বর্ষা নিয়েও বড় আপডেট দিল আলিপুর হাওয়া অফিস

Reporter name :

Reporter Image :

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Telegram

ওয়েব ডেস্ক: গত কয়েকদিন ভ্যাপসা ও অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গবাসীর। তবে সপ্তাহান্তে স্বস্তির খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী চার দিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়তে পারে বর্ষা (Monsoon)। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার ফলে এবার রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির (Rain Update) পরিমাণ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পূর্বাভাস (Weather Forecast) অনুযায়ী, আগামী সোমবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

আলিপুর হাওয়া অফিসের মতে, দক্ষিণ বাংলাদেশ ও উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, যা দক্ষিণ ওড়িশা পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখায় পরিণত হয়েছে। এর পাশাপাশি, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলেও রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই দুই সিস্টেমের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমাগত জলীয় বাষ্প ঢুকছে, যা বৃষ্টির উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির (Thunderstorm) পূর্বাভাস। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায় ঘণ্টায় ৪০–৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। অন্যান্য জেলাতেও ৩০–৪০ কিমি বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে রবিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর— এই ছয় জেলায় মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার বৃষ্টি কিছুটা কমলেও, বুধবার থেকে ফের সক্রিয় হবে বর্ষা। মালদহ ও দুই দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীর জলস্তর বাড়তে পারে, ফলে নিচু এলাকায় জল জমে প্লাবন এবং পাহাড়ে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে।

কলকাতাতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বজায় থাকবে ঝোড়ো হাওয়া ও ভ্যাপসা গরমের যুগলবন্দি। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে শহরে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে শহরবাসী সাময়িক স্বস্তি পেতে পারেন বলে মনে করছে হাওয়া অফিস।

Share the Post:

Related Posts