নিরাপত্তারক্ষীর ওপর গুলি চালানের অভিযোগ, গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

Reporter name :

Reporter Image :

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Telegram

নিরাপত্তা রক্ষীর উপর গুলি চালানোর অভিযোগ করিমপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা শাজিজুল হক শাহ ওরফে মিঠুর বিরুদ্ধে। যদিও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় গুলি। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে।

জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর ঘটনা রবিবারের। নিজের নিরাপত্তারক্ষী রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল জাহাঙ্গির আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান জাহাঙ্গির। খবর পেয়ে থানারপাড়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে শাহকে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও আট রাউন্ড গুলি। সূত্রের খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদিয়ার থানারপাড়া থানা এলাকার দাপুটে নেতা মিঠু। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তৃণমূল নেতা রবিবার মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। রাতভর মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ করছিলেন। সেইসময় বারবার তাঁকে নিষেধ করছিলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী জাহাঙ্গির আলম। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থাতেই ওই নিরাপত্তারক্ষী জাহাঙ্গিরকে লক্ষ্য করে গুলি চালান তৃণমূল নেতা। যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বাঁচেন তাঁর দেহরক্ষী। এরপরই থানারপাড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র এছাড়াও আট রাউন্ড গুলি।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা, পাল্টা থানারপাড়া থানার ওসির বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, মাটি মাফিয়াদের নিয়ে অবৈধভাবে মাটি কারবার করার প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই মাটি মাফিয়াদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে একথা মানতে নারাজ পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার পুলিশ হেফাজত চেয়ে তেহট্ট মহকুমা আদালতে তোলা হয় মিঠুকে। তবে এত আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেলেন তিনি, কেনই বা এত অস্ত্র ঘরে মজুত করেছিলেন তৃণমূল নেতা, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর গোটা বিষয় জানা যাবে।

Share the Post:

Related Posts