ইজরায়েলকে কড়া বার্তা ইরানের

Reporter name :

Reporter Image :

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Telegram

ওয়েব ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান সংঘাত (Israel-Iran Conflict) থামানোর প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) ‘ড্যাডি’ বলে সম্বোধন করেছিলেন ন্যাটোর (NATO) সেক্রেটারি জেনারেল। সেই নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে তুমুল চর্চা হয়েছিল। আর এবার এই রসিকতার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আমেরিকাকে কটাক্ষ করল ইরান (Iran)। ইজরায়েলকে নিশানা করে কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ‘ড্যাডি’ ট্রাম্পকেও ছাড়ল না তেহরান।

শুক্রবার ট্রাম্প এবং মার্ক রুত্তের এই কথোপকথনের ভিডিও সামনে আসার পরেই শনিবার কটাক্ষের সুর শোনা গেল ইরানের বিদেশমন্ত্রীর তরফে। আব্বাস আরাঘচি (Abbas Araghchi) এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, “মহান ও শক্তিশালী ইরান ইতিমধ্যেই বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত থেকে বাঁচতে ইজরায়েলি শাসকদের ‘ড্যাডি’র শরণ নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।” একই পোস্টে তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন, “যদি ইজরায়েল ফের কোনও ভুল পথে হাঁটে, তাহলে ইরান তার আসল সামরিক শক্তি দেখাতে দ্বিধা করবে না। তখন বিশ্ব বুঝে যাবে ইরান ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর।”

এর পাশাপাশি ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনিকে (Ali Khamenei) অসম্মান করলে কোনও সমঝোতা সম্ভব নয় বলেও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন আরাঘচি। তাঁর বক্তব্য, “যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিই পরমাণু চুক্তি নিয়ে আগ্রহী হন, তাহলে তাঁর উচিত ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনির প্রতি সম্মান দেখানো। তাঁর সমর্থকদের হৃদয়ে আঘাত করলে সম্পর্ক আরও অবনতি ঘটবে।”

প্রসঙ্গত, ন্যাটো সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, “ইরান ও ইজরায়েল একেবারে স্কুলে মারামারির মতো আচরণ করছিল। কখনও কখনও এমন দুই পক্ষকে দু-তিন মিনিট ঝগড়া করতে দিতে হয়। তারপর ‘ড্যাডি’ হিসেবে হস্তক্ষেপ করতে হয়।” মার্কিন এক আধিকারিকের মুখে সেই মুহূর্তে শোনা গিয়েছিল ‘ড্যাডি’ শব্দটি, যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়।

Share the Post:

Related Posts