শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আর্মি বেস হাসপাতালে ভর্তি পহেলগাঁওকাণ্ডে (Pahalgam) আহতদের অনেকে । তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। বৈঠক করেছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে।
বৈঠক শেষে রাহুল বলেন, ‘‘সমাজকে বিভক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা ঘটানো হয়েছে। সন্ত্রাসবাদকে রুখতে প্রত্যেক ভারতীয়কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একজোট হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাহুল বলেন, জঙ্গিদের উদ্দেশ্য হল সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করা। তাদের এই প্রচেষ্টা আমরা সফল হতে দেব না। তিনি আরও বলেন, ‘আমি এক আহত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছি। মুখ্যমন্ত্রী ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে।’ জম্মু-কাশ্মীরে লেফটেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) মনোজ সিং এবং জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীকে রাহুল আশ্বস্ত করেছেন যে, কংগ্রেস তাঁদের পূর্ণ সমর্থন করবে। রাহুল স্পষ্ট জানান, ‘আমি চাই সবাই জানুক গোটা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশ একজোট হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটা ঘটেছে, তার পিছনে মূল উদ্দেশ্য সমাজকে বিভক্ত করা। কিছু লোক আমাদের কাশ্মীরি ভাইবোনদের আক্রমণ করছে, এটা খুবই দুঃখজনক।’
প্রসঙ্গত ২২ এপ্রিল ভূস্বর্গের বৈসরানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়। প্রাণ হারান ২৬ জন। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে এটিই অন্যতম বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা। পুলুওয়ামার পর দেশে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা। দোটা দেশ ফুঁসছে প্রতিশোধের আগুনে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এই হামলার পেছনে থাকা মাস্টারমাইন্ডদের সমর্থন করেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতেই আজ জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, ‘এটা শুধু কাশ্মীর নয়, পুরো দেশের উপর আঘাত। গোটা ভারত একসঙ্গে আছে, এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’