Microsoft-এর ৬,০০০ কর্মী ছাঁটাই

টেকনোলোজির দুনিয়ায় ফের কর্মী ছাঁটাইয়ের (Employees Fired) সিঁদুরে মেঘ। এবার ৬,০০০ কর্মীকে বরখাস্ত করল ‘টেক জায়ান্ট’ মাইক্রোসফট (Microsoft)। তবে এখানে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা (Software Engineer)। কারণ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একটি বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের মধ্যে নাকি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন ৪০ শতাংশের বেশি। সবথেকে অবাক করার মতো বিষয় হল, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) কারণেই কর্মীদের ছাঁটাই করেছে এই বহুজাতিক টেক সংস্থা। জানা গিয়েছে, শুধু জুনিয়র কোডাররাই নন, ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ও টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্টের উচ্চপদস্থরাও। এআই (AI) প্রকল্পে যুক্ত থাকা কর্মীরাও ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়েছেন। মাইক্রোসফটের ‘এআই ফর স্টার্টআপস’-এর ডিরেক্টর গ্যাব্রিয়েলা দে কুইরোজ নিজেই ছাঁটাই হওয়ার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শোক প্রকাশ করেন। সূত্রের খবর, সংস্থার তরফে অনেক ইঞ্জিনিয়ারকে আগেই ‘ওপেন এআই’ ভিত্তিক চ্যাটবট ব্যবহার করে কোড লেখার পরিমাণ বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মাইক্রোসফটের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেফ হালস তাঁর ৪০০ জন ইঞ্জিনিয়ারের দলকে এআই চ্যাটবট ব্যবহার করে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কোড লেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেখানে সাধারণত ২০-৩০ শতাংশ কোড এআই তৈরি করত। এর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারদের সেই দল ছাঁটাইয়ের কবলে পড়ে। অর্থাৎ, কোড লেখার দক্ষতা শেষমেশ যেন চাকরি হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়াল ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, মাইক্রোসফট-এর ইঞ্জিনিয়াররা কি নিজেরাই নিজেদের পরিবর্তে এআই-কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন? এর উত্তর খুঁজলে মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলার কথা বলতেই হয়। এর আগে তিনি বেশ কয়েকবার এআই-কে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি একাধিকবার উল্লেখ করেছেন যে, কিছু প্রকল্পে এআই প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কোড লিখছে। তবে এই প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মাঝেই বহু দক্ষ কর্মীর হঠাৎ চাকরি হারানো, কর্পোরেট কর্মীদের কঠিন বাস্তবকে তুলে ধরেছে।
রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় লুকা মদ্রিচের

স্পোর্টস ডেস্ক: রিয়াল মাদ্রিদকে (Real Madrid) বিদায় জানালেন লুকা মদ্রিচ (Luka Modrić)। ব্যালন ডো’র জয়ী তারকা মিডফিল্ডার জানালেন, এই মরসুমের শেষে রিয়াল ছাড়বেন। আগামী শনিবার (২৪ মে) রিয়াল সোসিদাদের বিরুদ্ধে সান্তিয়াগো বার্নাবেউতে (Santiago Bernabeu) তাঁর শেষ ম্যাচ। মাঝমাঠে মদ্রিচের ‘পার্টনার’ টোনি ক্রুস (Toni Croos) আগের মরসুমেই বিদায় জানিয়েছিলেন, এবার ছোট চেহারার ক্রোয়েশিয়ানের বিদায়ে রিয়ালে এক অধ্যায়ের শেষ হল। ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে মদ্রিচ লেখেন, “সময় এসেছে। এটা সেই মুহূর্ত যেখানে আমি কোনও দিন আসতে চাইনি, কিন্তু ফুটবল এমনই, এবং জীবনে সব জিনিসের শুরু আছে আবার শেষও আছে… শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাবেউতে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলব। ২০১২ সালে আমি পৃথিবীর সেরা দলের জার্সি পরতে এবং বড় বড় সাফল্যের আকাঙ্ক্ষায় এসেছিলাম। কিন্তু তারপরে যা হয়েছে তা আমার কল্পনার বাইরে।” মদ্রিচ আরও লেখেন, “রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা আমাকে খেলোয়াড় এবং মানুষ হিসেবে পালটে দিয়েছে। ইতিহাসের সেরা ক্লাবের অন্যতম সফল যুগের অংশ হতে পেরে গর্বিত বোধ করি। এই ক্লাবকে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, আমার টিমমেট, কোচদের, এবং সবাই যারা আমাকে সাহায্য করেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।” “এতগুলো বছরে আমি অবিশ্বাস্য মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছি, অসম্ভব মনে হওয়া প্রত্যাবর্তন, ফাইনালগুলো, সেলিব্রেশন, বার্নাবেউতে জাদুকরী রাত। আমরা সবকিছু জিতেছি, এবং আমি খুব খুব খুশি হয়েছি। তবে খেতাব এবং জয় ছাপিয়ে আমি সমস্ত রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের ভালোবাসা হৃদয়ে বহন করছি… আমি পরিপূর্ণ হৃদয়ে বিদায় নিচ্ছি। গর্ব, কৃতজ্ঞতা এবং অমোচনীয় স্মৃতি নিয়ে। ক্লাব বিশ্বকাপের পর আমি আর মাঠে এই জার্সি পরব না, তবে চিরকাল রিয়াল মাদ্রিদ ভক্ত হয়ে থেকে যাব।”
কমলা সতর্কতা জারি কোন কোন জেলায়?

ফের আবহাওয়া নিয়ে বড়সড় আপডেট দিল মৌসিম ভবন (Kolkata Weather Update)। ২৭ মে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তৈরি হতে পারে গভীর নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপ আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা তা এখনও জানায়নি ভারতের মৌসিম ভবন (IMD Weather Update)। আইএমডি-র তরফে জানানো হয়েছে, ২৭ মে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। তবে সেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি, আরব সাগরেও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আরও জানা গিয়েছে, আরব সাগরের পূর্ব-মধ্যাঞ্চলে আরও একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের আবহাওয়া ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিতে মদত দিয়েছে। বিভিন্ন আবহাওয়া মডেলের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপের তীব্রতা ও গতিপথ নিয়ে একাধিক পার্থক্য দেখা গেলেও বেশিরভাগ মডেলই উপকূল বরাবর উত্তরের দিকে অগ্রসর হয়ে ২৪ মে-র মধ্যে একটি ডিপ্রেশনে পরিণত হতে পারে এমনটাই জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে জারি রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা। কোথাও কোথাও আবার ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভবনা। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।