সপ্তাহান্তে বৃষ্টিতে ভাসবে বঙ্গ?

আবহাওয়ার লুকুচুরি খেলা বজায় রয়েছে। কখনো তীব্র গরম তো কখনও বিকেল হওয়ার সাথে সাথেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি দেখা মিলছে জেলায় জেলায়। ফাল্গুন মাসের শেষেই বঙ্গে জ্যৈষ্ঠ মাসের মত গরম। সঙ্গে কড়া রোদ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশকিছু প্রান্তে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে গিয়েছে। তবে এবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিল, বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। হতে পারে শিলা বৃষ্টিও। সপ্তাহান্তে রাজ্যে তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে বলে জানা যাচ্ছে। বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গেও জারি রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গে দুই পার্বত্য জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মোটের উপর আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রার বিরাট কিছু বদল ঘটবে না উত্তরবঙ্গে।
তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি

চলছে ফাল্গুনের শেষ। কিন্তু তার আগেই পশ্চিমবঙ্গে জ্যৈষ্ঠ মাসের মত গরম। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশকিছু জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে আগেই পূর্বাভাস ছিল সপ্তাহান্তে রাজ্যের বেশকিছু জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল পশ্চিম বর্ধমান, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম এবং ঝাড়গ্রামে। এসব জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এল স্বস্তির খবর। রাজ্যের বেশকিছু জেলায় বিকেল নামার সঙ্গে সঙ্গে ঝেঁপে নামল বৃষ্টি। হুগলী, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, এবং আলিপুরদুয়ারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝেঁপে হল বৃষ্টি। তাতে হঠাৎ করেই যে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থতির যে আবহ তৈরি হয়েছে তার থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে সকলে। বাঁকুড়ায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বড় বড় শিলাতে ছেয়ে যায় গোটা মাঠ চত্বর। তীব্র গরম থেকে স্বস্তি মিললেও রয়েছে আলু চাষে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। তবে গরমে যে এবার নাজেহাল অবস্থা হতে চলেছে বঙ্গবাসীর তা বলার অপেক্ষায় আর নেই। মার্চের মাঝামাঝি রাজ্যে যা অবস্থা এর থেকেই খানিকটা স্পষ্ট এপ্রিল-মে মাসে তীব্র দহন জ্বালায় পুড়তে চলেছে বঙ্গ।
বৃষ্টি কবে আসবে?

বসন্ত সবে গুটিগুটি পায়ে বিদায় নিয়েছে। আর মার্চের মাঝেই দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের (South Bengal Heatwave) পরিস্থিতি। গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। সোমবার পর্যন্ত গরম চরমে থাকবে দিনের বেলায় (Weather Update)। রাতেও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এরই মাঝে আবার কলকাতা (Kolkata Heatwave) সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মার্চেই দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ছোঁবে। দোলেই ৩৯ ডিগ্রিতে উঠেছিল পুরুলিয়ার তাপমাত্রা। শনিবার দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি হয়েছিল বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর,পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। আগামিকাল রবিবারেও দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া এই ছয় জেলাতে তাপপ্রবাহ চলবে। স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি বা তার বেশি থাকবে এই চার জেলায়। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও রবিবার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাতে অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত সকাল ও সন্ধের তাপমাত্রায় ঠাণ্ডার আমেজ থাকবে। ধীরে ধীরে চড়তে শুরু করবে পারদ। দক্ষিণবঙ্গে শনিবার থেকেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে আগামী বুধবার পর্যন্ত চলবে। তবে স্বস্তির খবরও শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। পরের সপ্তাহে ফের বদলে যাবে আবহাওয়া। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টিপাতের (WB Rain 22nd March) পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গে আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত ৪ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। উত্তরে রবিবার বৃষ্টি হবে দার্জিলিং কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকা ছাড়া বাকি সব জেলায় শুষ্ক আবহাওয়া। তাপমাত্রা আগামী কয়েক দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
আজ কোন কোন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?

বসন্তের মাঝামাঝি। তারই মধ্যেই রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা। সকাল হতেই শুরু হচ্ছে ঘাম ঝরা। আবার রাতের দিকে হালকা শীতের আমেজও অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু রোদের দাপট এতই যে শীত কোনও ভাবেই অনুভব করতে পারছেন না কেউ। আর এরই মাঝে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তাপপ্রবাহের সর্তকতা! দোলের পর থেকেই রাজ্যে শুরু হবে তাপপ্রবাহ। ১৬ মার্চ রাজ্যে রয়েছে তাপপ্রবাহের সর্তকতা। দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে – পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফরের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা। তবে দোলের সময় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গে চলবে বৃষ্টি। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা শুক্রবার পর্যন্ত। শনিবারও সেই বৃষ্টির দাপট বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। তারপরেই সেখানে দেখা মিলবে শুষ্ক আবহাওয়ার। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে এখন কোনও ভাবেই নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুষ্ক আবহাওয়াই বজায় থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫. ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী পাঁচ দিনে রাজ্যের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা।
বসন্তের শেষে রাজ্যে শুরু হয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ

দোলের পর থেকে মিলবে না স্বস্তি। বসন্তের শেষে রাজ্যে শুরু হয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ (Heat Wave Condition South Bengal)! হ্যাঁ এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে জেলায় তাপপ্রবাহের (Heat Wave Condition) সতর্কবার্তা রয়েছে ১৬ তারিখ। রবিবার থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গে। ওই দিন দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় তাপপ্রবাহ হতে পারে। তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে। ওই জেলাগুলির জন্য জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুষ্ক বায়ুপ্রবাহের কারণেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী পাঁচ দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে পারদ স্বাভাবিকের থেকে ৩-৪ ডিগ্রি চড়তে পারে। তারপর ২-৩ ডিগ্রি বাড়ার সম্ভাবনা আছে পরবর্তী দুই দিনে। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির গণ্ডিও ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির জন্য দক্ষিণবঙ্গের জন্য বেশ কিছু সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস। চড়া রোদে বয়স্ক ও শিশুদের দীর্ঘ ক্ষণ বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সকলকেই হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে ছাতা কিংবা টুপি। বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চললেও উত্তরের জেলাগুলিতে এখনই সে রকম কোনও সম্ভাবনা নেই। বুধবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে আগামীকাল সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে দু এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ মেঘ সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বইতে পারে। দার্জিলিং কালিংপং আলিপুরদুয়ার কোচবিহারে অনেক জায়গায় হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তর দিনাজপুরের দু এক জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে কিছু জায়গাতে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে দু এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ১৪ তারিখ দার্জিলিং কালিংপং এবং জলপাইগুড়ি জেলায় দু এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ এর সম্ভাবনা। দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে দু এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৫ এবং ১৬ তারিখ দার্জিলিং এবং কালিংপং এ বিক্ষিপ্তভাবে দু এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দূষণের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি

প্রকাশ করা হল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকা। আর সেখানেই উঠে এল ভারতের নাম। জানা যাচ্ছে, বিশ্বের সবথেকে দূষিত ২০টি শহরের নামের যেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে ১৩টি ভারতের শহরের নাম। মঙ্গলবার দূষণ সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা প্রকাশ করা হয় যেখানে এই ভয়াবহ চিত্র এল সামনে। আবারও দিল্লি সেই তালিকার শীর্ষে উঠে এল বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লি পেল বিশ্বের সবথেকে বায়ু-দূষিত রাজধানীর তকমা। আর এই নিয়ে পরপর ৬ বছর দূষণের শীর্ষ স্থানে উঠে এল দিল্লির নাম। রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের সবথেকে বায়ু-দূষিত ২০ শহরের তালিকায় ১৩টি শহর ভারতের, ৪টি পাকিস্তানের, ১ টি চিন এবং ১ টি কাজাখস্তানে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে সবথেকে দূষিত ২০টি শহরের ১৯টি এশিয়া মহাদেশে। ২০২৪ এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, কেবল বায়ুদূষণের কারণে ভারতবাসীর গড় আয়ু ৫ বছর কমে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সবথেকে বায়ু দূষণে ভারাক্রান্ত দেশের মধ্যে ভারত ছিল তৃতীয় স্থানে,আর এবার তা একটু পিছিয়ে হয়েছে পঞ্চম। ২০২৪ এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, কেবল বায়ুদূষণের কারণে ভারতবাসীর গড় আয়ু ৫ বছর কমে যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় রিপোর্টে একাধিক ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে বাংলা

ফের শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে শীর্ষে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের নাম। আর সেই কেন্দ্রীয় রিপোর্ট দেখিয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উৎপাদান শিল্পে ফের একবার কেন্দ্রীয় রিপোর্টে শীর্ষে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের নাম। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লিখেছেন ছোট-মাঝারি উৎপাদন শিল্পে বাংলাই রয়েছে শীর্ষ স্থানে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই পোস্ট… Happy to share that the recently published findings of the “Annual Survey of Unincorporated Sector Enterprises” conducted by the National Statistics Office, Government of India, once again establish Bengal’s top position in (MSME) manufacturing industries and, simultaneously, our… — Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 10, 2025 ছোট-মাঝারি শিল্পে মহিলা চালিত সংস্থার সংখ্যা বাংলায় ৩৬.৪ শতাংশ। পাশাপাশি এ রাজ্যে মহিলা শ্রমিকদের অংশগ্রহণও সবথেকে বেশি, ১২.৭৩ শতাংশ।
কবে থেকে চড়ছে পারদ?

দক্ষিণবঙ্গে বাড়ছে শুষ্ক আবহাওয়ার দাপট (Weather Update)। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার দেখা নেই। ক্রমশ চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বমুখী। সোমবারের পর থেকে তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়ার সম্ভবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Kolkata Weather Update)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের প্রথম থেকেই গরমের অস্বস্তি বোধ হতে শুরু করবে। আগামী পাঁচদিন তাপমাত্রা বাড়বে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত দোল বা রঙের উৎসবের আগে বাতাসে হালকা ঠাণ্ডার শিরশিরানি থাকে। এবার আর তার বালাই নেই। সকালের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি বা খানিক উপরে থাকার সম্ভবনা রয়েছে। পারদ বেশ কিছুটা বেড়ে যাবে। উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া কেমন? দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও বসন্তে দেখা নেই নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার। উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে আগামী দু’দিন হালকা বৃষ্টির সম্ভবনা। তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তনের সম্ভবনা আগামী চার-পাঁচদিন নেই বললেই চলে। শনিবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন ২১ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৭ ডিগ্রি কম৷ দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন দুই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ। সর্বনিম্ন ২৭ শতাংশ। রবিবার পরিষ্কার থাকবে আকাশ। দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি এবং ২২ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। অর্থাৎ, দুইই ঊর্ধ্বগামী।
দক্ষিণবঙ্গে ঠান্ডার আমেজ বেশিদিনে নয়

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) ব্যাটিং দেখেছেন তো? যেন সেই রকমই ‘ব্যাটিং’ করছে শীত। ফাল্গুন মাস চলছে, বসন্তের (Spring) এই ভরা বাজারে হঠাৎই শীত শীত ভাব দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। এই কিছুদিন আগেই ফ্যান চালাতে হচ্ছিল, এসি-র শরণাপন্ন কবে হতে হবে আলোচনা চলছিল তা নিয়ে। এখন রাতে ফ্যান চালাতে হচ্ছে না, গায়ে উঠছে চাদর। হার্দিকের ইনিংস যেমন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, দক্ষিণবঙ্গে ঠান্ডার আমেজও বেশিদিনের নয়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শীতবিলাসীদের সুখ আর বড়জোর ৪৮ ঘণ্টা। তারপরেই চড়তে শুরু করবে তাপমাত্রার পারদ। অর্থাৎ এই ‘উইকেন্ড’ একটু আরাম করে নিতে পারে বাঙালি। দক্ষিণবঙ্গের যা আবহাওয়া, কলকাতা (Kolkata) শহরের অবস্থা সেরকমই। বেলা বাড়লে গরম অনুভূত হচ্ছে, ঘাম হচ্ছে কিন্তু সূর্য ডুবতেই ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। সন্ধে থেকে রাতভোর হয়ে সাতসকাল পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে শীতের আমেজ। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ছবি অন্যরকম। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পার্বত্য এলাকায় হতে পারে তুষারপাতও যা পর্যটকদের আনন্দ দিতে পারে। উত্তরবঙ্গের এই আবহাওয়া আপাতত কিছুদিন স্থায়ী হবে।
জয়শঙ্করের উপর হামলা কাণ্ডে ব্রিটেন সরকার কী জানাল?

লন্ডনে (London) ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় (Security Breach) কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ব্রিটেন সরকার (Britain Government)। বুধবার রাতে লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে একটি আলোচনাসভায় যোগ দিতে গেলে খলিস্তানপন্থীরা (Khalistani Attack) তাঁর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই এক বিক্ষোভকারী ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে এবং কনভয়ের সামনে স্লোগান দেয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ব্রিটেনের বিদেশ, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন দফতর বা এফসিডিও। এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে। তবে হুমকি, ভয় দেখানো বা সরকারি অনুষ্ঠান বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।” ব্রিটিশ সরকার আরও জানায়, তারা কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘটনার সময় জয়শঙ্কর চ্যাথাম হাউসের ভিতরে ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার সময় খলিস্তানপন্থীরা তাঁর গাড়ির সামনে চলে আসে। সূত্রের খবর, পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়। সেই সময় এক ব্যক্তি দৌড়ে গিয়ে গাড়ির সামনে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। এরপর আরও কয়েকজন জয়শঙ্করের কনভয়ের সামনে এসে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় কড়া নিন্দা করেছে ভারত সরকারও। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং চরমপন্থী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উস্কানিমূলক কাজ করেছে। আমরা গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার অপব্যবহারের নিন্দা জানাই এবং আশা করি সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা যথাযথভাবে পালন করবে।”