১৫ জানুয়ারি, সেনাবাহিনী দিবসে (Army Day) ভারতীয় নৌসেনায় সংযুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক ও প্রবল ক্ষমতাশালী রণতরী, সাবমেরিন। বুধবার সেনাবাহিনী দিবসে মুম্বইয়ে নৌসেনার তিনটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আইএনএস সুরাট, আইএনএস নীলগিরি এবং আইএনএস ভাগশির ওরফে ‘হান্টার কিলার’ সাবমেরিনকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন মোদি। প্রবল ক্ষমতাশালী রণতরী, সাবমেরিন যুদ্ধজাহাজগুলি (warship) নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলে, ভারতের সামুদ্রিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এগুলিই পরবর্তীকালে দেশের সুরক্ষায় হয়ে উঠতে পারে গেম-চেঞ্জার।
নৌবাহিনীর ক্ষমতাকে আরও বাড়াতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন (submarine)। চিন – পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়তে পারে। জলপথে চিন যে ভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে তাতে নৌসেনার শক্তিবৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। এই স্করপিন যুদ্ধজাহাজগুলি অন্তর্ভুক্ত হলে, ভারতের সামুদ্রিক শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত মহাসাগরে চিনের বাড়বাড়ন্ত রুখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এই নতুন সংযোজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, ১৫ জানুয়ারি একটি ‘স্পেশাল ডে’। এদিনই নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, 7400 টন আইএনএস সুরাত (INS Surat), 6670 টন আইএনএস নীলগিরি (INS Nilgiri), 1600 টন আইএনএস ভাগশির (INS Vagsheer)। মোদি বলেন, দুটি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন ,তিনটিই দেশকে প্রতিরক্ষার বিষয়ে অগ্রনী হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে দেবে। আত্মনির্ভর করে তুলবে ভারতকে। সেনার সামগ্রিক শক্তিবৃদ্ধিতে দারুণ কাজ করবে এই রণতরীগুলি, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইএনএস সুরাট উন্নতমানের গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার। এটি বিশ্বের বৃহত্তম মিশাইল ডেস্ট্রয়ারগুলির মধ্যে একটি। অটোমেশন এবং অর্ডন্যান্সের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি উন্নত এই মডেল, যার সিংহভাগই নির্মাণ হয়েছে ভারতে। আইএনএস নীলগিরি ১৭এ স্টিলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের প্রথম জাহাজ। শিবালিক-ক্লাসের ফ্রিগেটের তুলনায় এর প্রযুক্তি অত্যাধুনিক । রণতরীগুলির ডিজাইন তৈরি হয় দিল্লিতে নৌসেনার ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো থেকে।