কবে আসছে বর্ষা?

কলকাতা: নির্ধারিত সময়ের আগেই কেরলে আসছে বর্ষা (Monsoon)। মঙ্গলবার আইএমডি (IMD) সূত্রে খবর, আগামী চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যেই আসতে চলেছে বর্ষা। কারণ ওই সময়ের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কেরলে ঢুকতে চলেছে। আগেই ২৭ মের পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএমডি। আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী কেরলে মৌসুমি বায়ু পৌঁছায়, তাহলে ২০০৯ সালের পর থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডে এটাই হবে প্রথম বর্ষা। ২০০৯ সালে বর্ষা ২৩ মে শুরু হয়েছিল। সাধারণত, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ১ জুনের দিকে কেরলে আসে। ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৭ সেপ্টেম্বরের দিকে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বিদায় নিতে শুরু করে এবং ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বিদায় নেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, শুরুর তারিখগুলি ছিল: ৩০ মে (২০২৪), ৮ জুন (২০২৩), ২৯ মে (২০২২), ৩ জুন (২০২১), ১ জুন (২০২০)। আবহাওয়া দফতর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, “আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে কেরলে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷” চলতি বছরের এপ্রিলেই আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্ষার পথে প্রতিবন্ধকতা হবে না এল নিনো ৷ তাই এবার দেশে স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি বৃষ্টি হবে ৷ এল নিনোর (El Nino) প্রভাবে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হয়ে থাকে ৷ আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, গত ৫০ বছরের গড়ে ৯৬ শতাংশ এবং ১০৪ শতাংশের মাঝামাঝি ৮৭ সেমি বৃষ্টিপাতকে স্বাভাবিক বলে ধরা হয় ৷ তবে দীর্ঘ সময় গড়ে ৯০ শতাংশের কম বৃষ্টি হলে তাকে ঘাটতি বলা ধরা হয়। ৯০ ও ৯৫ শতাংশের মাঝামাঝিকে ‘স্বাভাবিকের থেকে কম’, ১০৫ শতাংশ ও ১১০ শতাংশের মধ্যে হলে তাকে স্বাভাবিকের থেকে বেশি এবং ১১০ শতাংশের বেশি বৃষ্টিপাতকে অধিক বলে ধরে নেওয়া হয়।
জৈষ্ঠ্যের শুরুতে একটানা বৃষ্টিতে খানিক স্বস্তি পেয়েছে বঙ্গবাসী

সোমবার বিকেল থেকেই রাজ্যের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি (Rain Forecast Today)। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। জৈষ্ঠ্যের শুরুতে একটানা বৃষ্টিতে খানিক স্বস্তি পেয়েছে বঙ্গবাসী। তবে কলকাতায় এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি (Weather Update)। মঙ্গলবারেও সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। বেলা বাড়লেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সূর্যের তেজ তেমন নেই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। একই পরিস্থিতি থাকবে বুধবারও। মঙ্গল ও বুধবার জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, মে-র শেষদিকে চলবে টানা বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার পরিস্থিতি। ২৬ মে পর্যন্ত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদীয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা। সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। এছাড়া আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কম। মঙ্গলবার মহানগরের তাপমাত্রা থাকবে ২৮.৭, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দু’ ডিগ্রি বেশি।
চাকরিহারাদের বিরাট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার থেকে বিকাশ ভবনে আন্দোলন করছেন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁর আর পরীক্ষা না দিয়ে পুনরায় চাকরি ফেরতের দাবি করেন। বিকাশভবনের মূল গেট ভেঙে ঢুকে পড়েছিলেন। ওই বিক্ষোভের জেরে বিকাশভবনের কর্মীরা বাইরে বেরোতে পারেননি দীর্ঘ সময়। পুলিস বিক্ষোভ (Agitation) অবস্থান তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিস লাঠি চালায়। উভয় পক্ষই আহত হয়। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে সোমবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে চাকরিহারা শিক্ষকদের (Teachers) উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওই শিক্ষকদের মানবিক হতে বললেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আপনারা এখানে না আন্দোলন করে আইনে লড়াই করুন। আমরা সম্পূর্ণ সাহায্য করব। আমরা ওঁদের বিপক্ষে নই। কিন্তু যদি কোনও রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, জলঘোলা করবে। তাহলে সেই রাজনৈতিক দলকে আমার প্রশ্ন থাকবে কোর্টে গিয়ে কেস তো আপনারা করেছিলেন। এটা করা কি উচিত ছিল? আমার যথেষ্ট সহানুভূতি ওদের প্রতি আছে ও থাকবে। আমাদের দিক থেকে আমরা রিভিউ পিটিশন করেছি। খুব খারাপ লাগাছে। যাঁরা উস্কাচ্ছে তাঁরাই ওঁদের বিরুদ্ধ মামলা করেছে। আদালত কোনও সিদ্ধান্ত নিলে আমরা তা মানতে বাধ্য। এখনও কারও মাইনে বন্ধ হয়নি। রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করা উচিত ছিল। আমি নিজে ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষকদর সম্মান, প্রত্যাশা করি। শিক্ষকের সংখ্যা কম। বাইরেরে লোকের সংখ্যা বেশি। অন্তঃসত্ত্বা মাকে বাড়ি যেতে দিচ্ছে না। অফিসে কাজ করছেন তাঁকে ১৪, ১৮, ২০ ঘণ্টা আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে। এক মহিলা পরীক্ষার্থীকে বাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি। তিনি ভয়ে লাফ দিয়েছেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমি আন্দোলনের বিপক্ষে নই। তবে আন্দোলন করারও একটি লক্ষণ রেখা আছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে মানবিকতার প্রসঙ্গ।
উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনদিনের এই সফরে থাকছে একগুচ্ছ কর্মসূচী। সফরের প্রথমদিনেই তিনি শিল্পপতিদের সঙ্গে বিজনেস মিট করবেন। ২০ তারিখ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেবেন উপভোক্তাদের হাতে। ২১ তারিখ রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক। সূত্রের খবর, জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায়। ১৯ মে প্রথমে শিলিগুড়ি পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামবেন বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে সড়কপথে সরাসরি শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে পৌঁছে একটি সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মমতা। এখন থেকে ওই এলাকার সর্বত্র আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবারের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীও। যে কারণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলছে পুলিশের জোরদার টহল। শনিবার দীনবন্ধু মঞ্চের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসছেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল ও অন্যান্য প্রশাসনিক অফিসাররা।
এই পাঁচ জেলায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি

আকাশ মেঘলা (Cloudy Sky) থাকলেও তীব্র গরমে হাঁসফাঁস (Heat Wave) অবস্থা শহরবাসীর। রাস্তায় বের হলেও দরদর ঘেমে নেয়ে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে। রাতেও একই অবস্থা। এক তীব্র দমবন্ধ করা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এই তীব্র গরমের থেকে একটু হলেও স্বস্তি দিচ্ছে আবহাওয়া অফিসের বার্তা। আজ শনিবার কালবৈশাখী (Kalbaisakhi Alert) সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather Update) সব জেলায়। আবহাওয়া দফতর (Weather Office) জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচদিন ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে গরম ও সেই সঙ্গে অস্বস্তিকর পরিবেশ থাকবে। তবে ঝড় বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। শনি থেকে সোমবারের মধ্যে দু থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা সামান্য নীচে নামবে। শনিবার বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। কলকাতাতেও বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেইসঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। শনিবারের থেকে বেশি রবিবার কলকাতায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। এই ঝড়বৃষ্টির দাপট চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গরম ও অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে। শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.২ ডিগ্রির আশেপাশের থাকবে। মঙ্গলবারের মধ্যে ২–৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে উত্তরবঙ্গে সব ঝড়বৃষ্টি চলছে। ভারী বৃষ্টি চলবে উপরের পাঁচটি জেলায়। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব জেলাতেই ঝড়বৃষ্টি দাপট অব্যাহত থাকবে। ফলে কমবে তাপমাত্রা। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে।
জেলায় জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী?

ভ্যাপসা গরম ও চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। এই জ্বালা পোড়া গরম থেকে কবে রেহাই মিলবে সেই প্রশ্ন সকলের। এবার সুখবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পাঁচ জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী (Kalbaisakhi)। বৃহস্পতিবারের পর থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণের প্রায় সব জেলাতেই কমবেশি ঝড়বৃষ্টি (Rain Strom Forecast) হতে পারে। বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। তাপমাত্রাও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। একটানা ভ্যাপসা গরম চলেছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে সকাল থেকেই গলদঘর্ম অবস্থা পশ্চিমের জেলাগুলির। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই ছবিটা কিছুটা বদলে গেল।বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আবহাওয়ার দাওয়া বদল ঘটল। মেঘের দেখা মিলল কলকাতার আকাশেও। হাওয়া অফিস বলছে, এদিন দক্ষিণের বেশিরভাগ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বইবে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। রাতের দিকে কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও ঝড়ো হাওয়া-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, বীরভূম, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে কালবৈশাখী বইতে পারে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়। বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখীর পরিস্থিতি চার জেলাতে-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলাতে। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে কলকাতা-সহ সব জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে। শুক্রবার কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি থাকবে দুই জেলাতে-নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ সব জেলাতে রয়েছে। শনি ও রবিবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে কলকাতা-সহ সব জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। সোমবারের ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলাতে।
রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় শক্তি (Cyclone Shakti)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৩ থেকে ২৮ মে এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ তৈরি হতে পারে। ২৪ থেকে ২৬ মে এর মধ্যে উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা এবং ওড়িশা থেকে চট্টগ্রাম উপকূলকে। শক্তির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চল। ঝড় এগিয়ে গেলে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল তাণ্ডব চালাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারি বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। আয়লা, ফণী, আমফান, ইয়াস রুদ্রমূর্তি নিয়ে মে মাসে একে একে ধেয়ে এসেছিল। এবার ফের সেই মে মাসে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের (Bay Of Bengal) কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি করতে পারে। ১৬ মে থেকে ২২ মে এর মধ্যে নিম্নচাপ তৈরি হয়, তাহলে আবারো একটি ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের রূপ নিতে পারে। আবহাওয়া দফতর পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। তিন থেকে চারদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এ বছর দেশে আগাম বর্ষা। মঙ্গলবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ আন্দামান সাগর, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং উত্তর আন্দামান সাগরের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে গত দুই দিনে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। মৌসুমি বায়ু কেরালায় সাধারণত ১ জুন প্রবেশ করে তবে চলতি বছর ২৭ মে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলার জন্য আশার বাণী শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গোটা রাজ্যেই আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। চাঁদিফাটা রোদে গলদঘর্ম দশা রাজ্যবাসীর। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ (Heatwave South Bengal) পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি থেকে কবে স্বস্তি মিলবে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যবাসীর মনে। সোমবার সন্ধ্যায় ঝড়বৃষ্টির (Rain Strom Forecast) ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে আবার সেই পুরনো ফর্মে ব্যাট করছে গরম। বুধ সন্ধ্যা কি আদৌ হাওয়া বদল হবে? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বুধবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। তবে জারি রয়েছে অস্বস্তিকর গরম। দিনভর প্যাচপ্যাচে ঘাম নিয়েই কাটবে। তবে সন্ধ্যার পর বদল আসতে পারে আবহাওয়ায়। কোনও কোনও বৃষ্টি হলেও হতে পারে। কলকাতায় না হলেও বুধে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। হাল্কা হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির সঙ্গে তাপপ্রবাহও বজায় থাকবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়বৃষ্টি বাড়তে পারে।
ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলা

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলা (DA Case)। বুধবার দুপুর ২টোয় সুপ্রিমকোর্টের (supreme court) বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এদিন মামলা শুরুর আগেই রাজ্যের তরফে ফের সময় চাওয়া হয়। রাজ্যের আবেদনের বিরোধিতা করেন মামলাকারীদের আইনজীবী। যদিও দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে মামলা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে ১৭ বার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। এই অবস্থায় আজ শুনানি শুরু হয় কি না এবং আদালত কী জানায়, সেইদিকে নজর থাকবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার দাবিতে বহুদিন ধরে সরব রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে ডিএ মামলা। তারপর থেকে একাধিকবার শুনানি হয়েছে এবং শুনানির দিন পিছিয়েছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হত। তবে শুনানি শেষ হওয়ার আগেই বিচারপতি অবসর নেন। এরপর মামলা নতুন বেঞ্চে যায়। এই মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেই কয়েক দফায় ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা কেন্দ্রীয় হারের সমতুল্য হয়নি।
মে মাসে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন?

ওয়েব ডেস্ক: ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন (Cyclone) । কলকাতাতেও ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা (Cyclone Alert)! পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের (Bay Of Bengal) কাছে একটি সিস্টেম তৈরি হয়েছে, তা ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে পারে, তবে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৬ থেকে ২২ মে’র মধ্যে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে, সেটি শক্তি বাড়িয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র (RMC) অনুসারে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। RMC- র আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ এইচ আর বিশ্বাস জানিয়েছেন, এত তাড়াতাড়ি সিস্টেমটি কত শক্তিশালী আকার নেবে, তা বলা সম্ভব নয়, তবে আগামী চারদিনের মধ্যে আমরা এর গতিবিধির সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে পারব বলে আশা রাখছি। ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আমফান আছড়ে পড়েছিল, দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতাকে তছনছ করে দেয়। গত পাঁচ বছরে পাঁচটি ঘূর্ণিঝড় বাংলা-বাংলাদেশ এবং বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আঘাত হেনেছে। এই ঘূর্ণিঝড় কত শক্তিশালী হবে, বলা যাচ্ছে না। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম শক্তি, এটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামীকাল ১৩ মে আংশিক মেঘলা আকাশ, সেই সঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। ১৪ মে একই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। ১৫ মে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে এবং মাঝারি বৃষ্টিপাত থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস। ১৬ মে আংশিক মেঘলা আকাশ, মাঝারি বৃষ্টিপাত বা বজ্র বৃষ্টিপাত সহ ঝড়ের পূর্বাভাস। ১৭ মে একই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। ১৮ মে বৃষ্টি ও ঝড়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। মে মাসেই বার বার ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা দেখা গেছে। মে মাসেই কেন ঘূর্ণিঝড়। আবহবিদদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিশ্ব উষ্ণায়ন অন্যতম কারণ। এ ছাড়াও রয়েছে সমুদ্রের জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি। এই মাসটি সাইক্লোন সিজন ও জলীয় বাষ্প যুক্ত পুবালী হাওয়া। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বিএমডি ঝড়ো বাতাস সহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বগুড়া, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট এলাকায়। নদী বন্দরগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী কী কী বললেন?

ওয়েব ডেস্ক: সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশকেই চাপ দিয়েছিলেন সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য। অন্যথায় আন্তর্জাতিক ব্যবসার উপর প্রভাব পড়বে বলেও দুই দেশকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই কথা আরও এক বার ‘মনে করালেন’ ট্রাম্প। ঘটনাচক্রে তাঁর মন্তব্যের কিছু ক্ষণ পরে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এদিন স্পষ্ট জানান, আমাদের সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক। আকাশ, জল থেকে মাটি- সর্বত্র আমরা প্রস্তুত থেকেছি। ‘নতুন নর্মাল’ তৈরি করেছে সেনা। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হগলে আবার জবাব দেওয়া হবে। কোনও ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ ভারত সহ্য করবে না। পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয় ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে। ‘টেরর’ ও ‘টক’ (সন্ত্রাস এবং আলোচনা) একসঙ্গে চলতে পারে না। জল এবং রক্ত একই সঙ্গে বইতে পারে না। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এও আমরা সেই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হাতিয়ার তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। এ বার পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে সন্ত্রাসবাদ নিয়েই কথা হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে এ বার পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই কথা হবে। আজ বুদ্ধপূর্ণিমা, শান্তির পথও যুদ্ধ দিয়ে হয়।