আইসিএসই (ICSC) ও সিবিএসই (CBSC) বোর্ডকে টেক্কা দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Council of Higher Secondary Education)। চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অর্থাৎ একাদশে দিল্লি বোর্ডগুলির থেকে কয়েক হাজার পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে বলে দাবি সংসদের। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কমেছে স্কুলছুট পড়ুয়ার সংখ্যা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “দেশের মধ্যে আমারই প্রথম সংসদ যারা একাদশে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করেছি। সেই পদ্ধতির প্রতি আকর্ষিত হয়েই এবছর অন্য বোর্ড থেকে পড়ুয়াদের ভর্তি নজিরবিহীন ভাবে বেড়েছে।”
প্রসঙ্গত, এতদিন দেখা গিয়েছে মাধ্যমিকে যত সংখ্যক পরীক্ষার্থী পাশ করে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভর্তি হওয়ার সময় সেই সংখ্যা ১০ থেকে ১২ শতাংশ কমে যায়। শুধু এ বছরই ব্যতিক্রম। যত সংখ্যক পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পাশ করেছে তার থেকে বেশি পড়ুয়া ভর্তি হল উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। শুধু তাই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে রাজ্য সরকারের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীনে সিবিএসই ও আইএসসি বোর্ড থেকে কয়েক হাজার পড়ুয়া রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে সম্প্রতি। পাশাপাশি, পুরোনো পড়ুয়াদেরও এবছর নতুন করে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেখান থেকেও বেশকিছু ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭,৬৫,২৫২ জন। আর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে এর থেকে ১৫ শতাংশ বেশি পড়ুয়া।
শিক্ষা সংসদ সূত্র জানাচ্ছে, অন্যান্য বোর্ড থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। পুরনো পদ্ধতিতে যারা আগে ফেল করেছিল তারাও নতুন করে এই নয়া সিমেস্টার পদ্ধতিতে নাম নথিভুক্তকরণ করেছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকতার যে জোয়ার এসেছে তার ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।