কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ল দেশের রেল নেটওয়ার্কে

ওয়েব ডেস্ক: দেশের রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে জুড়ল কাশ্মীর উপত্যকা। সন্ত্রাস বিধ্বস্ত জম্মু ও কাশ্মীরে বিশ্বের উচ্চতম রেলসেতুর (Rail Bridge) উদ্বোধন হল। শুক্রবার জাতীয় পতাকা নেড়ে এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। চেনাব নদীর ৩৫৯ মিটার উপরে এই সেতু। আইফেল টাওয়ারের উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখানে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিমি বেগে ট্রেন চলতে পারবে। অনুষ্ঠানে ছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। একইসঙ্গে এদিন কাটরা ও শ্রীনগরের মধ্যে দুটি বন্দে ভারত (Banda Bharat) ট্রেনের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে মাত্র তিন ঘণ্টায় কাটরা থেকে শ্রীনগর পৌঁছনো যাবে। অতিরিক্ত ঠান্ডাতেও এই ট্রেন চলাচলে কোনও সমস্যা হবে না। অপারেশন সিন্দুরের পর প্রধানমন্ত্রীর এই প্রথম কাশ্মীর সফর। এদিন প্রধানমন্ত্রী ৪৬ হাজার কোটি টাকার অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন। তাতে নতুন রাস্তা, উড়াল পুল, রিয়াসি জেলায় মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে। এদিন জম্মুর কাটরায় জনসভা থেকে পাকিস্তানকে হুঙ্কার দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের পড়শি দেশ মানবতা বিরোধী। মানবতার উপরে আঘাত করেছে পাকিস্তান। পহেলগাম হামলার কল্পনাতীত জবাব পেয়েছে পাকিস্তান। পাক হামলায় মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরি। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। চেনাব রেল সেতুটি স্টিল ও কংক্রিট দিয়ে তৈরি। বিস্ফোরণেও ক্ষতির সম্ভাবনা কম। হামলা ও ভূমিকম্প আটকাতে করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। প্রতি ঘণ্টায় ২৬০ কিমি ঝড় ও রিখটার স্কেলে ৮ কম্পনের তীব্রতা সহ্য করতে পারবে এই সেতু। ১২০ বছরের মেয়াদ। ২০২২ সালের অগাস্টে এই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ব্রিজটি ১.৩ কিমি লম্বা। এদিন রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাশ্মীরের বারামুল্লা থেকে জম্মু পর্যন্ত পাঁচটি টারমিনাল তৈরি করা হবে। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্কের এটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এদিন আঞ্জি খাদ সেতুরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

Starlink gets licence from telecom ministry

Elon Musk’s Starlink has received a crucial licence from India’s telecom ministry, paving the way for its satellite internet services in the country. This makes Starlink the third major player after OneWeb and Reliance Jio to receive such a licence. Communication Minister Jyotiraditya Scindia indicated that spectrum allocation would follow, describing SpaceX as ‘the new flower in the bucket’. The move is expected to revolutionise internet access in remote areas and introduce competitive pricing in the market. Starlink is the third company after Eutelsat OneWeb and Jio Satellite Communications to get a licence from the Department of Telecommunications to provide satellite internet services in the country. A fourth applicant, Amazon’s Kuiper is still waiting for approvals. DoT sources confirmed on Friday that Starlink has indeed received the licence, and said the company will be granted trial spectrum in 15-20 days of applying for it. Starlink will now have to comply with the security norms such as providing access for lawful interception, before starting services. The licence came hours after a huge public spat between Musk and US President Donald Trump. The falling-out between the world’s richest man and the world’s most powerful person began when Musk, who left his role as head of the Department of Government Efficiency a week ago, denounced Trump’s sweeping tax-cut and spending bill.

বোল্ড লুকে সৌরসেনী

ওয়েব ডেস্ক: নিখিল জৈনের (Nikhil Jain) সঙ্গে নাকি প্রেম করছেন সৌরসেনী মৈত্র (Sauraseni Maitra)। তবে সেই খবর নিয়ে মুখ খোলেননি তাঁরা কেউই। শুধু ব্যাক্তিগত জীবন নয় অভিনেত্রী চর্চায় থাকেন তাঁর স্টাইলিস ও গ্ল্যামারাস ফ্যাশনের জন্যও। এবার ‘নট ইয়োর অ্যাভারেজ গ্রিন ফ্ল্যাগ’- ইনস্টাগ্রামে এমন ক্যাপশন দিয়েই হঠাৎ একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করলেন মডেল-অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র। অভিনেত্রীর বোল্ডনেসে ঘাম ঝরছে ভক্তদের। মডেল হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সৌরসেনী। সিনেমায় তাঁর সফর শুরু হয় বেদব্রত পাইনের ঐতিহাসিক ছবি ‘চিটাগং’-এর মাধ্যমে। একের পর এক সিনেমার মাধ্যমে বাংলার দর্শকদের নজর কেড়েছেন সৌরসেনী। পেয়েছেন প্রশংসাও। ‘আমার বস’-এ রাখি গুলজারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন সৌরসেনী। তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে এ এক বিরাট প্রাপ্তি। এখন হিন্দি-বাংলা দুই মাধ্যমেই অভিনয় করছেন সৌরসেনী। অন্যদিকে, নিখিল জৈনের সঙ্গে নাকি প্রেম করছেন সৌরসেনী। আর সৌরসেনীর সম্পর্ক নিয়ে টলিপাড়ায় নানা গুঞ্জন হলেও সেসব নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন তিনি। আপাতত ব্যস্ত চুটিয়ে কাজ করতে। আর কাজের ফাঁকে ঘোরার সুযোগও ছাড়েন না অভিনেত্রী। তবে এবার অভিনেত্রীকে দেখা গেল একেবারে বোল্ড অবতারে। ‘নট ইয়োর অ্যাভারেজ গ্রিন ফ্ল্যাগ’- ইনস্টাগ্রামে এমন ক্যাপশন দিয়েই হঠাৎ একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করলেন মডেল-অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র। ক্যাপশনের সঙ্গে সৌরসেনীর পোশাকেও রংমিলান্তি। এক্কেবারে সবুজ রংয়ের পোশাকে সেজেছেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, পোশাক, জুতো সবেতেই রয়েছে নানা রংয়ের মেলা। চোখের চাহনি থেকে শরীরী ভঙ্গি সব মিলিয়ে আবেদনময়ী সৌরসেনী। মাখন শরীর, উন্মুক্ত উরুতে, ক্যামেরার সামনে নিজেকে মেলে ধরলেন টলিউড সুন্দরী। বোল্ড ফটোশুটে ভক্তদের কালঘাম ছোটালেন অভিনেত্রী। নেটিজেনরা বলছেন এরকম ক্যাপশান দিয়ে কী কারোর দিক অভিযোগের তির ছুঁড়লেন তিনি? না লাভ লাইফ নতুনদিকে মোড় নিয়েছে সেই ইঙ্গিত দিলেন তিনি?

বাংলায় বর্ষা কবে আসছে?

ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বর্ষা (Rain) কবে? এই মুহূর্তে গরমে হাঁসফাঁস হওয়া শহরের একটাই প্রশ্ন। কারণ বজ্র বিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও গরম কমার কোনও নাম গন্ধ নেই, সেই সঙ্গে বর্ষা আসব আসব করেও আসছে না। আবহাওয়া দফতরের (Weather Department) পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্ষা উত্তরবঙ্গে (North Bengal) প্রবেশ করে গেছে, নির্দিষ্ট সময়ে আগেই, কিন্তু দক্ষিণবঙ্গেও আগেই প্রবেশে কথা ছিল। কিন্তু এখনও থমকে আছে। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম গরম দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এক জায়গায় আটকে আছে। আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার (Monsoon) আগমন করার কথা ১৫ জুন। ফলে বর্ষা আসতে এখনও আট থেকে ৯ দিন দেরি আছে। উত্তরবঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষা প্রবেশের দিন জুনের ৮ তারিখ, তবে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে ৯ থেকে ১০ দিন আগে, অর্থাৎ ২৯ মে বর্ষা প্রবেশ করেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের পশ্চিম প্রান্তের আরব সাগর ও পূর্ব প্রান্তের বঙ্গোপসাগর তৈরি হওয়া শক্তিশালী সিস্টেমের কারণে বর্ষা প্রবেশ তাড়াতাড়ি হয়েছে। কেরলেও বর্ষা প্রবেশ করেছিল ২৪ মে। তবে এখন থমকে মৌসুমী বায়ু। নতুন করে বঙ্গোপসাগরে কোনও সিস্টেম তৈরি না-হলে মৌসুমি বাতাসের পক্ষে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। ১০ জুন নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি সিস্টেম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, ফলে তার হাত ধরে বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চলবেই, সেখান থেকে এখনই রেহাই মেলার কোনও অবকাশ নেই। কাজেই এখনও গরমে কালঘাম ছুটবে বঙ্গবাসীর। শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও, বিক্ষিপ্ত ভাবে কলকাতা সহ জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলাতে। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকবে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলাতে। শনিবার থেকে ফের তাপমাত্রা বাড়বে বলেই পূর্বাভাস। ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়বে তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গে পাঁচ জেলাতেই বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। সেইসঙ্গে বইবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর ও মালদাতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা এবং উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুরে। আগামীকাল থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমলেও তাপমাত্রার খুব বেশি হেরফের হবে না।

বিয়ে করলেন মহুয়া মৈত্র

ওয়েব ডেস্ক: বন্ধুত্ব গত কয়েক বছরের। ঘনিষ্ঠেরা জানতেনও, চার হাত এক হবে। শুক্রবার জার্মানির বার্লিন প্রাসাদের ছাদে পুরীর প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ৬৫ বছরের পিনাকী এবং ৫১ বছরের মহুয়া দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিবাহ। খেলোয়াড়, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিদেশে বা দেশের কোনও প্রাচীন প্রাসাদ-কেল্লায় ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ নতুন নয়। কিন্তু দুই দেশজ রাজনীতিকের এ হেন বিবাহ দেশে বিরল। যদিও একে সে ভাবে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ বলা যায় না। ভিড়ভাট্টা এড়াতেই বার্লিন বেছে নেওয়া বলে জানাচ্ছে যুগলের ঘনিষ্ঠমহল। এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সোনার গয়নায় সেজেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর হাত ধরে রয়েছেন যে পুরুষ তাঁর নাম পিনাকী মিশ্র। তিনি বিজু জনতা দলের নেতা এবং পুরী লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। পিনাকী এবং মহুয়ার হাতে হাত ধরা, উজ্জ্বল হাসিমুখের ছবি দেখেই বিয়ের জল্পনা ছড়িয়েছে। বলাবাহুল্য, মহুয়া দীর্ঘ দিন মার্কিন অর্থলগ্নি সংস্থা ‘জেপি মর্গ্যান অ্যান্ড চেস’-এ কর্মরত ছিলেন। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন তিনি। সেই পর্বেই ডেনিশ ফিনান্সার লার্স ব্রর্সনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মহুয়ার। দু’জনের বিবাহও হয়। পরে তাতে ছেদ পড়ে। মহুয়ার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরে লার্স ফের বিবাহ করেন। তাঁর সন্তানও রয়েছে। অন্য দিকে, পিনাকী প্রথম বিবাহ করেন ওড়িশারই সঙ্গীতা মিশ্রকে। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বেশ কয়েক বছর হল পিনাকী এবং সঙ্গীতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

শহরে আসছে নতুন পলিটিক্যাল থ্রিলার

কলকাতা: শহরে আসছে নতুন পলিটিক্যাল থ্রিলার। দীপান্বিতা রায়ের ‘অন্তর্ধানের নেপথ্যে’ উপন্যাস থেকে অরিন্দম শীল করছেন ‘কর্পূর’। এই উপন্যাস নয়ের দশকের এক বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা। ১৯৯৭ সালের ৩ সেটেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক মনীষা মুখোপাধ্যায় আচমকাই যেন কর্পূরের মতো এই শহর থেকে উবে যান। সেই রহস্যের আজও কোনও কিনারা হয়নি। সে সময় রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ জনমানসে তুমুল চাঞ্চল্য ফেলে দেওয়া ওই ঘটনা থেকেই অরিন্দমের ছবি ‘কর্পূর’। তবে কলকাতা টিভি ডিজিটালকে ফোনালাপে পরিচালক জানালেন, একজন আধিকারিকের উধাও হয়ে যাওয়ার রেফারেন্সটুকুই ব্যবহার হচ্ছে ছবিতে। এছাড়া তাঁর ছবির গল্পের সঙ্গে বাস্তব জগতের জীবিত কিংবা মৃত কোনও চরিত্র কিংবা ঘটনার মিল নেই। ছবির ঘটনাপ্রবাহ সম্পূর্ণ নিজেদের মতো করে সাজিয়েছেন অরিন্দম ও তাঁর সহযোগীরা। ছবির বর্তমান হল ২০১৯ এবং অতীত ১৯৯৭। ২০১৯-এ শহরের এক নামী সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিক প্রায় দুই দশক আগের মৌসুমী সেনের অন্তর্ধান রহস্যের বিষয়টি জানতে পারেন। এ নিয়ে তত্ত্বতালাশ করতে গিয়ে রহস্যে জড়িয়ে পড়েন তাঁরাও। রহস্যের সমাধান কীভাবে হয় তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে, কর্পূরের শুটিং শুরু হবে পরের মাসেই। গল্প এবং প্রেক্ষাপট নিয়ে এরকম থ্রিলার যে বাংলা ছবিতে একদম নতুন তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। অরিন্দমের ছবিতে মনীষার নাম মৌসুমী সেন এবং মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। গুরুত্বপূর্ণ কিছু চরিত্রে দেখা যাবে সাহেব চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, অর্পণ ঘোষাল, লহমা ভট্টাচার্য, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ ছবিতে অভিনেতা হিসেবে ডেবিউ করতে চলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁকে দেখা যাবে এক শঙ্কর মল্লিক নামে এক রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিনয় করবেন রাখহরি গোস্বামী নামে এক পুলিশকর্মীর চরিত্রে। অরিন্দম জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরেই অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চাইছিলেন ব্রাত্য, রাখহরির চরিত্র পেয়ে স্রেফ লুফে নেন তিনি। চিত্রনাট্য শুনে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান ঋতুপর্ণাও। এ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন শুভাশিস গুহ এবং ক্যামেরার পিছনে আছেন অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়। শিল্প নির্দেশনা কৌশিক দাসের এবং সঙ্গীত পরিচালনা করছেন রথীজিৎ ভট্টাচার্য। ছবিটির প্রযোজনা করছে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন এবং কাহাক স্টুডিয়োজ।

Tata is taking over Apple’s after-sales repair operations in India

Apple has tapped Tata Group to handle repairs for iPhones and MacBooks in India, marking an expansion of their partnership and deepening the Indian conglomerate’s role in Apple’s global supply chain, reported news agency Reuters, quoting two people familiar with the matter. As the US tech giant continues to diversify its manufacturing footprint beyond China, Tata has emerged as a key ally. The group already assembles iPhones at three facilities in southern India, with one also manufacturing certain components. Now, Tata is taking over Apple’s after-sales repair operations in India from Wistron’s local unit, ICT Service Management Solutions. The repairs will be carried out from Tata’s iPhone assembly facility in Karnataka, the sources said. India, now the world’s second-largest smartphone market, is seeing a surge in iPhone sales, with around 11 million units sold in 2023—up from just 1% market share in 2020 to 7% last year, according to Counterpoint Research. That growth is expected to drive a boom in the device repair business. “This partnership signals Apple’s growing confidence in Tata,” said Prabhu Ram, vice president at Cybermedia Research. “It could also lay the foundation for Apple to begin selling refurbished devices in India, similar to its model in the U.S.” The takeover from ICT by Tata is currently underway. Wistron will continue to service non-Apple clients in India, one of the sources added. Apple and Wistron did not respond to requests for comment, while a Tata spokesperson declined to comment. Apple’s official service centres will continue to manage basic repairs, but more complex cases involving iPhones and MacBooks will now be routed to Tata’s Karnataka facility. The development also comes as Apple increases its iPhone exports from India amid U.S. efforts to reduce dependence on China. CEO Tim Cook recently stated that most iPhones sold in the U.S. during the June quarter would be made in India.

কোন কোন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

কলকাতা: ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল শহরবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় গরম এবং আর্দ্রতাজনিত আবহাওয়া থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার দাপটের পূর্বাভাস রয়েছে (Rain Update)। কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টাও হতে পারে। এখনই বর্ষা ঢোকার সম্ভবনা দেখছে না হাওয়া অফিস (Weather News)। কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া? কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলিতে প্রচন্ড গরমের কারণে অস্বস্তি বজায় থাকবে। পাশাপাশি, বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো বাতাস বইবে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরের হাওয়া কেমন? উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। বৃহস্পতিবারকালিম্পং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। উত্তর দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়িতে ঝড়ের আশঙ্কা। ওই এলাকাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া? বৃহস্পতিবার কলকাতাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি সপ্তাহে ভ্যাপসা গরমের অস্বস্তি থাকবে। তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না। অস্বস্তিকর গরম নিয়ে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গে কবে ঢুকছে বর্ষা? হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার কোনও সম্ভবনা নেই। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমের গরম হাওয়ায় থমকে থমকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন। আবহাওয়াবিদদের একাংশ বলছেন, ১০ জুনের পরেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সিকিমে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি

ওয়েব ডেস্ক: মেঘ ভাঙা বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত সিকিম (Sikkim Landslide)। সিকিমের বন্যা (Sikkim Flood) পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। উত্তর সিকিমকে ‘বিপর্যয় কবলিত’ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলার লাচেন, চাটেনে ভয়াবহ পরিস্থিতি। হড়পা বান ও ভূমিধসজনিত কারণে উদ্ভুত ওই পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। এখনও নিখোঁজ ছয় সেনা। পর্যটকদের জন্য ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সিকিম প্রশাসন। এখনও আটকে বহু পর্যটক। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে চলছে উদ্ধারকাজ। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি আর ধসের জেরে দক্ষিণ সিকিম থেকে উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মূলত মঙ্গল ও লাচেনের উপর প্রবল বৃষ্টির জেরেই এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি। উত্তরবঙ্গে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে একাধিক ক্ষয়ক্ষতি। ভারীবৃষ্টির জেরে বেড়েছে তিস্তার জলস্তরও। ইতিমধ্যেই তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে মংগনে নদীর উপর একটি সেতু জলের তোরে ভেসে যাওয়ার কারণে উত্তর সিকিম কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভারীবৃষ্টির জেরে তিস্তার জলস্তর এখন বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে নদীর ভাটির এলাকা বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশেও প্রভাব ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। সিকিম ও বাংলাদেশ প্রশাসনকেও ইতিমধ্যে সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে সিকিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে। উত্তর সিকিমের লাচুন, লাচেন সহ একাধিক জনপ্রিয় পর্যটন স্থল গুলিতে এর ফলে কয়েক হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। উদ্ধারকাজে নেমেছে সিকিম প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী পর্যন্ত। উত্তর সিকিম থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি পর্যটককে উদ্ধার করে দজমগুড় ফিডাং এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভূমিধসের কারণে ১৬০০ রও বেশি পর্যটক এখনও আটকে আছে। উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সেনা। ৩০ জনকে এয়ারলিফ্ট করে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক জন বিদেশি পর্যটকও রয়েছে। সিকিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর তীরবর্তী ও ভূমিদস প্রবণ এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। মঙ্গন জেলায় এখনো লাল সর্তকতা জারি করা রয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়ে এখনো পর্যন্ত সিকিমে প্রায় ১২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। ভূমিধসের কারণে একাধিক রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে। তাই বিকল্প রাস্তা দিয়ে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। মঙ্গন থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রাস্তা যা রাকডুং হয়ে তিনটেক পর্যন্ত গিয়েছে, তা আপাতত পরিষ্কার। ফোডং রোড দিয়ে মঙ্গন থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রাস্তাও পরিষ্কার। তবে বুধবারও এই রুটে কোনও বড় গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। বুধবারও বন্ধ রয়েছে মঙ্গন থেকে টুং নাগা হয়ে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা। মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত ফিডাং দিয়ে যে রাস্তা গিয়েছে, সেটির উপর ফি এবং ডেট ব্রিজে কেবলমাত্র ছোট গাড়ি যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে। সঙ্কলং দিয়ে মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ। চুবোম্বু থেকে চুংথাং হয়ে লাচেন পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ। জিমা হয়ে লাচেন থেকে থাংগু পর্যন্ত বন্ধ। চুংথাং থেকে লাচুন অবশ্য পরিষ্কার। লাচুন থেকে ইয়ুমথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ। মঙ্গন থেকে ডিকচু পর্যন্ত রাস্তা পরিষ্কার।

আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস

কলকাতা: নিম্নচাপের (Low pressure) ঘোর কাটতে না কাটতেই ফের বঙ্গে আবহাওয়ার ভোল বদল। একদিকে তীব্র গরম (Heat wave), পাশাপাশি চলবে বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal weather) জেলাগুলিতে তাপমাত্রা হু হু করে বেড়ে চলেছে গরম, নাভিশ্বাস উঠেছে বঙ্গবাসীর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখনও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার (Rain Update) প্রবেশ হয়নি। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমের গরম হাওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কার্যত থমকে রয়েছে। অন্যদিকে ১০ দিন আগেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর দক্ষিণাংশ একই জায়গায় স্থির। আবহাওয়া দফতরের অনুমান নির্ধারিত সময়ের আগেই বঙ্গে বর্ষার আগমন হবে। বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা নির্ধারিত সময়ের ১০ জুনের পরে। এদিকে ২৯ মে থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত এসে মৌসুমী অক্ষরেখা স্থির হয়ে রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস আজও দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় বৃষ্টির (Rain ForeCast) সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পাশাপাশি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার মতো কিছু জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে আর বাকি জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ ৪০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে আজ। তবে বৃষ্টি থাকলেও পাল্লা দিয়ে বাড়বে তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আরও ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ফলে ভ্যাপসা গরম চলতেই থাকবে। উত্তরবঙ্গের কালিম্পং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর দিনাজপুর ও জলপাইগুড়িতে।