বাতিল ২৫৭৫৩ জনের চাকরি

Reporter name :

Reporter Image :

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Telegram

নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দিকে। ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের যেই প্যানেল বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলাই চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে মিলল না স্বস্তি। ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করল শীর্ষ আদালত। বহাল রাখা হলো কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই।

শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে বলা হয়, পুরো প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে। রয়েছে গাফিলতি। ওই ছাব্বিশ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এমনকি বলা হয়েছিল দুটো আলাদা লিস্ট করার জন্য, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু সেই লিস্ট ও জমা দেওয়া যায়নি।তাই সুপ্রিম কোর্টও কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখে বাতিল করা হলো ২৫৭৫৩ জনের চাকরি।

শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ, ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে স্পষ্টত জানিয়ে দেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে শুরু করতে হবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া।

পাশাপাশি, প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট যেই রায় দিয়েছিল সেই রায়কে বহাল রেখে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২৬ হাজার জন চাকরি প্রার্থীদের তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হল প্রধান বিচারপতি খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হয়, এবং তারপর স্থগিত রাখা হয় রায়দান। আজ শীর্ষ আদালত সেই রায়দান দেয়, যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের রায়দান কেই সম্মতি জানিয়ে ঘোষণা করা হলো ২৬ হাজার জন চাকরি প্রার্থীর চাকরি বাতিলের কথা।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার রায় ঘোষণা করে। স্পষ্টত জানিয়ে দেওয়া হয়, যোগ্য অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য ২০১৬ সালের এসএসসি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উঠেছিল দুর্নীতির অভিযোগ। তারপর এই কলকাতা হাইকোর্টে চলে এই মামলার শুনানি। আর সেখানেই হাইকোর্ট স্পষ্টত জানিয়ে দেয় ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়ার কথা। যার জেরে তৎক্ষণাৎ চাকরি হারান ২৫,৭৫৩ জন। আর তারপরেই হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরি হারারা।

তবে বহাল থাকবে সোমা দাসের চাকরি। কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট তো জানিয়ে দিয়েছিলেন ক্যান্সারে আক্রান্ত সমা দাসের চাকরি বহাল টাকা হচ্ছে আর সেই সিদ্ধান্তকেই সম্মতি জানালো শীর্ষ আদালত। বহাল থাকল সোমা দাসের চাকরি, বাকি পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হলো শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে।

Share the Post:

Related Posts