ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাস্ক

ওয়েব ডেস্ক: ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। প্রেসিডেন্টের অন্যতম আস্থাভাজন হিসেবে প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছিলন, কিন্তু কয়েকমাস কাটতেই হোয়াইট হাউস (White House) থেকে পদত্যাগ (Resign) করলেন এই মার্কিন ধনকুবের। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, তাঁর ‘নির্ধারিত সময়সীমা’ শেষ হয়েছে এবং সেই কারণেই প্রশাসন (US Government) থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তবে মাস্কের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর মাস্ককে তাঁর পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেন। পাশাপাশি মাস্কের জন্য গঠিত হয় একটি বিশেষ দফতর, যার নাম দেওয়া হয় সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর বা ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা DOGE। এই দফতরের মূল কাজ ছিল অপ্রয়োজনীয় প্রশাসনিক খরচ কমিয়ে দেশের রাজকোষে সাশ্রয় করা। সম্প্রতি ট্রাম্প এক জনকল্যাণমূলক সংস্কার বিল সই করেন, যার ফলে প্রশাসনের ব্যয় আরও কমবে বলে দাবি করেন হোয়াইট হাউস কর্তারা। ট্রাম্প নিজে বিলটিকে ‘সুন্দর’ বলেও আখ্যা দেন। কিন্তু এই বিলের বিরোধিতায় মুখ খোলেন মাস্ক। তাঁর দাবি, বিলটি কার্যকর হলে DOGE-র কাজ ব্যাহত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে এতে বাজেট ঘাটতি আরও বাড়বে। ট্রাম্পের সঙ্গে এই প্রকাশ্য মতানৈক্যই মাস্কের বিদায়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Pension rule change impacts government staff absorbed into PSUs

The central government has amended pension regulations that could have major implications for employees who move from government departments to public sector undertakings (PSUs). Under the newly notified Central Civil Services (Pension) Amendment Rules, 2025, any PSU employee dismissed or removed after absorption due to misconduct could forfeit their PSU-related benefits and pension entitlements earned during their earlier government service. The change, incorporated under Rule 37(29C) of the CCS (Pension) Rules, 2021, marks a toughening of the disciplinary framework. Previously, employees absorbed into PSUs retained pension benefits from their time in government service, even if they were later dismissed from the PSU. That protection is now gone. The revised rule states that if an absorbed PSU employee is terminated for misconduct, their entire pension, both from PSU service and previous government service, can be forfeited. However, such decisions will not be absolute. They must undergo review by the administrative ministry responsible for the concerned PSU, adding a layer of checks and balances to the process. The rules also align PSU dismissals with the standards applied to government employees under Rules 7, 8, 41, and 44 of the CCS Pension Rules, ensuring consistency in how disciplinary actions impact retirement benefits. This amendment applies to employees who were initially appointed to government service on or before December 31, 2003. It is being seen as an attempt to reinforce accountability among PSU staff, signalling that misconduct at any point in an employee’s career can have long-lasting financial consequences. Legal experts suggest the move could lead to a more disciplined approach within PSUs, but it also raises the stakes for employees who may face disciplinary action long after leaving government service.
স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে নিম্নচাপ

বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal) নিম্নচাপ (Low Pressure) শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ক্রমশ ধেয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। যার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South Bengal) জেলা জুড়ে প্রবল দুর্যোগের (Severe Disaster) সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবনের (Sundarban) উপকূলে নদী ও সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে। আজ জেলা জুড়ে কমলা সতর্কতা (Orange Alert) জারি রয়েছে। নিম্নচাপের জেরে রাত থেকে টানা ভারী থেকে অতিভারী (Heavy Rain) বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনাজুড়ে। আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে আছে। জেলার সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টির তীব্রতা বেশী। উপকূলে দমকা বাতাস বইছে। আজ দিনভর জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। জেলায় সর্বোচ্চ ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অমাবস্যার কোটালের প্রভাবে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের গঙ্গাসাগর, মৌসুনি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, কুলতলির বেশ কিছু বেহাল বাঁধ দিয়ে নোনা জল লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে। টানা বৃষ্টিতে মাটির বাঁধগুলোর সঙ্গীন অবস্থা। জলোচ্ছ্বাসের জেরে যে কোনও সময় বড়সড় ধস নিতে পারে। যুদ্ধকালীন তৎপরতা একাধিক জায়গায় চলছে বাঁধ মেরামতের কাজ। জেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। জেলা, মহকুমা ও ব্লকে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মোতায়েন আছে দুর্গত এলাকায়৷ ব্লকে শুকনো খাবার, জলের পাউচ মজুত করা হয়েছে। প্রয়োজনে দুর্গত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। পরিস্থিতির অবনতি হলে জেলার ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
‘সুদর্শন চক্র’র সমতুল্য অস্ত্র বানাচ্ছে ভারত

ওয়েব ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাতে গোটা পৃথিবীর নজর কেড়েছে ভারতের ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ (Air Defence System)। আকাশসীমা সুরক্ষার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে রাশিয়ার তৈরি ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ (S-400 Triumph), ভারতে যার পোশাকি নাম ‘সুদর্শন চক্র’ (Sudarshan Chakra)। দুর্ভেদ্য বর্মের মতো দাঁড়িয়ে থেকে পাকিস্তানের দিক থেকে উড়ে আসা প্রতিটি ড্রোন ও মিসাইলকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে মস্কোর তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে বায়ুসীমা রক্ষার্থে এবার আত্মনির্ভর হতে চলেছে ভারত। আগামীতে রাশিয়ার কাছে যদি প্রয়োজনীয় এস-৪০০ ভারত না পায়, তাহলে দেশের আকাশসীকে সুরক্ষিত রাখতে এবার দেশিয় প্রযুক্তিতে নির্মিত নতুন ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ লঞ্চ করতে চলেছে ভারত। বর্তমানে ডিআরডিও এবং ভারত ইলেক্ট্রনিক্স কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ‘প্রজেক্ট কুশ’-এর (Project Kusha) জন্য কাজ শুরু করেছে। কিন্তু কী এই ‘প্রজেক্ট কুশ’? মূলত তিন ধরনের মিসাইলের মাধ্যমে আকাশ সুরক্ষায় যে কোনও ধরনের থ্রেটকে নিউট্রিলাইজ করতে সক্ষম হবে এই মিসাইল যুক্ত বর্ম। এর মধ্যে প্রথম মিসাইল হল, M-1 মিসাইল বা এম আর-স্যাম। ১৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে থাকা আকাশের যেকোনও আক্রমণকে ধ্বংস করতে সক্ষম হবে এটি। এছাড়াও রয়েছে M-2 মিসাইল বা ই-আর স্যাম। এটি ২৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে থাকা ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন,ও স্টেলথ বিমান পর্যন্ত ধ্বংস করতে সক্ষম। পাশাপাশি, ‘প্রোজেক্ট কুশ’-এ রয়েছে M-3 বা এক্স আর-স্যাম। এটি ৩৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে থাকা ব্যলস্টিক মিসাইল ও সামরিক পরিবহন বিমান ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। এটি সফল হলে ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ বা ‘সুদর্শন চক্র’-র সমতুল্য ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ পাবে ভারত। জানা গিয়েছে, এই অস্ত্রের নমুনা পেতে প্রায় ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৩৬ মাসের মধ্যে এর প্রাথমিক পরীক্ষা চালানো হতে পারে।
Cabinet approves MSP hike for 14 Kharif crops for 2025-26 season

The Cabinet Committee on Economic Affairs, chaired by Prime Minister Narendra Modi, has approved an increase in the Minimum Support Prices (MSP) for 14 Kharif crops for the marketing season of 2025-26. This decision is aimed at giving better prices to farmers for their produce. The government has announced that the highest increase in MSP compared to last year has been given to nigerseed, which will now get Rs 820 more per quintal. This is followed by ragi with a rise of Rs 596 per quintal, cotton with Rs 589, and sesamum at Rs 579. The MSP is the minimum price at which the government promises to buy crops from farmers, even if the market prices are lower. It is set every year for various crops to make sure farmers get a fair price. The MSP for the 2025-26 season has been fixed in line with the Union Budget 2018-19 announcement, which promised that MSP would be at least 1.5 times the average cost of production across India. This means farmers will earn at least 50% more than what they spend on growing the crops. According to government estimates, farmers growing bajra (pearl millet) will get the highest profit margin at 63% over their cost of production. This is followed by maize and tur (arhar dal) at 59% each, and urad (black gram) at 53%. For all other crops, the expected margin is around 50%. In recent years, the government has also been encouraging farmers to grow crops other than cereals. These include pulses, oilseeds, and millets (also known as Nutri-cereals or Shree Anna). To support this, the government has been offering higher MSPs for these crops to help farmers move towards more diverse and nutritious farming. The government also shared data on how procurement and MSP payments have changed over the years. Between 2014-15 and 2024-25, the government procured 7608 lakh metric tonnes (LMT) of paddy, while during 2004-05 to 2013-14, the procurement was 4590 LMT. Similarly, the total procurement of all 14 Kharif crops was 7871 LMT during 2014-15 to 2024-25, compared to 4679 LMT during 2004-05 to 2013-14. The amount paid to paddy-growing farmers during 2014-15 to 2024-25 was Rs 14.16 lakh crore. In the earlier period from 2004-05 to 2013-14, this amount was Rs 4.44 lakh crore. For all 14 Kharif crops combined, the total MSP amount paid to farmers during 2014-15 to 2024-25 was Rs 16.35 lakh crore. In comparison, between 2004-05 and 2013-14, the amount was Rs 4.75 lakh crore.
পুজোয় ৩ বড় বাজেটের ছবি বাংলায়

ষষ্ঠী থেকে দশমী— পাঁচটা দিন পুজোমণ্ডপের পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহেও ভিড় জমায় বাঙালি। পুজোয় ছবি মুক্তির সংখ্যা বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই দর্শকও ভাগ হয়ে যায়। বাণিজ্যের সাফল্যেও চলে টক্কর। এই দিকটি কি ভেবেছেন শুভ্রজিৎ? প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছে। শুভ্রজিতের কথায়, “সমস্ত ছবি দর্শক দেখতে আসবেন। সমস্ত ছবিই বাণিজ্যে ভাল ফল করবে, একজন পরিচালক হিসাবে সেটাই আমার চাওয়া। পুজোর চার দিন তিন থেকে চারটি ছবি মুক্তি পেতেই পারে। বহু বছর ধরে সেটাই চলে এসেছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত তিনটি ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। দর্শক ভাগ হলেও বাণিজ্যের ভাঁড়ারে টান পড়বে না, এমনটাই আশা করছি। ‘দেবী চৌধুরাণী’-তে ইংরেজ-বিরোধিতার বিষয়টি একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু যে সন্ন্যাসী বিদ্রোহ দিয়ে, সেই পটভূমিকায় উপন্যাস আবর্তিত। স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেলে ছবিটি কি বেশি ভাল ফল করত? ওই সময়ে বাংলা ছবির ততটা ভিড়ও নেই। জানতে চাইতেই সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন শুভ্রজিৎ। তাঁর মতে, বড় বাজেটের ছবি সব সময় সাধারণত পুজোর জন্যই তোলা থাকে। এ ক্ষেত্রে তাঁর ভাবনার সঙ্গে মিলে গিয়েছে প্রযোজকের ভাবনা। পাশাপাশি, বড় ছবির প্রচারটাও বড় মাপের হওয়া উচিত। তার জন্য সময় প্রয়োজন। পুজোয় ‘দেবী চৌধুরাণী’ মুক্তি পেলে প্রচারের জন্য হাতে কিছুটা সময়ও পাওয়া যাবে, জানিয়েছেন পরিচালক।
দেশের নিরাপত্তায় বড় পদক্ষেপ

ভারত-পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে সংঘর্ষবিরতি টানা হয়েছে আগেই। তবুও যেন থমথমে পরিস্থিতি। দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তাপ এখনও টের পাচ্ছে বিশ্ববাসী। পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে ভারতের তিন বাহিনী (Three Forces) হাতে হাত রেখে লড়াই করেছিল। গোটা দেশ তথা বিশ্ববাসী তার সাক্ষী। এই আবহেই কেন্দ্রীয় সরকার জারি করল এক নয়া নির্দেশ। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আঁটসাঁট করতে কেন্দ্র সরকার এক বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল। মোদি সরকারের (Modi Government) পক্ষ থেকে তিন বাহিনীকে একত্রিত হয়ে যৌথ কমান্ডের আওতায় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনা একত্রিত হয়ে কাজ করবে। ‘যৌথ কমান্ডের’ মাধ্যমে পরিচালিত হবে তিন বাহিনী। এই নির্দেশ গতকাল ২৭ মে থেকে কার্যকর হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল আন্তঃবাহিনী সংস্থাগুলির (ইন্টার-সার্ভিসেস অর্গানাইজেশনস) নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষতা বাড়ানো, যাতে সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে আরও সুসংহত সহযোগিতা গড়ে তোলা যায়।’’ উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় এক সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৫ জন পর্যটক এবং একজন কাশ্মীরি নিহত হন। সেই ঘটনায় গোটা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে একাধিক পদক্ষেপ নেয় ভারত (India)। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে সর্বত্র। ৬ মে মধ্যরাতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নামক বিশেষ অভিযানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের ৯টি স্থানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। এই অভিযানে পাকিস্তান বড়সড় ধাক্কা খায়। প্রতিশোধ নিতে সীমান্তবর্তী ভারতের বিভিন্ন শহরে হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান, কিন্তু ভারতীয় বাহিনীর প্রস্তুতির কাছে তা ব্যর্থ হয়।
এক ম্যাচে তিন কীর্তি কোহলির

আইপিএলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে এক সঙ্গে তিনটি নজির গড়লেন বিরাট কোহলি। প্রতিটি নজিরই তিনি গড়েছেন ব্যাট হাতে। তাঁর দল বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সও আইপিএলে ইতিহাস তৈরি করেছে মঙ্গলবার। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অর্ধশতরানের নজির গড়লেন কোহলি। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৩০ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ২৭ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। আইপিএলে এই নিয়ে ৬৩টি অর্ধশতরান হয়ে গেল তাঁর। আর কোনও ক্রিকেটার আইপিএলে এতগুলো অর্ধশতরানের ইনিংস খেলতে পারেননি। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। আইপিএলে তাঁর অর্ধশতরানের সংখ্যা ৬২। মঙ্গলবার তাঁকে টপকে গেলেন কোহলি। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৫৪ রান করায় এ বারের আইপিএলে কোহলির মোট রান হল ৬০২। এই নিয়ে পাঁচ বার আইপিএলের এক মরসুমে ৬০০ বা তার বেশি রান করলেন। তিনিই প্রথম ব্যাটার হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। এর আগে ২০১৩, ২০১৬, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের আইপিএলেও ৬০০র বেশি রান করেছিলেন। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন লোকেশ রাহুল। তিনি ২০১৮, ২০২০, ২০২১, ২০২২ সালে, অর্থাৎ মোট চার বার আইপিএলের এক মরসুমে ৬০০ বা তার বেশি রান করেছেন। তৃতীয় স্থানে যুগ্ম ভাবে রয়েছেন ওয়ার্নার এবং ক্রিস গেল। তাঁরা তিন বার করে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। মঙ্গলবারের ম্যাচে আরসিবির হয়ে ৯০০০ রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন কোহলি। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে একটি নির্দিষ্ট টি-টোয়েন্টি দলের হয়ে ৯০০০ রান করলেন তিনি। এ দিনের ম্যাচের পর আরসিবির জার্সি গায়ে কোহলির রান হল ৯০০৪। তার মধ্যে আইপিএলে করেছেন ৮৫৭৯ রান। বাকি রান অধুনালুপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে।
ITR filing deadline extended to September 15, 2025

If you haven’t filed your Income Tax Return (ITR) yet, there’s good news. The Income Tax Department has officially extended the deadline for filing ITRs that were originally due on or before July 31, 2025. The new due date is now September 15, 2025. WHY HAS THE ITR FILING DEADLINE BEEN EXTENDED? The Central Board of Direct Taxes (CBDT) made this decision after delays in issuing the new ITR forms and the necessary tools (utilities) required for filing. These forms have gone through several changes this year, and the tax department needed more time to prepare the systems and make them ready for public use. The IT Department wrote on X, “This extension will provide more time due to significant revisions in ITR forms, system development needs, and TDS credit reflections. This ensures a smoother and more accurate filing experience for everyone. Formal notification will follow.” According to the CBDT, the ITR forms for this year have been restructured and updated to make things easier for taxpayers. The changes aim to simplify the filing process, improve transparency and help taxpayers report their income more accurately. Because of these changes, more time was needed to test and release the updated system. Also, tax deducted at source (TDS) details – which are important while filing – only start showing up in early June, leaving little time for accurate filing without an extension.
চীনের ভূমিকা নিয়ে বড় মন্তব্য জয়শঙ্করের

পহেলগাম জঙ্গি হামলা (Pahalgam Terror Attack) এবং তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের আবহে এবার চীনের (China) ভূমিকা নিয়ে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এক জার্মান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি পাকিস্তানের (Pakistan) মদতদাতা হিসেবে চীনের ‘অস্পষ্ট’ ভূমিকা তুলে ধরেন। নাম না করেই জয়শঙ্কর বলেন, “আপনারা নিশ্চয় জানেন, পাকিস্তানের অস্ত্রভাণ্ডারের বড় অংশই এসেছে এক নির্দিষ্ট দেশ থেকে। আর এই দুই দেশ একে অপরের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ। বাকিটা আপনারাই বুঝে নিন।” উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ২৬ জন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। এর পাল্টা জবাব হিসাবে ভারত ৭ মে চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor), যার মাধ্যমে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একাধিক সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পাকিস্তানও পালটা ড্রোন হামলা শুরু করে কাশ্মীর থেকে গুজরাত পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সেই হামলা ব্যর্থ হলেও দেখা যায়, পাক সেনার ব্যবহৃত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তি এবং উৎপত্তি মূলত চীন ও তুরস্কের। এই বিষয়টি নিয়েই পাকিস্তানের মদতদার হিসেবে চীনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই প্রশ্নের জবাবেই চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের ‘অস্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতা’ তুলে ধরেন জয়শঙ্কর। এছাড়াও সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকার, বিশেষ করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘কৃতিত্ব দাবি’-কেও খণ্ডন করেন বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্করের সাফ বক্তব্য, “সংঘর্ষবিরতি হয়েছে দুই দেশের সেনা কমান্ডারদের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে। এর পুরো কৃতিত্ব ভারতীয় সেনার।” পাশাপাশি, পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, “পরিস্থিতি কঠিন হলেও কোনও পর্যায়েই পরমাণু সংঘাতের সম্ভাবনা ছিল না।”