জাল ওষুধ আটকাতে অ্যাডভাইজারি জারি করতে চলেছে রাজ্য!

জাল ওষুধ (Fake Medicine) আটকাতে এবার অ্যাডভাইসারি জারি করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার (West Bengal State Government)। রাজ্যজুড়ে ওষুধের দোকানের মালিক, ফার্মাসিস্ট থেকে শুরু করে হোলসেলারদের জন্য এই অ্যাডভাইসারি জারি হবে আগামী সপ্তাহে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। ওষুধ কিনতে কী কী বিষয়ে নজরে রাখতে হবে তা নিয়ে এই অ্যাডভাইসারি (Advisory) জারি করবে রাজ্য। প্রতিটি ওষুধে কিউআর কোড স্ক্যান করা, ওষুধের ব্যাচ নাম্বার দেখে অনলাইনে গিয়ে মিলিয়ে নেওয়া, যে ওষুধটি বিক্রেতা কিনছে সেই ওষুধটির সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেওয়া, ওষুধটি যে গোডাউন বা যে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট থেকে নেওয়া হচ্ছে সেখানে আগে কোনও সময় অভিযানের দরুন ব্ল্যাকলিস্টেড বা লাইসেন্স বাতিল হয়েছে নাকি সে সম্পর্কে বিশদে খোঁজ নেওয়া সহ একাধিক গাইডলাইন দিতে চলেছে রাজ্য। সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে নবান্নে (Nabanna) হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এই নিয়ে অ্যাডভাইজারি জারি করতে চলেছে রাজ্য বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। সম্প্রতি জাল ওষুধের কারবার নিয়ে সরগরম হয়েছে রাজ্য। বিভিন্ন জায়গা থেকে জাল এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা তদন্তে নামেন এবং বেশ কিছু ওষুধের দোকানের লাইসেন্স বাতিল করে। এই আবহের মধ্যেই জাল ওষুধ আটকাতে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হল রাজ্য।
এপ্রিলেই চালু হবে এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদা মেট্রো?

মেট্রোযাত্রীদের (Metro passenger) জন্য সুখবর। অপেক্ষা অবসান হতে চলেছে। এপ্রিলেই চালু হয়ে যেতে পারে এসপ্ল্যানেড (Esplanade) থেকে শিয়ালদা (Sealdah) পর্যন্ত মেট্রোরেলের যাত্রা। এমনটাই খবর পাওয়া গেছে সূত্র মারফত। আগামী ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narndra Modi) হাত ধরে এই যাত্রার শুভ সূচনা হতে পারেন। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন (Virtual Inauguration) করবেন প্রধানমন্ত্রী। শিয়ালদা ও এসপ্ল্যানেড দুটিই অত্যন্ত ব্যস্ততম জংশন। অফিস থেকে ব্যবসায়ীদের বেশি আনাগোনা এই পথ ধরেই। ফলে এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যাত্রা শুরু করলে যাতায়াত অনেক সহজ হবে। মেট্রোর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এই পথের ‘সিআরএস’ বা কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি (Commission of Railway Safety) পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু দ্রুত এই পরীক্ষার এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট সেফটি অ্যাসেসমেন্ট বা আইএসএ-এর জন্যও অনুমোদন মিলবে। উদ্বোধনের কিছুদিন পর থেকে যাত্রা শুরু হবে। হাওড়া থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোরেল ইতিমধ্যেই সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ এবং হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত চলাচল করছে। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ, এই মেট্রোপথ গিয়েছে বৌবাজার হয়ে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে বৌবাজার এলাকায় মেট্রোর সুড়ঙ্গপথে মাটি ধসে যায়, ফলে কিছু বাড়ি হেলে যায়, বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনাও ঘটে। জরুরি ভিত্তিতে এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরানো হয়। পরবর্তী সময় খুব সতর্কভাবে কাজ করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রেললাইন পাতার কাজ সম্পন্ন হয়, সফলভাবে বৌবাজার থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোর ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়।
বাতিল ২৫৭৫৩ জনের চাকরি

নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দিকে। ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের যেই প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলাই চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে মিলল না স্বস্তি। ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করল শীর্ষ আদালত। বহাল রাখা হলো কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই। শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে বলা হয়, পুরো প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে। রয়েছে গাফিলতি। ওই ছাব্বিশ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এমনকি বলা হয়েছিল দুটো আলাদা লিস্ট করার জন্য, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু সেই লিস্ট ও জমা দেওয়া যায়নি।তাই সুপ্রিম কোর্টও কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখে বাতিল করা হলো ২৫৭৫৩ জনের চাকরি। শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ, ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে স্পষ্টত জানিয়ে দেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে শুরু করতে হবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া। পাশাপাশি, প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট যেই রায় দিয়েছিল সেই রায়কে বহাল রেখে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২৬ হাজার জন চাকরি প্রার্থীদের তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হল প্রধান বিচারপতি খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হয়, এবং তারপর স্থগিত রাখা হয় রায়দান। আজ শীর্ষ আদালত সেই রায়দান দেয়, যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের রায়দান কেই সম্মতি জানিয়ে ঘোষণা করা হলো ২৬ হাজার জন চাকরি প্রার্থীর চাকরি বাতিলের কথা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার রায় ঘোষণা করে। স্পষ্টত জানিয়ে দেওয়া হয়, যোগ্য অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য ২০১৬ সালের এসএসসি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উঠেছিল দুর্নীতির অভিযোগ। তারপর এই কলকাতা হাইকোর্টে চলে এই মামলার শুনানি। আর সেখানেই হাইকোর্ট স্পষ্টত জানিয়ে দেয় ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়ার কথা। যার জেরে তৎক্ষণাৎ চাকরি হারান ২৫,৭৫৩ জন। আর তারপরেই হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরি হারারা। তবে বহাল থাকবে সোমা দাসের চাকরি। কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট তো জানিয়ে দিয়েছিলেন ক্যান্সারে আক্রান্ত সমা দাসের চাকরি বহাল টাকা হচ্ছে আর সেই সিদ্ধান্তকেই সম্মতি জানালো শীর্ষ আদালত। বহাল থাকল সোমা দাসের চাকরি, বাকি পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হলো শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে।
ধেয়ে আসছে বৃষ্টি

ফেব্রুয়ারি থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে গরমের দাপট। এপ্রিল (April) মাসে তা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাবে এমন সম্ভাবনা কমই। প্যাচপ্যাচে গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। তবে এরই মাঝেই কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি (Rain) চলবে বলেই জানানো হয়েছে। বলা হয়েছিল মঙ্গলবার থেকেই তিলোত্তমায় নামবে ঝেঁপে বৃষ্টি, কিন্তু সেগুড়ে বালি। এখনও বৃষ্টির ছিটে ফোঁটারও দেখা মেলেনি। তবে বৃষ্টির আভাসে আবহাওয়ার কিছুটা হলেও পরিবর্তন ঘটেছে। ভোরবেলায় মনরোম আবহাওয়ার যেমন অনুভব হচ্ছে, রাতেও বেশকিছুটা আরামদায়ক হচ্ছে বাইরের তাপমাত্রা। সপ্তাহান্তে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে আবহাওয়াবিদদের মতে, বৃষ্টির পূর্বাভাসের জন্যই কিছুটা রেহাই মিলছে, বৃষ্টির দিন ফুরলেই, আবারও প্রবল দাবদাহ ‘কামব্যাক’ করবে। উল্লেখ্য, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকেই কলকাতা আর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মেঘলা আকাশ। ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে বইতে পারে দমকা হাওয়া বলেও জানা গিয়েছে। আজ থেকে রাজ্যজুড়ে যেই বৃষ্টি শুরু হবে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার সেই পরিমাণ বাড়বে বলেই জানা যাচ্ছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমানে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রবিবার এবং সোমবারও। তবে বৃষ্টি হলেই যে স্বস্তি মিলবে তা কিন্তু নয়। গরম বেশখানিকটাই অনুভূত হবে বলে জানা যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বাতাসে বাড়বে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৩।
কবে থেকে ভিজতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ?

ফেব্রুয়ারি থেকেই শীত কে একনিমেষে বিদায় জানিয়ে গ্রীষ্মের আগোমন। একপ্রকার বসন্ত কালের কোন আভাস ছাড়াই গরমে হাঁসফাঁস কান্ড। মার্চেও একই দসায় কেটেছে বঙ্গবাসীর। এমনকি রাজ্যের কিছু জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিও ছুঁয়ে গিয়েছিল। কলকাতাতেও গরমে হিমসিম কান্ড। শুষ্ক আবহাওয়ার দরুন গরমের দাপট আরও বেশি। তবে এবার রাজ্যে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast)। শুক্রবার থেকে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে বৃষ্টির সতর্কতা। যার জেরে কিছুটা হলেও মিলবে স্বস্তি বলে জানা যাচ্ছে। তবে একদিকে যখন রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস, অন্যদিকে এপ্রিল থেকে জুন, দেশজুড়ে চলবে তীব্র দাবদাহ, এমনই পূর্বাভাস আইএমডির। মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মধ্য-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকবে। পশ্চিম এবং পূর্ব ভারতের কিছু এলাকা ছাড়া দেশের বেশিরভাগ অংশেই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি তাপমাত্রা থাকবে বলেই জানাচ্ছে আইএমডি। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বেশিরভাগ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের উপরে। তবে রাজ্যের তাপমাত্রায় কিছুটা হেরফের হতে পারে এই সপ্তাহ থেকেই। বৃষ্টির জেরে এক ধাক্কায় কমতে পারে রাজ্যের বেশ কিছুটা তাপমাত্রা। যদিও গতকাল মেঘলা আকাশের সাক্ষি ছিল শহর তিলোত্তমা, তবে আজ আবার সকাল হতে হতেই আবারও চড়া রোদ। এখনও বৃষ্টির দেখা নেই, তবে আশা করা হচ্ছে সপ্তাহান্তে রাজ্যে দেখা মিলবে বৃষ্টির।
বুধবার থেকে বৃষ্টি বাংলায়?

মার্চেই অসহ্য গরম (Hot)। রোদের তেজে দুপুরে রাস্তা ফাঁকা। কলকাতায় তাপমাত্রা ৩৬, ৩৭ ডিগ্রি পার করে এগিয়ে চলেছে। ক্রমশ চড়ছে পারদ। তাপপ্রবাহ রাজ্যের একাধিক জেলায়। সোমবার ঈদের দিনে সকাল থেকে খানিকটা মেঘলা আকাশ। দুপুরেই হাওয়া অফিসের শুভ সংবাদ। দাবদাহ থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে। স্বস্তির বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস (Weather Forecast) রাজ্যজুড়ে। শুক্রবার কলকাতা সহ সারা দক্ষিণবঙ্গ ভিজতে পারে। ছত্তিশগঢ় থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত বিস্তৃত অক্ষরেখা। এই অক্ষরেখার টানে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে। আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাবেও জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। ওড়িশা, ঝাড়ণ্ড এবং বাংলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা চলতি সপ্তাহেই। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বুধবার থেকে। বুধবার পশ্চিমের ৩/৪ জেলায় বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা। ক্রমশ উপকূল ও পশ্চিমের জেলায় বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। শুক্রবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হবে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। থাকবে বজ্রপাতের আশঙ্কাও। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কলকাতা সহ বেশ কিছু জেলাতে কমবে। পশ্চিমের কিছু জেলায় প্রায় একই রকম থাকবে তাপমাত্রা। তবে বাতাসে বাড়বে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। অস্বস্তি বাড়বে আজ থেকেই। উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে আগামী ৪/৫ দিন। মূলত শুষ্ক আবহাওয়া। উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
টোঙ্গায় ভূমিকম্প, জারি সুনামির সতর্কতা

ফের ভূমিকম্প! মায়ানমারের পর এবার টোঙ্গা। রবিবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সেই দেশ। রিখটার স্কেলে মাত্রা ওঠে ৭.১। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে অবস্থিত এই দ্বীপ। আর রবিবার বিকেলে কেঁপে উঠল সেই দ্বীপ। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সেই দ্বীপে সুনামির সতর্কতা। তবে এখনও সেই দ্বীপ থেকে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাটি থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল। আজ বিকেলেও মায়ানমারের মাটি ফের কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পের পর ‘ আফ্টার সক ‘ এফেক্ট চলছে সেখানে। আর তারই মধ্যেই কেঁপে উঠল আরও একটি দ্বীপ। অন্যদিকে, আমেরিকার সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, ০.৩ থেকে ১ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। কম্পনের উৎসস্থল থেকে অন্তত ৩০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সুনামি হতে পারে বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই টোঙ্গা জুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সকলকে সরে গিয়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে? কী বলছে হাওয়া অফিস? জানুন সবিস্তারে

দক্ষিণবঙ্গে আরও বাড়বে গরমের দাপট (West Bengal Weather Update)। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি থাকবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। আবহাওয়া থাকবে শুকনো। গরমের দাপটে বাড়বে অস্বস্তি আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অন্তত চার ডিগ্রি বেশি থাকবে। গরমের অস্বস্তি সপ্তাহজুড়ে অনুভূত হবে। উত্তরবঙ্গের বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। দার্জিলিং ও কালিম্পঙে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা। এছাড়া, জলপাইগুঁড়ি, আলিপুরদুয়ার শনিবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া? হট-ডে পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে। শনিবার সাত জেলাতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম,বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপপ্রবাহের প্রভাব ফেলতে পারে। পশ্চিমের জেলায় গরম অনেকটাই বেশি অনুভূত হবে। তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। গরমে হাঁসফাঁস করবে দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। অবস্থা হবে কাল থেকে চার পাঁচ দিন একই রকম তাপমাত্রা থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া? কলকাতার আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি। সকালে হালকা কুয়াশা ধোঁয়াশা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দুই তাপমাত্রাই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। সকালের মনোরম পরিবেশ কার্যত উধাও। বেলা বাড়লে ধীরে ধীরে উষ্ণতা আরো বাড়বে। পরিষ্কার আকাশ। দিনভর গরমের অস্বস্তি। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি থাকবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর

বৃষ্টির আমেজ গোটা পশ্চিমবঙ্গে কেটে গেছে গত সপ্তাহেই। ফের তীব্র গরমের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বঙ্গে। দিনে দিনে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সপ্তাহান্তে রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির উপর চলে যাবে। এবং কলকাতার তাপমাত্রা হতে পারে প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস! আগামী তিন দিনে রাজ্যের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেই খবর। সকাল হতেই চড়া রোদ, আর তারপরেই শুরু তীব্র গরমের দাপট। যার জেরে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে সকলকে। আর এই আবহে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে প্রচণ্ড গরমের সতর্কতা। সব রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলকে এই সতর্কতা পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবায় যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা বজায় থাকে সেজন্য এই নির্দেশিকা। মার্চ মাস থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্টিগ্রেটেড হেল্থ ইনফর্মেশন প্ল্যাটফর্মে (Integrated Health Information Platform) গরমে অসুস্থ রোগীর, হিট স্ট্রোকের রিপোর্ট উঠে আসছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব পুণ্য সলিলা শ্রীবাস্তব সব রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের উপদেষ্টাদের সতর্ক করেছেন। তিনি প্রচণ্ড গরমে স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব মোকাবিলা করতে সতর্ক করেছেন। আসন্ন গরমে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি জায়গায় অত্যধিক গরম শুরু হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আরও খারাপ পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের ৫ টি জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়গ্রামে চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
মায়ানমারে তীব্র ভূমিকম্প

মধ্য মায়ানমারে তীব্র ভূমিকম্প (Myanmar Earthquake)। ভেঙে পড়ল ব্রিজ, বাড়ি। আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন সবাই। ভূমিকম্পের তীব্রতায় কেঁপে উঠল মণিপুরও। মৃদু কম্পন অনুভূত কলকাতাতেও। টের পাওয়া গিয়েছে দিল্লিতেও। নড়ল পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকা। পিঠোপিঠি দুটি কম্পন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৭ ও পরে আফটারশকের মাত্রা ৬.৪। শুক্রবার দুপুরে ভারতীয় সময় বেলা ১১ টা ৫০ মিনিটে ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূকম্পের কেন্দ্রস্থল মায়ানমারের সেজেইং শহর থেকে ১৬ কিম উত্তর পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। মায়ানমারের কিছু কিছু এলাকায় এই ভূমিকম্পে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্যাঙ্ককে সুইমিংপুলের জল উছলে ওঠে। ভূকম্প অনুভূত হল বাংলাদেশ ও চীনেও। চীনের ইউনান প্রদেশে মেট্রো ও রেল পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়। ভেঙে পড়ল মায়ানমারের মান্দালয়ের আইকনিক আভা সেতু। ইরাওয়াদি নদীতে তা ভেঙে পড়ে। বহু বাড়ি ভেঙে পড়ে। রাস্তায় চওড়া ফাটল দেখা যায়। ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে ব্যাঙ্ককে। যা মধ্য মায়ানমার থেকে ৯০০ কিমি দূরে অবস্থিত। তবে এই ভূমিকম্পে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাণহানির রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাড়ি ভেঙে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে থাকতে পারেন অনেকে। এক মাসের ব্যবধানে মায়ানমারে বড় ধরনের দুটি ভূমিকম্প হল। এদিন কলকাতাতে সিলিং ফ্যান নড়তে দেখেন অনেকে। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন বহুতলের বাসিন্দারা। রাজধানী দিল্লির আশপাশে এনসিআর এলাকা নয়ডা, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।