‘নাদ’ ফেস্টিভ্যালে চাঁদের হাট

Reporter name :

Reporter Image :

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Telegram

সঙ্গীতের আসর কলকাতায় নতুন নয়। কিন্তু ‘নাদ’ (Naad) এমন এক অভিনব উচ্চমানের মনোজ্ঞ ফিউশন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর যেখানে শ্রোতারা বিরল যুগলবন্দির সুর-তাল-ছন্দে নিজেদের জারিয়ে নিতে পারেন। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। ভারতীয় বিদ্যা ভবন এবং পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষ তবলা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বসন্ত-সন্ধ্যায় বসেছিল ‘নাদ’-এর আসর। গোটা অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ (Pt Bikram Ghosh)।

এবারে ২১ থেকে ২৩ মার্চ এই তিনদিন ধরে জি ডি বিড়লা সভাঘরে বসেছিল ‘নাদ’-এর আসর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তাবড় তাবড় শিল্পীরাই এবারে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ধ্রুপদী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে ছিল ফিউশন। ‘নাদ’-এর প্রথম দিনে ছিল আমন আলি বঙ্গাসের (Aman Ali Bangas) সরোদ, তবলায় অনুব্রত চট্টোপাধ্যায়। কানায় কানায় ভর্তি সভাঘর, আমন আলি শুরু করলেন রাগ ললিতা দিয়ে। এরপর আভরি, হংসধ্বনি, সরস্বতী শোনান। হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা সভাঘর।

আমন বলেন, “ছোটবেলা থেকেই কলকাতায় আসছি। তবে বাবার মতো কলকাতার মন জয় করতে পেরেছি কি না জানি না। কলকাতার শ্রোতা সব সময় আমার কাছে স্পেশ্যাল।” এছাড়া ছিল অদিতি মঙ্গলদাসের কত্থক, অজয় পহঙ্কার এবং অভিজিৎ পহঙ্কারের যুগলবন্দি ‘সাউন্ডস্কেপ’, একক হারমোনিয়ামে তন্ময় দেওচকে।

এবারের উৎসবে অন্যতম আকর্ষণ ছিল শেষদিনে বিক্রম ঘোষের ব্র্যান্ড নিউ ‘ট্রান্সফর্মশন’। তবলা, মৃদঙ্গম, ভায়োলিন, কিবোর্ডের মিশ্রণে এক অভিনব ফিউশন। উনি শুরু করেন রাগ ‘যোগ’ দিয়ে।’নাদ’ শেষ হয় বিক্রম ঘোষের ফিউশন ঝংকারে। একঝাঁক তরুণ তুর্কিদের নিয়ে স্টেজে উঠেছিলেন তবলা মায়েস্ত্রো বিক্রম ঘোষ।

Share the Post:

Related Posts