টেস্ট থেকে অবসর কোহলির

স্পোর্টস ডেস্ক: রোহিত শর্মা টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকেই বিরাট কোহলির (Virat Kohli) অবসর নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ল। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন বিরাট কোহলি। সোমবার বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ কোহলি ইনস্টাগ্রামে লম্বা পোস্ট করেন। লেখেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাগি ব্লু টুপি পরার পর ১৪ বছর কেটে গিয়েছে। সত্যি কথা বলতে কী কোনও দিন ভাবিনি এই ফর্ম্যাটে সফরটা আমাকে এই জায়গায় নিয়ে যাবে। এই ফর্ম্যাট আমার পরীক্ষা নিয়েছে, আমাকে তৈরি করেছে, আর যা শিক্ষা দিয়েছে, আজীবন মনে রাখব।’ এখানেই শেষ নয়, কোহলির সংযোজন, ‘সাদা পোশাকে খেলার মধ্যে ব্যক্তিগত আবেগ রয়েছে। শান্তি রয়েছে। পাঁচদিনের খেলা, ছোট ছোট মুহূর্ত যেটা কেউ দেখতে পায় না অথচ সারাজীবন থেকে যায়।’ কোহলি লেখেন, ‘এই ফর্ম্যাটকে বিদায় জানানো সহজ ছিল না। কিন্তু এটাই সঠিক বলে মনে হচ্ছে। আমি এই ফর্ম্যাটকে নিজের সবকিছু দিয়েছিলাম। আর আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল এত কিছু, যা আশাও করিনি।’ যোগ করেছেন, ‘আমি বিদায় নিচ্ছি কৃতজ্ঞ হৃদয়ে, খেলাটির প্রতি, যাদের সঙ্গে মাঠে সময় কাটিয়েছি তাদের প্রতি, আর সেই সমস্ত ব্যক্তিদের প্রতি যারা গোটা সফরে পাশে ছিল। আমি সব সময় নিজের টেস্ট কেরিয়ারের দিকে হাসিমুখেই তাকাব।’ উল্লেখ্য, কোহলি দেশের হয়ে ১২৩ টেস্ট খেলেছেন। ৪৬.৮৫ ব্যাটিং গড়ে ৯২৩০ রান করেছেন বিরাট। যার মধ্যে ৬৮ টেস্টে তিনি ছিলেন দলের অধিনায়ক।

তাপপ্রবাহের সতর্কতা কোন কোন জেলায়?

কলকাতা: কলকাতার (Kolkata Weather Update) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। ১৬ দিন আগে শহরের তাপমাত্রা ছিল ৩৮.২ ডিগ্রি। শুক্রবার পারদ আরও খানিক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ছুঁল ৩৮.৬ ডিগ্রি। সেই হিসেবে ৯ মে ছিল মরসুমের উষ্ণতম দিন। এদিন হাওয়া অফিস নতুন করে তাপপ্রবাহের সতর্কতার আভাস দিল দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবারে শহরের এই দাবদাহ কেবল ট্রেলার মাত্র। আসল খেলা শুরু হবে শনিবার থেকে। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। দক্ষিণবঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে বলে আশঙ্কা করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৩৬ শতাংশ। বাতাসে জলীয়বাষ্পের ধারণক্ষমতা বিরাট ব্যবধানে ওঠা–নামা করার ফলে অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল শহরবাসী। শুকনো গরমে চামড়ায় জ্বালা ধরানো অনুভূতিও ভোগ করেছেন তাঁরা। নতুন করে ঝড়বৃষ্টি না–নামা পর্যন্ত এই অবস্থা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। তাই আপাতত সামনের কয়েকদিন কষ্টই পেতে হবে দক্ষিণবঙ্গের সকলকে।

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি

ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নিল ভারত। পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সাংবাদিক বৈঠকে আসেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী। তিনি বলেন, “আজ বিকেল  ৫টা থেকে ভারত আর পাকিস্তান সব ধরনের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” মাত্র ১ মিনিটের জন্য স্থায়ী হয় সাংবাদিক বৈঠকটি। ভারতীয় বিদেশসচিবের সাংবাদিক বৈঠকের কিছুক্ষণ আগেই নিজের ট্রুথ সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমেরিকার মধ্যস্থতায় রাতভর (আমেরিকার হিসাবে) আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, যে ভারত এবং পাকিস্তান অবিলম্বে পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’’ এর পরেই ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘‘বাস্তবজ্ঞান এবং অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সদ্ব্যবহার করার জন্য দুই দেশকে অভিনন্দন। এই বিষয়ে (যুদ্ধবিরতি) মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ!’’ পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইশাক দারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ ঐকমত্যের কথা জানান।

পাকিস্তানের ৩ বায়ুসেনা ঘাঁচিতে প্রত্যাঘাত ভারতের

ওয়েব ডেস্ক: পরপর দু’দিন পাকিস্তানের করা হামলার ‘বদলা নিল’ ভারত। জ্বালিয়ে দিল তাদের সেনা পরিকাঠামো। কর্নেল সোফিয়া জানিয়েছেন, পাকিস্তানের রফিকি, মুরিদ, চাকলালা এবং রহিম ইয়ার খানে পাক সেনার এয়ারবেসে আকাশপথে ভারত হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া, সুক্কুর এবং চুনিয়ায় পাক সেনাঘাঁটি, পসরুর এবং সিয়ালকোটের বিমান ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক এবং সেনার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের আক্রমণ জারি। ভারতীয় সেনাঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে। ড্রোন এবং অন্যান্য মাধ্যমে গোলাবর্ষণ চলছে। অধিকাংশ হামলায় ভারত নিষ্ক্রিয় করেছে। আদমপুর, উধমপুর, ভাতিন্ডার মতো কিছু কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শ্রীনগর, অবন্তিপুর, উধমপুরে চিকিৎসাকেন্দ্র, স্কুলগুলিকে নিশানা করেছে পাকিস্তানি সেনা। হাই স্পিড মিসাইল ছোড়া হয়েছে।’’ শনিবার সকাল থেকে পাকিস্তান সেনাকে উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সাইবার হামলা চালানো হয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয়। এই দাবিগুলি ভুয়ো বলে জানালেন বিদেশসচিব। আফগানিস্তানে ভারতের মিসাইল পড়েছে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে, তা-ও মিথ্যা। তিনি বলেন, ‘‘কোন দেশ আফগানিস্তানে বার বার হামলা চালিয়ে এসেছে, তা আশা করি সেখানকার মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে না।’’

বৃষ্টি কবে হবে? দেখুন বড় আপডেট

কলকাতা: বৈশাখের শেষলগ্নে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাজ্যের তাপমাত্রা (Temperature Rise)। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update) বলছে, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গবাসীকে এই অস্বস্তিকর গরমের মধ্যেই দিন কাটাতে হবে। কলকাতার পাশাপাশি গরমের প্রভাব আরও বাড়তে পারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলায় তাপপ্রবাহের (Heatwave) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে কিছুটা স্বস্তির বার্তা দিয়ে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গের কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির (Thunderstorm) সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনায় রবিবার ও সোমবার দু’-একটি জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। সঙ্গেই ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এদিকে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াতেও আসতে চলেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ পৌঁছতে পারে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। যদিও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহে শনিবার ও রবিবার তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। বাকি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সোমবার পর্যন্ত। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গে আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়তে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী তিন দিনে গরমের দাপট আরও কিছুটা বাড়তে পারে। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.১ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭ ডিগ্রি বেশি।

পাকিস্তানের কত ড্রোন নামাল ভারত?

ওয়েব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার গভীর রাতেও ফের ড্রোন হামলার (Drone Attack) চেষ্টা চালায় পাকিস্তান (Pakistan)। তবে ভারতের মাটিতে আঘাত হানতে পারেনি একটিও। সূত্রের খবর, গত রাতে রাজস্থানের (Rajasthan) শ্রীগঙ্গানগরে পাকিস্তানের তরফে ড্রোনের মাধ্যমে হামলার চেষ্টা হয়। তবে ভারতীয় সেনার (Indian Army) তৎপরতায় পাক সেনার সেই চেষ্টা সম্পূর্ণ ভেস্তে যায়। তড়িঘড়ি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে শত্রুপক্ষের ড্রোনকে মাটিতে নামাতে সফল হন জওয়ানরা। তবে এখানেই থামেনি পাকিস্তান। ভারতের তিন বাহিনীর যৌথ অভিযানে পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পালটা হামলা চালানো হয় বলেও জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এর ফলে লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিণ্ডি-সহ মোট ১৬টি শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া, সীমান্তপারে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চলে একই রাতে। জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে গভীর রাতে সীমান্ত পেরিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে প্রায় ১২ জন পাক জঙ্গি। বিএসএফ-এর তৎপরতায় গুলি বিনিময়ে ৭ জন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। পুঞ্চ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর রাতভর গোলাবর্ষণ চালায় পাকিস্তান সেনা। ভারতের পালটা প্রত্যাঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনা শিবিরগুলিও। ভারতের কড়া জবাবের প্রভাবে পাকিস্তানে বাড়ছে আতঙ্ক। এই পরিস্থিতির মাঝেই পাকিস্তান সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, পাকিস্তান সুপার লিগ-এর বাকি ম্যাচগুলি দেশ থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে স্থানান্তরিত করবে। রাওয়ালপিণ্ডি, মুলতান এবং লাহোরে নির্ধারিত ম্যাচগুলি এখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হবে।

উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ

উচ্চ মাধ্যমিকে (HS Exam) পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ। শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা (Purba Medinopur District)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। এবর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯১৯ জন। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য ফল প্রকাশ করেন। প্রথম হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম দশে ৭২ জন। প্রথম দশে সবচেয়ে বেশি রয়েছে হুগলির ছাত্র ছাত্রী। হুগলি থেকে রয়েছে ১৪ জন। কলকাতা থেকে চার জন রয়েছে প্রথম দশে। উল্লেখ্য, এবার ছিল বার্ষিক ব্যবস্থায় শেষ উচ্চ মাধ্যমিক। ৫০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ হল।

উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম দশে কারা?

পরীক্ষার ৫০ দিনের মাথায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ (Higher Secondary Examination Results 2025)। বুধবার দুপুর ২টো থেকে নির্ধারিত ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রেজ়াল্ট দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষা সংসদের ওয়েবসাইট ‘রেজ়াল্ট ডট ডব্লিউবি ডট জিওভি ডট ইন’ (www.result.wb.gov.in), ‘রেজ়াল্ট ডট ডিজিলকার ডট জিওভি ডট ইন’ (www.result.digilocker.gov.in)-এ ফলাফল দেখা যাবে। সংসদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করছেন সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, এ বছর পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ। পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। দ্বিতীয় উত্তর ২৪ পরগনা এবং তৃতীয় কলকাতা। উচ্চ মাধ্যমিকে সার্বিক ভাবে পাশের হারে এগিয়ে ছাত্রেরা। পাশের হার ৯২ শতাংশের বেশি। মেয়েদের মধ্যে পাশের হার ৮৮ শতাংশের কিছু বেশি। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাশের হার বেড়েছে। ১০ বছরের মধ্যে এবারের রেজাল্ট সব থেকে ভাল রেজাল্ট। প্রথম ১০ জনের মধ্যে রয়েছে ৭২ জন। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম রূপায়ন পাল। এদিন শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, যারা অকৃতকার্য হয়েছে, তারা প্রয়োজনে নিউ সিস্টেমে পরীক্ষা দিতে পারবে। অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে পরীক্ষা। আগামী বছর পরীক্ষা হবে সেমেস্টার সিস্টেমে। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম রূপায়ন পাল। বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র। প্রাপ্ত নম্বর- ৪৯৭। দ্বিতীয় হয়েছেন তুষার দেবনাথ। কোচবিহারের বক্সিরহাট হাইস্কুলের ছাত্র । প্রাপ্ত নম্বর- ৪৯৬ । তৃতীয় হয়েছে হুগলির আরামবাগ হাইস্কুলের ছাত্র রাজর্ষি অধিকারী, প্রাপ্ত নম্বর – ৪৯৫। চতুর্থ হয়েছে শ্রীজিতা ঘোষাল, সোনামুখী গালর্স হাইস্কুল, প্রাপ্ত নম্বর- ৪৯৪। উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দশে এ বছর হুগলি থেকে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া রয়েছেন। আছে ১৪ জন। কলকাতার চার জন প্রথম দশে রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৪, কলকাতা থেকে ৪ জন মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। পাঠভবনের ছাত্র তথাগত রায় মেধাতালিকায় অষ্টম স্থানে। কলকাতা থেকে প্রথম তথাগত রায়।

আগামী বছর মাধ্যমিক কবে?

২০২৬-এ আরও এগিয়ে এল মাধ্যমিক (Madhyamik 2026)। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শুরু হয়ে যাবে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। মঙ্গলবার সেই পরীক্ষার রুটিন দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এক নজরে দেখুন সম্পূর্ণ রুটিন ২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার: প্রথম ভাষা ৩ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার: দ্বিতীয় ভাষা ৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার: ইতিহাস ৭ ফেব্রুয়ারি, শনিবার: ভূগোল ৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার: গণিত ১০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার: ভৌত বিজ্ঞান ১১ ফেব্রুয়ারি, বুধবার: জীবন বিজ্ঞান ১২ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার: অ্যাডিশনাল উল্লেখ্য, শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে পরে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল পৌনে ১১টায়। শেষ দুপুর দু’টোয়। প্রথম পনেরো মিনিট বরাদ্দ শুধুমাত্র প্রশ্নপত্র দেখার জন্য। লেখা শুরু করা যাবে ১১টায়। তবে ভোকেশনাল বিষয়, কম্পিউটার পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময়সীমা রয়েছে অন্য।  

অপারেশন সিঁদুর: পহেলগাম হামলার জবাব দিল ভারত

ওয়েব ডেস্ক: পহেলহাম হামলার জবাব পাকিস্তানকে ভারত নিজের পছন্দের সময়ে এবং পছন্দের স্থানে দেবে বলে ন‍য়াদিল্লির তরফে আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার মধ্যরাত পেরিয়ে যাওয়ার পরে সেই আঘাত হানা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে এক্স হ‍্যান্ডলে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই শুরু হয়েছে ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Operation Sindoor)। মধ‍্যরাতে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশ করা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে কোনও শহরের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে যে, পাকিস্তানে এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে বলে মন্ত্রক বিবৃতিতে দাবি করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “আমাদের পদক্ষেপ সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং অপ্ররোচনামূলক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং আঘাত হানার প্রশ্নে ভারত উল্লেখযোগ্য সংযম দেখিয়েছে।” বুধবার এই অভিযান তথা প্রিসিশন স্ট্রাইকের বিষয়ে বিশদ তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রাতে জানিয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এই অপারেশন শুরুর পরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাতে তিনি লেখেন ভারত মাতার জয়।