড় রাখতে চায় না গোয়েন্দা সংস্থা। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা উড়িয়ে দিচ্ছে না গোয়েন্দা আধিকারিকরা। কাশ্মীর প্রশাসনের লক্ষ্য পর্যটকদের নিরাপত্তা। সেই কথা বিবেচনা করেই আগেভাগে পদক্ষেপ নেওয়া হল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ৪৮ টি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে যে স্থানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল- শ্রীনগর জেলা: জামিয়া মসজিদ, বাদামওয়ারী, রাজোরি কাদল হোটেল কানাজ, আলি কাদল জেজে ফুড রেস্তোরাঁ, আইভরি হোটেল, পদশপাল রিসোর্ট এবং রেস্তোরাঁ, চেরি ট্রি রিসোর্ট (ফকির গুজরি), নর্থ ক্লিফ ক্যাফে এবং স্টে প্যাটার্ন দ্বারা রিট্রিট, ফরেস্ট হিল কটেজ, ইকো ভিলেজ রিসোর্ট (দারা), আস্তানমার্গ ভিউ পয়েন্ট, আস্তানমার্গ প্যারাগ্লাইডিং, মামনেথ এবং মহাদেব পাহাড়, বৌদ্ধ মঠ, দাচিগাম – বিয়ন্ড ট্রাউট ফার্ম / ফিশারিজ ফার্ম, আস্তানপোরা (বিশেষ করে কায়াম গাহ রিসোর্ট, লাচপাত্রি)। জেলা বারামুল্লা: উলার/ওয়াটল্যাব, রামপোরা এবং রাজপোরা, চেয়ারহার, মুন্ডিজ-হামাম-মারকুট জলপ্রপাত, খাম্পু, বসনিয়া, ভিজিটপ, বাবরেশি, শ্রুঞ্জ জলপ্রপাত, কামানপোস্ট, নাম্বলান জলপ্রপাত, ইকো পার্ক খাদনিয়ার, গোগলদারা, হাব্বা খাতুন পয়েন্ট, রিঙ্গাওয়ালি, বদরকোট। জেলা বদগাম: ইউসমার্গ, তৌসিময়দান, দুধপাথরি। জেলা অনন্তনাগ: সূর্য মন্দির, ভেরিনাগ গার্ডেন, সিন্থান টপ, মারগানটপ, আকদ পার্ক। কুলগাম জেলা: আহরবাল, কাউসারনাগ। জেলা কুপওয়াড়া: বাঙ্গুস, কারিওয়ান ডুবুরি চান্দিগাম, বাঙ্গুস ভ্যালি। জেলা গান্ডারবাল: হাং পার্ক এবং নারানাগ। জেলা পুলওয়ামা: সাঙ্গারওয়ানি।

বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

তীব্র দাবদহের (warm weather) জ্বালা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ (Thunderstorms forecast ) সহ বৃষ্টিপাতের (Rainfall) পূর্বাভাস রয়েছে আজও। সেইসঙ্গে রয়েছে কালবৈশাখীর সতর্কবার্তা । কলকাতার আকাশ আজ পরিষ্কার থাকলেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকে রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বাড়বে। তবে রবিবার থেকে বঙ্গের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান এবং মধ্য অসমে। আগামী ২ মে উত্তর-পশ্চিম ভারতের নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করবে। ফলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতকালও কলকাতা-সহ দক্ষিণের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব চলেছে। আজও ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতায় আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে, তবে মনে পারে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণও তুলনামূলকভাবে বেশি থাকবে। গত দু’দিনের তুলনায় তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি কমবে তাপমাত্রা। সকাল থেকে তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। কলকাতা সহ পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশে তাপমাত্রার কোনও হেরফের হবে না। পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় বজ্র-বিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের দিকে তাপমাত্রা কমবে। কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগণা, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলাতেও তাপমাত্রা হ্রাস পারবে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি সহ একাধিক জেলায় তাপমাত্রার পারদ নামবে। বেশ কয়েকটি জেলায় মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি দক্ষিবঙ্গের ৬ জেলায়

তীব্র দাবদাহ (Severe heatstroke) থেকে মিলবে স্বস্তি। বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ২৮ এপ্রিল থেকে টানা বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। আজ থেকে টানা চারদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা জেলায় জেলায়। আজও বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। শনিবার থেকে একাধিক জেলায় বৃষ্টি (Rain)  শুরু হয়েছে। আজও একই পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির বেশি সম্ভাবনা রয়েছে হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ দুই বর্ধমানে। বৃষ্টির পাশাপাশি ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া (Gusty wind)  বইবে। ২৮ এপ্রিল বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সেইসঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। মঙ্গলবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের দু-এক জায়গায় কালবৈশাখী-সহ শিলাবৃষ্টির সম্ভবনাও রয়েছে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা। টানা বৃষ্টির কারণে ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে মিলবে মুক্তি। সোমবার কলকাতাতেও বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টি পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আজ দিনের সর্বোচ্চ  তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকা সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী কয়েকদিনে সেটা কমে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকার পূর্বাভাস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করবে। অপরদিকে উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার ভারী বৃষ্টির পুর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। পাশাপাশি ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।

দিল্লির বাঙালি বস্তিতে ভয়াবহ আগুন

মুম্বইয়ে ইডি দফতরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পরে দিল্লিতে (Delhi) পুড়ে ছাই বস্তি (shanties)। ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও একটি জায়গা থেকে শুরু হয়ে দ্রুত সেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিনীর (Northwest Delhi’s Rohini)  একটি বস্তিতে আগুন লাগে। আগুলে লেলিহান শিখায় ৮০০ বস্তি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ২ শিশুর। দিল্লির দমকল কর্মকর্তা (ডিএফএস) অতুল গর্গ (Delhi Fire Services (DFS) chief Atul Garg) এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, শ্রী নিকেতন অ্যাপার্টমেন্টের কাছে বাঙালি বস্তিতে আগুন লাগে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে আগুন নেভানো হয়। দলকলবাহিনী খুব তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন। এলাকাটি সরু গলি ও ঘিঞ্জি হওয়ায় দমকলের গাড়ি নিয়ে আসতে সমস্যায় পড়ে। প্রায় তিনঘণ্টার প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’ দিল্লির দমকল কর্মকর্তা (ডিএফএস) অতুল গর্গ জানান, সকাল ১১.৫৫ নাগাদ আমাদের কাছে ফোন আসে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। দুপুর ২.০৫ -এর দিকে দুটি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। এদের মধ্যে একজনের বয়স আড়াই বছর ও আরেক জনের বয়স তিন বছর। শাহাবুল শেখ নামে ২৭ বছরের এক যুবক আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিকেল ৩.২০’র দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। অন্যদিকে, স্থানীয়রা দাবি করেছেন যে দমকলের গাড়ি আসতে অনেক সময় লেগেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা (Delhi Cm Rekha Gupta) এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,  দিল্লি সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক সহ অতিরিক্তি জেলা শাসককে ঘটনাস্থলের পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। বস্তিবাসীর জন্য ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার, চিকিৎসা ব্যবস্থা সহ পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘর হারানোদের স্থানীয় স্কুল ও অস্থায়ী শিবিরে রাখা হয়েছে।