পরমাণু অস্ত্রসংখ্যায় শীর্ষে রাশিয়া

ওয়েব ডেস্ক: বিভিন্ন দেশের হাতে কত পরমাণু অস্ত্র রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনল সুইডেনের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নজরদার সংস্থা স্টকহম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা ‘সিপ্রি’ (SIPRI Report)। সেই রিসার্চ অনুসারে, ন’টি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে রাশিয়ার কাছে (৫,৪৫৯)। পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যার নিরিখে তার পরেই রয়েছে আমেরিকা (৫,১৭৭)। ভারত এবং পাকিস্তানের কাছে কত পরমাণু অস্ত্র রয়েছে, তাও প্রকাশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, ভারতের ঝুলিতে রয়েছে ১৮০টি পরমাণু অস্ত্র আর পাকিস্তানের কাছে রয়েছে ১৭০টি পরমাণু অস্ত্র। তবে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যার নিরিখে ভারত এবং পাকিস্তানের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে চিন (৬০০)। প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সাল থেকে ভারত ধাপে ধাপে নিজের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারকে আরও বিস্তৃত করেছে। ‘সিপ্রি’র প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ১৬২টি দেশ অস্ত্র কিনেছে। তবে অস্ত্র কেনার নিরিখে প্রথম পাঁচটি দেশ হল ইউক্রেন, ভারত, কাতার, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান। এই পাঁচটি দেশ একত্রে ওই চার বছরে বিক্রি হওয়া মোট অস্ত্রের ৩৫ শতাংশ ক্রয় করেছে।

বর্ষা ঢুকল দক্ষিণবঙ্গে

কলকাতা: অবশেষে গোটা রাজ্যে পুরোপুরি ঢুকে পড়ল বর্ষা (Monsoon Enters Whole Bengal)। উত্তরবঙ্গে আগেই বর্ষার আগমন ঘটেছিল। তবে আগেভাগে এসে পড়লেও গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে সময় নিচ্ছিল মৌসুমি বায়ু। মঙ্গলবার আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজ্যের সর্বত্রই বর্ষা প্রবেশ করেছে। আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানিয়েছেন, সাধারণত ১০ থেকে ১৫ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসে। এবারও সেই সময়ের মধ্যেই প্রবেশ করেছে মৌসুমি বায়ু। বর্ষার আগমনের সঙ্গে সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস। এবার অস্বস্তিকর গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে চলেছে বঙ্গবাসী। কলকাতা (Heavy Rains Forecast Kolkata ) সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ভারী বৃষ্টির (Heavy Rains Forecast South Bengal) পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিসের। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণাবর্তের হাত ধরে মঙ্গলবার ভোরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি আরও সুনির্দিষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়ে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা। ফলে মঙ্গলবারের মতো বুধবারও ভারী বৃষ্টির (WB Monsoon Heavy Rain Forecast) সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। বাকি দিনগুলিতে রাজ্যের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে। মঙ্গলবার ও বুধবার সমুদ্র থাকবে উত্তাল। দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে। মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার আবার পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হবে। ওই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে ২২ জুন পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে।রাজ্যজুড়ে আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রার কোনও হেরফের হবে না। আগামী দু’দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। ১৯ জুন পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আজ উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছিল। সেখানকার জেলাগুলিতেও চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির দাপট বজায় থাকবে। বুধবার উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরের ভারী বৃষ্টি হবে।

বিজেপির বিরুদ্ধে বিধানসভায় সরব মমতা

কলকাতা: মহারাষ্ট্রের ঘটনা টেনে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিজেপিকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মমতার অভিযোগ, শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বললে বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। লজ্জা করে না আপনাদের! আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং অন্য পরিচয়পত্র থাকার পরেও শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার এই কাজ করেছে। আমি তাদের ধিক্কার জানাই।” যে সব জায়গায় বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার রয়েছে, সেখানেই এই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ মমতার। বস্তুত, মহারাষ্ট্রে কাজ করতে যাওয়া তিন পরিযায়ী শ্রমিককে সম্প্রতি বাংলাদেশি সন্দেহে মুম্বই পুলিশ আটক করে। তাঁদের পাকড়াও করে বাংলার প্রশাসনকে না জানিয়েই পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের নজরে আসে। রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে ফ্ল্যাগ মিটিং করে ওই তিন জনকে আবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়।

বর্ষা কবে আসছে?

ওয়েব ডেস্ক: এক অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে দিয়েই চলেছে দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal Weather Update) সহ কলকাতা সহ তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আবহাওয়া। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Weather Office) সূত্রে পূর্বাভাস, পরিস্থিতি অনুকূল। বাতাসে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প (water vapor) রয়েছে। ফলে আগামী তিনদিনের মধ্যে বর্ষা (Monsoon) আসার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপরে। সেইসঙ্গে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের (Bay Of Bengal) উপরে থাকা ঘূর্ণাবর্তটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে উপস্থিত ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে মিশেছে । শনিবার পূর্ব মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত যে অক্ষরেখাটি বিস্তৃতি ছিল সেটু আর একটু এগিয়ে এসে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সরে গিয়েছে। এর প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতির কথা জানাল আবহাওয়া দফতর। আলিপুরের পূর্বাভাস, আগামী তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা। তবে দক্ষিণবঙ্গে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায়। পাশাপাশি বৃহস্পতি ও শুক্রবার বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। বাকি জেলাগুলিতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। সেইসঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে। অপরদিকে সোম-মঙ্গলবার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত চলবে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) । তবে বুধবার ফের ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে । আজ মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে । বৃহস্পতি ও শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার কলকাতায় দিনের আকাশ সাধারণত মেঘলা থাকবে। মাঝে মধ্যে রোদের ঝলক থাকবে। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে। দুই এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টি চলবে। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে।

বর্ষা নিয়েও বড় আপডেট দিল আলিপুর হাওয়া অফিস

ওয়েব ডেস্ক: গত কয়েকদিন ভ্যাপসা ও অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গবাসীর। তবে সপ্তাহান্তে স্বস্তির খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী চার দিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়তে পারে বর্ষা (Monsoon)। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার ফলে এবার রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির (Rain Update) পরিমাণ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পূর্বাভাস (Weather Forecast) অনুযায়ী, আগামী সোমবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আলিপুর হাওয়া অফিসের মতে, দক্ষিণ বাংলাদেশ ও উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, যা দক্ষিণ ওড়িশা পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখায় পরিণত হয়েছে। এর পাশাপাশি, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলেও রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই দুই সিস্টেমের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমাগত জলীয় বাষ্প ঢুকছে, যা বৃষ্টির উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির (Thunderstorm) পূর্বাভাস। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায় ঘণ্টায় ৪০–৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। অন্যান্য জেলাতেও ৩০–৪০ কিমি বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রবিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর— এই ছয় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার বৃষ্টি কিছুটা কমলেও, বুধবার থেকে ফের সক্রিয় হবে বর্ষা। মালদহ ও দুই দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীর জলস্তর বাড়তে পারে, ফলে নিচু এলাকায় জল জমে প্লাবন এবং পাহাড়ে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বজায় থাকবে ঝোড়ো হাওয়া ও ভ্যাপসা গরমের যুগলবন্দি। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে শহরে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে শহরবাসী সাময়িক স্বস্তি পেতে পারেন বলে মনে করছে হাওয়া অফিস।

কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা ঢুকবে?

কলকাতা: গ্রীষ্মের ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় তাপপ্রবাহের (Heat Wave South Bengal) সতর্কতা। উপকূল ও সংলগ্ন জেলায় গরমের সঙ্গে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তবে এরই মধ্যে রয়েছে স্বস্তির খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিন টানা বৃষ্টির (Heavy Rainfall South Bengal) পূর্বাভাস একাধিক জেলাতে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া চলবে। তবে সেই সঙ্গে থাকবে ভ্যাপসা গরমও। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী সপ্তাহের আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা (Monsoon Arrive South Bengal Next Week) প্রবেশের সম্ভাবনা নেই। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সাধারণত বর্ষা ঢুকে পড়ে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। এ বছর তাতে বেশ খানিকটা দেরি হচ্ছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির (Rainfall Thunderstorm) পূর্বাভাস রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতার কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি চলতে পারে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম এবং দুই বর্ধমানেও মঙ্গলবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। উত্তরবঙ্গের আট জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো হাওয়া বইবে। বিশেষত উপরের পাঁচ জেলায় দুর্যোগ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিরসম্ভাবনা রয়েছে। দুর্যোগ চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে সময়ের আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। উত্তরে বর্ষা প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষা অধরা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে।

আহমেদাবাদে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান, ভয়াবহ দুর্ঘটনা

ওয়েব ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে ভেঙে পড়ল যাত্রিবাহী বিমান (Air India Plane Crash)। ওই বিমানে বহু যাত্রী ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। লোকালয়ে ভেঙে পড়ায় বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না। তবে সবমিলিয়ে হতাহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনাস্থলে এই মুহূর্তে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছেছে। বিমানটি আমদাবাদ থেকে লন্ডন যাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। উড়ানের সময় দুর্ঘটনা ঘটে, বিমানটি আছড়ে পড়ে বলে জানা যাচ্ছে। বিমানবন্দর সংলগ্ন রাস্তাঘাট আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমদাবাদের মেঘানিনগর এলাকায় বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরে ঢোকার সমস্ত রাস্তা। আশপাশের একাধিক বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর তাতেই ২০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তীব্র দহনে জ্বলছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ

ওয়েব ডেস্ক: বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Rain) হলেও তীব্র দহনে জ্বলছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal)। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) বর্ষা (Monsoon) প্রবেশ করলেও এখন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার দেখা নেই। কবে ঢুকবে বর্ষা (Weather Update)? আপাতত সেটাই এখন প্রশ্ন সকলের। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও পর্যন্ত সক্রিয় নয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। তবে আবহাওয়াবিদদের মতে আজ বিকেল থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে। তবে এখনও স্পষ্ট বর্ষা প্রবেশের তারিখ উল্লেখ করেনি আবহাওয়া দফতর। আজ বিকেল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বিরাট হাওয়া বদল হবে। টানা কয়েকদিন ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জেলাগুলিতে। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় জেলাতেই বৃষ্টি চলবে। বৃষ্টির হাত ধরে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট দেখা যেতে পারে। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে এই হাওয়ার দাপট বেশি থাকবে। আজও বিকেলে ভিজবে কলকাতা শহর । বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার দাপট দেখা যাবে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে। আজও উত্তরবঙ্গের দুই পার্বত্য জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মালদা সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজ কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নবান্ন থেকে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: ২০১৯-২২ দিকে করোনা (Corona) মহামারির (Epidemic) আকার নিয়েছিল গোটা দেশে। শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু, লকডাউন, চাকরি খুইয়ে তলানিতে ঠেকেছিল অর্থনীতি। মুখে সদা সর্বদা মাস্ক, হাত স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার ছাড়াও মানুষে মানুষে একটা ভয় তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘ সময় গৃহবন্দি জীবনে অনেক কিছুই হারিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু ফের করোনা হাজির হয়েছে দুয়ারে। নিজের রূপ পরিবর্তন করে সে আবার ভয় ধরাতে এসে গেছে। এই সপ্তাহেও বাংলায় দ্বিতীয় মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের এই নিয়ে প্রাণ গেল মোট দুজন করোনা আক্রান্তের। অবশ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের দাবি, করোনার কারণে মৃত্যু হয়নি ওই ব্যক্তির। মৃতের চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল নথি বিশ্লেষণ করে তারা জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলেও, তার মৃত্যুর কারণ করোনা নয়। শারীরিক অন্যান্য জটিলতার কারণে মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বাংলায় উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পরিস্থিতি একদমই আশঙ্কাজনক নয়, অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। স্বাভাবিক অবস্থাই বজায় থাকবে। প্য়ানডেমিক আর হবে না। তবে সতর্ক থাকা ভালো। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতাল রয়েছে।  সমস্ত ব্যবস্থা আছে সেখানে, প্রয়োজনে সেখানে চিকিৎসা করাবেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত। বিশেষ করে যারা কোমর্বিডিটিতে আক্রন্ত তারা চিকিৎসা করান। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গোটা বিশ্বে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই ঊর্ধমুখী। সেই তালিকায় রয়েছে ভারত। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার পার করেছে। সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। বাংলাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫৪টি। যার জেরে বাংলা জুড়ে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৪৭। পাশাপাশি, গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৫৮ জন। মোট অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ৬ হাজার ৪৯১ জন।

দক্ষিণবঙ্গে কবে বৃষ্টি?

কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। আগামী দু’দিনে ঊর্ধ্বমুখী থাকবে তাপমাত্রা। উপকূল ও সংলগ্ন জেলায় গরমের সঙ্গে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তি জারি থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমের জেলায় শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। আপাতত বর্ষার দেখা পাওয়া যাবে না দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গেই থমকে মৌসুমী বায়ু। উত্তরে বর্ষার প্রবেশ হলেও দক্ষিণে এখনই বর্ষা (Rain Update) নয় বলে স্পষ্ট জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিংসহ কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কেচবিহারে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। যদিও, চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণে প্রবল তাপপ্রবাহ থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। বর্ষা প্রবেশ না করলেও প্রাক বৃষ্টি হয়েছে শহর কলকাতা সহ সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকায়। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বুধবারের পর থেক বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। যদিও, আপাতত ভারী বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।