তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা

কয়েকদিনের স্বস্তি মিললেও, ফের তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা হতে চলেছে বঙ্গবাসীর! কারণ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস আর নেই বঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সপ্তাহান্তে রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির উপর চলে যাবে। এবং কলকাতার তাপমাত্রা হতে পারে প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস! আগামী তিন দিনে রাজ্যের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেই খবর। উল্লেখ্য, মার্চ মাসের প্রথম থেকেই তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা হয় বঙ্গবাসীর। এমনকি রাজ্যের বেশকিছু জেলাতে জারি করা হয়েছিল তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতাও। আর তারপরেই নামে স্বস্তির বৃষ্টি, যা সকলের প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। কমে যায় বেশকিছুটা তাপমাত্রাও। তবে এবার আর মিলবেনা তেমন স্বস্তি কারণ এবার তাপমাত্রা ফের বাড়বে বলেই জানা যাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বজায় থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা  ৩৪.৮ ডিগ্রি। তবে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা যেমন বাড়বে, উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে রয়েছে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, রবিবার ও সোমবার দার্জিলিংয়ের পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

পামবন রেলওয়ে সমুদ্র সেতুর উদ্বোধন করবেন মোদি

রামনবমী (Ram Navmi) উপলক্ষে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে তামিলনাড়ু সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৬ এপ্রিল তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের রামনাথস্বামী মন্দির দর্শনে করবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্দিরে প্রার্থনায় অংশ নেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী (Naredra Modi) তামিলনাড়ুতে (Tamilnadu) আধুনিক প্রযুক্তিতে নতুনভাবে নির্মিত পামবন সেতুর (Pamban Bridge) উদ্বোধন করবেন। আগে সেতুটি ১৯১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। সেটি অবস্থার ভগ্নদশায় পরিণত হয়। ২০২২ সাল থেকে সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেতুটিকে আবার পুনর্নির্মাণ করা হয়। নয়া সেতুটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটি এশিয়ার প্রথম উলম্ব লিফট রেল সেতু (first vertical lift railway sea bridge)। ২০২৪ সালের নভেম্বরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী যাদব ট্যুইট করে বলেছিলেন, ভারতের প্রথম উল্লম্ব লিফট রেলওয়ে সমুদ্র সেতু। পামবন সেতুর সংযোগ দেশে এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করবে। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL) কর্তৃক ৫৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুটি ২.৫ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি দ্রুতগামী ট্রেন এবং বর্ধিত ট্র্যাফিক পরিচালনা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। নতুন পামবন সেতু কেবল কার্যকরী নয়, এটি অগ্রগতির প্রতীক, আধুনিক প্রকৌশলের মাধ্যমে নির্মিত হয়েছে।  ভারতের মূল ভূখণ্ড এবং তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম দ্বীপের মধ্যে পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ে ট্রেনগুলিকে সমুদ্র পার হতে সক্ষম করবে। উল্লেখ্য, নতুন পামবান সেতুটি এশিয়ার প্রথম উল্লম্ব লিফট রেল সেতু। নতুন কাঠামো চালু হওয়ার পর ১১১ বছরের পুরনো পামবান সেতুটি ভেঙে ফেলা হবে কিনা তা রেলওয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ১৯১৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত, যখন একটি সমান্তরাল সড়ক সেতু চালু হয়, তখন থেকে পুরাতন সেতুটি রামেশ্বরম এবং পর্যটন কেন্দ্র ধনুষকোডির সঙ্গে একমাত্র রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল। তবে, বাতাসের গতিবেগ ৫৮ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে উত্তোলন ব্যবস্থা কাজ করতে পারে না, যা প্রায়শই অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঘটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালের নভেম্বরে নতুন পামবান সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, আরভিএনএল-এর অধীনে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কোভিড মহামারীর কারণে পিছিয়ে যায়।

১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে

বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪ শতাংশ ডিএর (WB State Government Employees DA 18 Percent) বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ১ এপ্রিল থেকে এই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে। মঙ্গলবার নবান্নের তরযফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি (4 Percent Dearness Allowance Increase) পেয়ে ১৮ শতাংশ হল। পেনশনভোগীরাও এই সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানায়, আগামী এপ্রিল মাসে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো আগামী ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। মঙ্গলবার ডিএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন জানায়, ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ছে। ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। রাজ্যে সরকারি শিক্ষক, অশিক্ষক, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারের অধীনস্থ অফিস কর্মীরা, পঞ্চায়েত কর্মী, মিউনিসিপ্যালিটি ও কর্পোরেশন কর্মীরাও ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন। কিন্ত রাজ্য সরকারি করমীরা ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পেলেও কেন্দ্র-রাজ্যের মহার্ঘ ভাতায় ৩৫ শতাংশ ফারাক রয়েছে। এই ফারাক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সরকারি কর্মচারীদের বামপন্থী সংগঠনগুলি। ন্যায্য ডিএ-র দাবিতে আগামী ৭-৯ এপ্রিল রাজ্য জুড়ে সরকারি দফতরে ৩ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে একটি বাম সংগঠনের সদস্যেরা। গ্রামী যৌথ মঞ্চ আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘বকেয়া যা ছিল, তার তুলনায় সামান্য ডিএ দিয়েছেন, বাজার মূল্যের সঙ্গে এই ডিএ-র শতাংশের সাযুজ্য নেই। তবে তৃণমূল কর্মচারী সংগঠন সরকারের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।

ফের চড়বে পারদ

ঝড়-বৃষ্টিতে (Rain) তাপমাত্রা কিছুটা নামলেও ধীরে ধীরে বাড়বে গরম (Mercury Rise Again), এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Weather Office)। এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে (Sourth Bengal) বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা নেই, আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে শুক্র ও শনিবার উত্তরবঙ্গের (North Bengal Weather) উপরের দু-তিন জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত কয়েকদিন সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পের (water vapor) প্রবেশ ঘটেছিল বাংলার উপকূলে (Bengal Coast) । সঙ্গে ছিল উত্তর-পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পরোক্ষ প্রভাব। ফলে বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতি আর নেই, ফের ফের চড়বে পারদ ৷ ফিরবে গরম। সোমবার রাজ্যের সব জেলার আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক থাকবে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ আজ দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩১ ডিগ্রি এবং ২৩ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে ৷ আজ বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই ৷ ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়বে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি বাড়বে ৷ আগামিকাল থেকে পরবর্তী তিনদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে, অর্থাৎ ফিরবে গরম।

এখনই সরছে না বৃষ্টির ভ্রূকুটি

গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। তবে তা উপেক্ষা করে, নির্বিঘ্নে কেটেছে আইপিলএল। তবে এখনই রেহাই মিলবে না বৃষ্টি থেকে। বরং সপ্তাহের শেষে রাজ্যের সব জেলায় রয়েছে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Alert)। হাওয়া অফিস জারি করেছে হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert)। দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস (South Bengal Weather Update) দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভবনা। শনিবার বৃষ্টি হয়েছে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি এবং হাওড়া জেলার বেশ কিছু এলাকায়। রবিবার জেলায় জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা। ২৪ তারিখ সোমবারও দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা হালকা বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার থেকে হবে তাপমাত্রার পরিবর্তন। উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস (North Bengal Weather Update) দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও রবিবার জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। উত্তরবঙ্গের মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, কালিম্পঙ, আলিপুরদুয়ার জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়, বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি সম্ভবনা। অন্যান্য জেলাগুলিতে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমবে। সোমবার থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। সোমবার থেকে আবহাওয়ায় পরিবর্তন (Weather Update) গত কয়েক দিনের ঝড় বৃষ্টিতে রাজ্যে তাপমাত্রা অনেকটাই কমেছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টা তাপমাত্রা আরও কমবে। তবে সোমবার থেকে পারদ চড়তে শুরু করবে। ঝড়বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি কমতে পারে। পরের তিনদিন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে উর্দ্ধমুখী হবে। সোমবার থেকে বদলাবে রাজ্যের আবহাওয়া। কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া? (Kolkata Weather Update) ঝড়বৃষ্টির কারণে উধাও গরমের দাপট। এক ধাক্কায় পারদ পতন হয়েছে অনেকটা। রয়েছে খানিক শীতের শিরশিরানি। তবে সোমবার থেকে আবহাওয়া শুষ্ক হতে পারে। কলকাতায় থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। সঙ্গে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৬ ডিগ্রি সেলস এর স্বাভাবিকের থেকে ৩.৫ ডিগ্রি কম। শনিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের তুলনায় ৯. ২ ডিগ্রি কম।

রাজ্যজুড়ে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা

গরমের দাবদাহের মাঝে স্বস্তির বার্তা নিয়ে এল চৈত্রের বৃষ্টি। শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা ( Kolkata ), উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির ( Rain ) দেখা মিলেছে। শীতের ( winter ) রেশ মিলিয়ে যাওয়ার পর আচমকাই ঠান্ডা হাওয়া বয়ে চলেছে, যা নিয়ে বেশ খুশি শহরবাসী। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনি ও রবিবার দিনভর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে, যার ফলে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নিচে নেমে যেতে পারে। বিকেলের দিকেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলিতে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়া অফিসের মতে, এই আবহাওয়া আগামী কয়েকদিন বজায় থাকবে। ফলে গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহের আগে স্বস্তির শীতল আমেজ পাচ্ছেন রাজ্যবাসী। তবে এই বৃষ্টির প্রভাব পড়তে পারে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় অনুষ্ঠিতব্য আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এর পরেই রয়েছে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু দলের ম্যাচ, যেখানে আবহাওয়ার চোখ রাঙানি থাকতে পারে। ম্যাচের সময় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে কিছুটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয়, উত্তরবঙ্গেও ব্যাপক বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি সহ মোট আটটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারি করেছে। বঙ্গোপসাগর থেকে বিপুল জলীয় বাষ্প ঢুকছে, যা বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেবে। সেই সঙ্গে অক্ষরেখার প্রভাবও রয়েছে, যার ফলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত চলবে। ফলে মার্চের শুরুতে যে তীব্র গরম অনুভূত হয়েছিল, তা খানিকটা হলেও কমবে। রাজ্যবাসী আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও, বৃষ্টি কতদিন ধরে চলবে এবং তার প্রভাব কেমন হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ফের ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

চৈত্রের শুরু এবং মার্চের (March) মাঝামাঝি, তাতেই গরমে হাঁসফাঁস কাণ্ড বঙ্গবাসীর। চৈত্রের শুরুতেই বৈশাখ মাসের মত গরম। সকলেই আতঙ্কে এখনই এই অবস্থা হলে গোটা গ্রীষ্মকালে কী হতে চলেছে! কারণ গত সপ্তাহেই রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে গেছিল। জারি করা হয়েছিল গরমের কমলা সতর্কতাও। তবে এরই মাঝেই আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বৃষ্টির (Rain) সতর্কতা। জানা যাচ্ছে, রুদ্রমূর্তিতে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী (Kalbaisakhi)। সপ্তাহান্তে রাজ্যজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস। এমনকি হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। গতকাল থেকেই আবহাওয়া তার খেলা শুরু করে দিয়েছে। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এমনকি শুক্রবার সকাল থেকেই তিলোত্তমার আকাশের মন খারাপ। মেঘলা করে রয়েছে আকাশ। আজ জেলায় জেলায় রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। পাশাপাশি তিলোত্তমাও ভাসতে পারে জলে। তবে এ যেমন স্বস্তির খবর, আবার কিছুটা মন খারাপেরও। কেন বলুন তো? ২২ মার্চ ২০২৫ থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএল (IPL)। অর্থাৎ শনিবার। আর গতবছরের বিজেতা দল ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স, তাই কলকাতা এবছর অগ্রাধিকার পেতে চলেছে ম্যাচ কলকাতার মাঠে আয়োজনের। উদ্বোধনী ম্যাচ হতে চলেছে কলকাতাতেই। কেকেআর ভার্সেস আরসিবি। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে এই ম্যাচ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পেশাল পারফর্মেন্স থাকতে চলেছে শ্রেয়া ঘোষাল থেকে শুরু করে অরিজিৎ সিং, এবং আরও অনেকের। কিন্তু শনিবারই তিলোত্তমায় রয়েছে বৃষ্টির লাল সতর্কতা। তাই উদ্বোধনী ম্যাচ হয়তো জলে ভাসতে চলেছে বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে বৃষ্টির কমলা সতর্কতা। ঝাড়গ্রাম, হুগলী, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান এবং দুই মেদিনীপুরে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বইতে পারে ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া। আজ কলকাতার সর্বচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং সর্বনিম্ম তাপমাত্রা ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গে যেমন বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গে মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং আলিপুরদুয়ারে রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গেও অন্য জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও, বইতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া। এমনকি পার্বত্য এলাকায় সোমবারও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।

বিলেত সফরে মমতা, বাংলা সামলাবে টাস্কফোর্স

শুক্রবার বিলেত যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাতদিনের সফর। সেসময় রাজ্য কে সামলাবে তার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে পুলিশ ও আমলাদের সমন্বয়ে প্রশাসন চলবে। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকাকালীন রাজ্য সামলাবার জন্য এই প্রথম টাস্ক ফোর্স গড়়া হল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফোনে তাঁকে সবসময় পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে তিনি পরামর্শ দেবেন। ২২ থেকে ২৮ মার্চ লন্ডন (London) সফর মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)। সেসময় তিনি পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দিয়ে গেলেন টাস্ক ফোর্সের (Task Force) হাতে। রাজ্যের পাঁচ মন্ত্রী সেই দায়িত্ব সামলাবেন। তাঁরা হলেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা,  সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ওই টাস্ক ফোর্স গড়ার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন পুলিশ কর্তা রাজীব কুমার ও মনোজ ভার্মা। আমলাদেরও কাজের ভার নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৪ মার্চ লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের অনুষ্ঠান। ২৫ মার্চ বাণিজ্য সম্মেলন। ২৬ মার্চ শিল্প নিয়ে সরকারি স্তরে বৈঠক। ২৭ মার্চ অক্সফোর্ডে ভাষণ। ২৮ তারিখ লন্ডন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা। উল্লেখ্য, এর আগে চীন, শিকাগো সহ একাধিক বিদেশ সফরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়পত্র দেয়নি ভারত সরকার। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান বিভিন্ন দেশ থেকে তাঁর আমন্ত্রণ রয়েছে। তিনি লন্ডন সফরে থাককালীন রাজ্যের সবাই যাতে শান্তিতে থাকেন তা ভালোভাবে নজরে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  

কোন কোন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস?

বেশ কিছু জেলায় হতে পারে শিলাবৃষ্টি। সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঝড়বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রাও কিছুটা কমবে বৃহস্পতিবার ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হুগলিতে। হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। এই জেলাগুলিতে একই পূর্বাভাস রয়েছে শুক্রবারের জন্যেও। ওই দিন ঝড়বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব বর্ধমান এবং হাওড়াতেও। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে শুক্রবার পর্যন্ত। শনিবার ঝড়ের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানে। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। হাওয়ার বেগ কিছুটা কম থাকবে বাকি জেলাগুলিতে। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও। শুক্রবার এবং শনিবার উত্তরের সব ক’টি জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সঙ্গে হাওয়ার বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং উত্তর দিনাজপুরে হাওয়ার বেগ বেশি হতে পারে।

ঘরে ফিরলেন সুনীতা

বুধবার ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময়) সুনীতাদের নিয়ে মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান ফ্লরিডার সমুদ্রে অবতরণ করে। তার কিছু ক্ষণ পর ওই যানের মধ্যে থাকা ক্যাপসুল থেকে একে একে হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন সুনীতা এবং বুচ। ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফেরায় তাঁদের নিয়ে খুশি গোটা বিশ্ব। খুশি ট্রাম্পও। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন ক্ষমতায় (দ্বিতীয় বার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর) আসি, তখনই আমি ইলনকে বলেছিলাম তাঁদের (সুনীতা এবং বুচ) ফিরিয়ে আনতে হবে। কথা দিয়েছিলাম, রেখেছি।’ এদিন সুনীতা উইলিয়ামসদের (Sunita Williams Return) নিয়ে নিখুঁত অবতরণ করে ড্রাগন ক্যাপসুল। দড়ি দিয়ে ক্যাপসুল বেঁধে জাহাজে ড্রাগন ক্যাপসুল তুলে খোলা হয় হ্যাচ। বিশেষ চেয়ারে বার করা হয় ৪ নভশ্চরকে। ৯ মাস পর পৃথিবীর আলো দেখলেন সুনীতারা। ফ্লোরিডা উপকূলে সমুদ্রের জলে অবতরণ করে সুনীতাদের ড্রাগন ক্যাপসুল। পরিকল্পনা মেনে একেবারে নিখুঁত অবতরণ হয় ক্যাপসুলের। ভারতীয় সময় ৩টে বেজে ২৭ মিনিটে অবতরণ করে। ধাপে ধাপে ঘণ্টায় সাড়ে সাতাশ হাজার মাইল থেকে গতিবেগ কমানো হয় ক্যাপসুলের। মাটি থেকে ১৮ হাজার ফুট উপরে থাকার সময় খুলে যায় জোড়া প্যারাস্যুট। মাটি থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় খোলে আরও দুটি প্যারাস্যুট। প্রথমে ভাসমান মডিউলের মহাকাশযানের অবস্থা খুঁটিয়ে দেখে নৌবাহিনীর স্পিডবোট। তারপর অবতরণের জায়গায় পৌঁছয় মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ। ক্যাপসুলের গায়ে দড়ি বেঁধে হাইড্রলিক আর্মের সাহায্যে জাহাজে তোলা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর জাহাজেই হ্যাচ খোলা হয় ড্রাগন ক্যাপসুলের। হ্যাচ খোলার পর ভিতরে গিয়ে আরেক দফা পরীক্ষা করা হয় সুনীতাদের। বিশেষ চেয়ারে তুলে ক্যাপসুল থেকে প্রথম বার করা হয় নিক হেগকে। তারপর ক্যাপসুল থেকে বার করা হয় আলেকজান্ডার গর্বুনোভকে। ক্যাপসুল থেকে এরপর বার করা হয় সুনীতা উইলিয়ামসকে। সবার শেষে ক্যাপসুল থেকে বার করা হয় সুুনীতার সঙ্গী বুচ উইলমোরকে। তারপর ওই জাহাজে করে স্থলভাগে নিয়ে আসা হয় সুনীতাদের। বিমানে করে এরপর সুনীতাদের নিয়ে আসা হয় হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে। স্পেস সেন্টারে ক্রু কোয়ার্টারে রাখা হয়েছে সুনীতাদের। ক্রু কোয়ার্টারে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে এই পরীক্ষা। তারপর পরিবারের সঙ্গে সুনীতাদের দেখা করার অনুমতি মিলবে।