ষষ্ঠী থেকে দশমী— পাঁচটা দিন পুজোমণ্ডপের পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহেও ভিড় জমায় বাঙালি। পুজোয় ছবি মুক্তির সংখ্যা বাড়লে স্বাভাবিক ভাবেই দর্শকও ভাগ হয়ে যায়। বাণিজ্যের সাফল্যেও চলে টক্কর। এই দিকটি কি ভেবেছেন শুভ্রজিৎ? প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছে। শুভ্রজিতের কথায়, “সমস্ত ছবি দর্শক দেখতে আসবেন। সমস্ত ছবিই বাণিজ্যে ভাল ফল করবে, একজন পরিচালক হিসাবে সেটাই আমার চাওয়া। পুজোর চার দিন তিন থেকে চারটি ছবি মুক্তি পেতেই পারে। বহু বছর ধরে সেটাই চলে এসেছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত তিনটি ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। দর্শক ভাগ হলেও বাণিজ্যের ভাঁড়ারে টান পড়বে না, এমনটাই আশা করছি।
‘দেবী চৌধুরাণী’-তে ইংরেজ-বিরোধিতার বিষয়টি একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু যে সন্ন্যাসী বিদ্রোহ দিয়ে, সেই পটভূমিকায় উপন্যাস আবর্তিত। স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেলে ছবিটি কি বেশি ভাল ফল করত? ওই সময়ে বাংলা ছবির ততটা ভিড়ও নেই। জানতে চাইতেই সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন শুভ্রজিৎ। তাঁর মতে, বড় বাজেটের ছবি সব সময় সাধারণত পুজোর জন্যই তোলা থাকে। এ ক্ষেত্রে তাঁর ভাবনার সঙ্গে মিলে গিয়েছে প্রযোজকের ভাবনা। পাশাপাশি, বড় ছবির প্রচারটাও বড় মাপের হওয়া উচিত। তার জন্য সময় প্রয়োজন। পুজোয় ‘দেবী চৌধুরাণী’ মুক্তি পেলে প্রচারের জন্য হাতে কিছুটা সময়ও পাওয়া যাবে, জানিয়েছেন পরিচালক।