ধেয়ে আসছে ‘শক্তি’

বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal Low Pressure) ঘণীভূত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ (Shakti)। ঘূর্ণিঝড় শক্তির মোকাবিলায় তৎপর সাগর ব্লক প্রশাসন ৷ রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উপকূলবর্তী এলাকার ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। সমুদ্র সৈকতে চলছে পর্যটকদের সতর্ক করার জন্য মাইকিং। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে ‘শক্তি’। এই ঝড়ের নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড়। তবে সরাসরি রাজ্যে ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভবনা নেই। যদিও অন্যান্য রাজ্যে ল্যান্ডফল হলেও তার প্রভাব কিছুটা পড়তে পারে সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড় শক্তির মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গঙ্গাসাগরে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কপিলমুনির আশ্রম লাগোয়া সমুদ্র সৈকতে চলছে মাইকিং প্রচার। পুণ্যার্থীদের স্নানের পর নিরাপদ স্থানে ফিরে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি, গঙ্গাসাগরের যে সব এলাকায় নদীবাঁধ দুর্বল। দুর্যোগের সময় ওই সমস্ত নদী বাঁধের পাশে থাকা মানুষজনকে সরিয়ে স্কুল বা ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে ৷ মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার।

চাকরিহারাদের কী বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৩১ মে-র মধ্যে নতুন করে পরীক্ষায় বসার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে শিক্ষা দফতর। তবে তাতে আপত্তি রয়েছে বলে জানান চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে কী ভাবে ‘যোগ্য’দের চাকরিতে পুনর্বহাল করা যায়, তা দেখুক সরকার। পুনর্বিবেচনা মামলার রায়ের আগে বি়জ্ঞপ্তি প্রকাশ না করার দাবি চাকরিহারাদের। তবে এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, ‘‘যাতে ভুল বার্তা না যায়, তাই। সকলকেই আইন মেনে চলতে হয়। রাজ্য রিভিউ পিটিশন করেছিল। বলেছি সকলকে যাতে চাকরি দেওয়া হয়, কারও যাতে চাকরি না যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সবটাই রেডি করে রাখছি। সুপ্রিম কোর্ট বললে পরীক্ষা দিতে হবে না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। না করলে কোর্ট বলবে, নির্দেশ মানল না। সেই প্রক্রিয়া চলবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট আগের নির্দেশে বলেছে। দু’টো ভাগ রয়েছে। শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। আমাদের করার ইচ্ছা ছিল, চাই যে চাকরিহারাররা সকলে চাকরি ফিরে পাক। অনেকে একক ভাবে কোর্টে গেছেন। কোর্ট থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট আসছে। এটা যে কেউ যেতে পারেন। এটা অধিকার। রাজ্য করলে সকলের স্বার্থ দেখতে হয়। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। চাকরি খেতে চাই না। যেহেতু রিভিউ হয়নি, পিটিশন পেন্ডিং, কোর্টে গরমের ছুটি। আমাদের হাত বাধা। ২টো প্রক্রিয়া চালু থাকবে। নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করব। রিভিউতে ভাল ফল পেলে সেটা গ্রহণ করব।’’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, কাউন্সেলিং হবে ২০ নভেম্বর। যদি রিভিউ না হয়। মমতা বলেন, আমরা বলছি না, কোর্ট বলছে। লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ সব প্রক্রিয়া করে নেব, যদি রিভিউতে বিচার না পেলে। ২৪,২০৩ পদ শূন্য। হাই কোর্টের নির্দেশে ওই পদের জন্য নিয়োগ হবে। এছাড়া অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। ১১,৫১৭ অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি হয়েছে নবম-দশমের জন্য। একাদশ-দ্বাদশের জন্য ৬,৯১২ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হচ্ছে। গ্রুপ-সির জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি হচ্ছে। ৫৭১টি পদ। গ্রুপ ডির জন্য অতিরিক্ত হাজার করা হচ্ছে। মোট শূন্য পদ ৪৪ হাজার ২০৩। নবম-দশম চাকরিহারাদেন নিয়ে ২৩,২১২। একাদশ-দ্বাদশ ১২,৫১৪, গ্রুপ সি ২৯৮৯, গ্রুপ ডি ৫,৪৮৮। এমনকী যাঁরা চাকরি করেছেন, বয়স পেরিয়ে গিয়েছে, এ রকম অনেকে রয়েছেন। চাকরিহারাদের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দেওয়া হব। বয়সের জন্য আটকাবে না। চাকরিহারারা বয়স পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষায় বসতে পারবেন। যাঁরা কাজ করছেন অভিজ্ঞতার জন্য সুবিধা দেব। রিভিউ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রিভিউয়ের জন্য অপেক্ষ্ করতে হবে। বললে হবে না, পরীক্ষা দেব দেব না। তাহলে চাকরি থাকবে না। এটা আমাদের নির্দেশ নয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। সরকার কোর্টে গিয়ে বাতিল করেনি। এটা আমাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। কিছু স্বার্থপর মানুষ বাতিল করেছেন। আজ তাঁরা বন্ধু হয়ে ঢোকার চেষ্টা করছেন। সকলকে বলব, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী, অপশন দুই এবং অপশন এক দুটোই কাজে লাগান। রিভিউ পিটিশন করে বিচার না পেলে, আপনারা পরীক্ষা না দিলে আর চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকবে না। কবে আদালত খুলবে জানি না। গরমের ছুটি শেষ হলে রিভিউ পিটিশন নিয়ে আবার রেজ করব। আমাদের আইনজীবীরা সাধ্যমতো লড়বেন। বিচারের দায়িত্ব বিচারপতিদের হাতে। মানবিক ভাবে তুলে ধরব, যাতে চাকরি বাতিল না হয়।’’

উত্তাল হবে বঙ্গোপসাগর

উত্তর-পূর্ব ভারতের (North East India)  রাজ্যে ঢুকে পড়েছে বর্ষা (Monsoon)। মৌসুমী বায়ু অনুকূল পরিবেশ পেয়ে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বর্ষা সিকিম (Sikkim)  এবং উত্তরবঙ্গের (North Bengal)  কিছু অংশে প্রবেশ করবে। বাংলাতেও (Bengal Monsoon) আগাম বর্ষার অনুমান আবহাওয়া দফতরের। পশ্চিম মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগর (Bay Of Bengal) সং‌লগ্ন এলাকায় আগামী ২৭ মে মঙ্গলবার নিম্নচাপ তৈরির প্রবল সম্ভাবনা। পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে আরও শক্তি বাড়াবে এই নিম্নচাপ। উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে অভিমুখ। উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকবে বুধবার থেকে। মৎস্যজীবীদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে বুধবার থেকে। বৃহস্পতিবার থেকে বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে প্রবেশ নিষেধ। দক্ষিণবঙ্গে আজ সাত জেলায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপু্‌র, ঝাড়গ্রাম মুর্শিদাবাদ, নদিয়া  জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। মঙ্গলবার বিক্ষিপ্তভাবে ঝড় বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে। নয় জেলাতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। উপকূলের জেলা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি,  উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম নদিয়া জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস। বুধবার বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টির দক্ষিণ বঙ্গের  জেলাতে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো বাতাস বইবে। ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। ৭০ থেকে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। বৃহস্পতিবার ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা মাঝারি বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে আট জেলাতে। ভারী বৃষ্টি কলকাতা হাওড়া হুগলি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাতে। শুক্র শনিবারেও বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি হবে দক্ষিণবঙ্গে। পশ্চিমের জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। সব জেলাতেই মেঘলা আকাশ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি সাত জেলাতে। হুগলি পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলাতে, ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। শনিবারে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। অপরদিকে উত্তরবঙ্গে সোমবার বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাস বইবে সব জেলাতে। দার্জিলিং থেকে মালদা সব জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। সোমবার ঝড়ের গতিবেগ বেশি থাকতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হবে উত্তরবঙ্গে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি এবং মালদা জেলাতে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সতর্কতা। অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জলপাইগুড়ি কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। এই তিন জেলায় প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। শনিবারেও এই তিন জেলাতে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা বজায় থাকবে। কলকাতায় মূলত আংশিক মেঘলা আকাশ। বিকেলে মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। সকাল থেকেই গরম এবং অস্বস্তি থাকবে। আজ বিকেল বা রাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।  বুধবার ২৮ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। সপ্তাহান্তে ভারী বৃষ্টির।

ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়?

কলকাতা: চলতি সপ্তাহে জেলায় জেলায় রয়েছে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (West Bengal Rain Forecast)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে (Low Pressure in Bay of Bengal) তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। যার জেরে সপ্তাহভর কলকাতা (Weather Update) সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ২৭ মে পশ্চিম মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। ২৮ মে থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে জেলায় জেলায়। বর্ষার আগে এই নিম্নচাপের জন্য খানিক স্বস্তি পাবে বঙ্গবাসী। কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? ২৮ মে- দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ২৯ মে- বৃষ্টির সম্ভবনা দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। ৩০ মে- ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং হুগলি জেলার কিছু জায়গায়। দুই বঙ্গে ৩০ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ২৮ মে কোচবিহারে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। ২৯ মে কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি হতে পারে। ৩০ মে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং মালদার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। প্রসঙ্গত, এবছর নির্ধারিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই ২৫ মে শনিবার কেরলে শুরু হয়েছে বর্ষা। সাধারণত কেরলে ১ জুন বর্ষা ঢোকে। বাংলায় বর্ষা ঢোকার সাধারণত ৮ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত। কেরলে আগেই বর্ষা ঢুকলেও বাংলায় সময়ের আগে ঢুকবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। যদিও হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কেরলে বর্ষা ঢুকলেও বাংলায় তার কোনও সরাসরি প্রভাব পড়বে না। বঙ্গবাসীর নজর বাংলায় বর্ষা ঢোকার দিনের দিকে।

তিন রাজ্যে নতুন করোনা আক্রান্তের হদিশ

ওয়েব ডেস্ক: ফিরছে করোনার (Corona Virus) চোখ রাঙানি। চলতি মাসে কেরালায় ১৮২ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। মারা গিয়েছে ২ জন। বাংলাতেও ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি মরসুমে ৩ জন করোনা পজিটিভের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের পর এবার দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা , বেঙ্গালুরু ও কেরালাতেও নতুন করে করোনা আক্রান্তের (Covid 19 cases raising in India) হদিশ। তবে এই মুহূর্তে সংক্রমণ ততটা গুরুতর নয়। বাড়িতেই চলছে আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। রাজ্যগুলিতে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। গোটা দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি কেরলে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে এই রাজ্যে। এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে ব়্যাপিড রেসপন্স টিম। গোটা দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি কেরলে। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে এই রাজ্যে। এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে ব়্যাপিড রেসপন্স টিম। জানা গিয়েছে, যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাদের টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিকে RT-PCR কিট ও অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রাখতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা ১২১ জন।

বাংলায় বর্ষা কবে আসবে?

ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা (Monsoon) প্রবেশের আনুষ্ঠানিক সময় ১০ জুন। উত্তরবঙ্গে অবশ্য আরও আগে বর্ষা ঢুকে পড়ে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। দিন দুয়েকের মধ্যেই উত্তরে প্রবেশ করতে পারে বর্ষার বাতাস। পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গেও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও পূর্বাভাস নেই। মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত ১৬ বছরে এত তাড়াতাড়ি দেশে বর্ষার আগমন হয়নি। পশ্চিমবঙ্গেও এ বছর সময়ের আগে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর তেমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। যদিও বাংলায় বর্ষা প্রবেশের বিষয়ে নিশ্চিত করে এখনও কিছু বলা হয়নি। আপাতত বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপের অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থলে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। তার জেরে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে একাধিক জেলায়। ভিজতে পারে কলকাতাও।

একনজরে দেখে নিন ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দল

স্পোর্টস ডেস্ক: রোহিত শর্মা টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হত ভারতকে। ইংল্যান্ড সফরের জন্য শনিবার সেই অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে দিল বোর্ড। ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক হলেন শুভমন গিল (Subhman Gill)। ইংল্যান্ড সফরের জন্য ১৮ জনের দলও ঘোষণা করল বোর্ড। কেন শুভমন গিলকে অধিনায়ক করা হল, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। তিনি জানিয়েছেন, “একটা বা দুটো সিরিজের জন্য অধিনায়ক বাছা হয় না। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করতে হবে। শেষ এক বছরে আমরা শুভমানকে দেখেছি, আগেরবার যখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম তখনও দেখেছি। ড্রেসিং রুমে জোরালো প্রভাব ছিল ওর। আমরা জানি ও টি২০তে গুজরাতের নেতৃত্ব তবে আমরা আশা করছি ওই সঠিক লোক। হ্যাঁ, এটা খুব চাপের দায়িত্ব তবে আশা করছি নেতৃত্ব দেওয়ার ওই সঠিক ব্যক্তি। আমাদের শুভকামনা রইল।” পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলে দলে জায়গা করে নিয়েছেন করুণ নায়ার। উইকেটরক্ষক হিসাবে দলে রয়েছেন ঋষভ পন্থ। তিনি দলের সহ-অধিনায়কও। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে দলে রয়েছেন ধ্রুব জুরেল। মিডল অর্ডার সামলানোর জন্য রয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, রবীন্দ্র জাডেজার মতো ক্রিকেটার। এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইংল্যান্ড সফরে ভারতের স্কোয়াড- শুভমন গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (সহ-অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, লোকেশ রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, করুণ নায়ার, নীতীশ রেড্ডি, রবীন্দ্র জাডেজা, ধ্রুব জুরেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আকাশ দীপ, অর্শদীপ সিংহ এবং কুলদীপ যাদব।

কমলা সতর্কতা জারি কোন কোন জেলায়?

ফের আবহাওয়া নিয়ে বড়সড় আপডেট দিল মৌসিম ভবন (Kolkata Weather Update)। ২৭ মে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তৈরি হতে পারে গভীর নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপ আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা তা এখনও জানায়নি ভারতের মৌসিম ভবন (IMD Weather Update)। আইএমডি-র তরফে জানানো হয়েছে, ২৭ মে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। তবে সেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি, আরব সাগরেও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আরও জানা গিয়েছে, আরব সাগরের পূর্ব-মধ্যাঞ্চলে আরও একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের আবহাওয়া ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিতে মদত দিয়েছে। বিভিন্ন আবহাওয়া মডেলের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপের তীব্রতা ও গতিপথ নিয়ে একাধিক পার্থক্য দেখা গেলেও বেশিরভাগ মডেলই উপকূল বরাবর উত্তরের দিকে অগ্রসর হয়ে ২৪ মে-র মধ্যে একটি ডিপ্রেশনে পরিণত হতে পারে এমনটাই জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে জারি রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা। কোথাও কোথাও আবার ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভবনা। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এখনও চলবে দুর্যোগ

কলকাতা: জোড়া চক্রবৎ ঘূর্ণাবর্তের (Twin Cyclone) জেরে জেলায় জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Alert)। গতকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা সহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে। উত্তর বাংলাদেশ ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর দুটি চক্রবৎ ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার জেরেই আচমকা বৃষ্টি । বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal Weather) চলছে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গেও (North Bengal Weather Update)  চলছে বর্ষণ। আজও বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্তভাবে দক্ষিণবঙ্গে কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি চলবে, এমনটাই পূর্বাভাস (Weather Update) দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আজ ও ২৩ মে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সহ নদিয়াতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতেও বিক্ষপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। ২৪ মে দুই পরগনা সহ মেদিনীপুরে বৃষ্টিপাত চলবে। পাশাপাশি ২৫ মে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে বৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গেও চলবে বৃষ্টি। ২৬ মে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তবে এই বৃষ্টি তীব্র দাবদহ থেকে মুক্তি দিয়েছে। উত্তরবঙ্গেও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২৩ মে উত্তরবঙ্গে সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত, সেই সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। এই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি আছে। বাংলায় বর্ষা (Monsoon) কবে, এখনই কিছু স্পষ্টভাবে জানায়নি আবহাওয়া দফতর। তবে কেরলে বর্ষা আগে ঢোকে তারপর বাংলায়। এবার নির্দিষ্ট সময়ের আগে কেরলে বর্ষা ঢোকার পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম বিভাগ। বাংলার মধ্যে উত্তরবঙ্গে সবার আগে বর্ষার প্রবেশ ঘটে। বর্ষা আগমনের স্বাভাবিক সময় ৮ জুন। দক্ষিণবঙ্গে আসে ১০ জুন। তবে এবার  আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সময়ের আগেই ঢুকেছে বর্ষা, সেই মতো বাংলায় আগে আসার সম্ভাবনা একটা রয়েছে।

একসপ্তাহ ধরে চলবে প্রবল দুর্যোগ

কলকাতা: বঙ্গোপসাগরের (Bay Of Bengal) উপরে তৈরি হয়েছে জোড়া চক্রবৎ ঘূর্ণাবর্ত (Twin cyclones), তার জেরে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস (Heavy Rain)  দিল আবহাওয়া দফতর (Weather Office)। এই দুটি চক্রবৎ ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে উত্তর বাংলাদেশ ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরেr উপরে। যার প্রভাবে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গে। যার জেরে ব্যাপক বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামী কয়েকসপ্তাহ ধরে চলবে এই দুর্যোগ। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত চলবে। ২১ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ভারী বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত চলবে। ২১ মে দঙ্গিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টিপাত চলবে। এর পর ২২ ও ২৩ তারিখ যথাক্রমে পশ্চিম বর্ধমান,বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে ভারী বৃষ্টিপাতে পূর্বাভাস রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেইসঙ্গে  জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ২৩ মে উত্তরবঙ্গের সব জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্য়ুৎ সহ বৃষ্টিপাত হবে। এই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৪ মে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত চলবে। ২৫ মে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত চলবে। ২০-২৫ মে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকবে। ফের দুই বঙ্গেই ২৬ মে থেকে ফের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে গরমে হাত থেকে রেহাই মিলবে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করবে।