৫০০ বছরের এই পুজোর কথা জেনে নিন

Reporter name :

Reporter Image :

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Telegram

মায়ের পায়ের জবা হয়ে ওঠ না ফুটে মন’-এই শ্যামা সঙ্গীতের সুর আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হতে শুরু করেছে। হাতে আর মাত্র দু’দিন বাকি। বৃহস্পতিবার শ্যামা মায়ের আরাধনায় মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। অনেক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধনও শুরু হয়ে গিয়েছে। শহর কলকাতা ছাড়াও রাজারহাট, বারাসত, মধ্যমগ্রামের বিরাট বহরের কালী আরাধনা ছাড়াও জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা মাতৃ পুজো। বহু ইতিহাসের সাক্ষী সেই সব কালীপুজো চাক্ষুষ করতে রাত জাগবেন অনেকেই। সেরকমই একটি আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার ৫০০ বছরের পুরনো কালীপুজো, ফালাকাটা শ্রীশ্রী আদি জংলা কালীমাতা মন্দিরে পুজোর প্রস্তুতি চরমে।

কথিত, এক সময় ফালাকাটার মুজনাই নদীর পাড়ে ঘন জঙ্গল ছিল। সেখানে বন্য পশুরা বাস করত।  নদী দিয়ে চলত নৌকায় বাণিজ্য।  দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে কাঁসর ঘণ্টার আওয়াজ পেত জনগণ।  পরের দিন সকালে দেখাযেত সেখানে মা কালীর মূর্তি পুজো হয়েছে। পুজোর সামগ্রী  পড়ে রয়েছেl  এরপর ধীরে ধীরে সেখানে বন জঙ্গল কেটে জনবসতি গড়ে উঠতে থাকে। সেই অজানা লোক নৌকো করে এসে আর পুজো দেয় না। এরপর থেকেই এলাকাবাসী সেখানে মন্দির গড়ে পজো করা শুরু করেনl  সাধক বামাক্ষ্যাপাও না কি এই মায়ের মন্দিরে ধ্যান এবং সাধনা করে গিয়েছেন। বামাক্ষ্যাপার সেই ধ্যান এবং সাধনা করার বেদীটি এখনও রয়েছে মন্দির প্রাঙ্গণে। সেটিকেও পুজো করা হয়l  তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই পুরনো নিয়ম নীতির কোনও ভাটা পড়েনি l  এখনও নিয়ম করে প্রতিদিনই পুজো হয় অমাবস্যায়। বিশেষ ভোগ হয়। কালীপুজোর দিন শতাধিক পাঁঠা বলি হয়। পাঁঠা ও কবুতর উৎসর্গ করা হয় মায়ের উদ্দেশ্যে।  ভক্তরা জানান, তাঁরা এখানে  মায়ের কাছে মানত করে ফল পেয়েছেন সেই কারণেই তাঁরা এখানে পাঁঠা কবুতর উৎসর্গ করেন এবং বলি দেন l

Share the Post:

Related Posts