‘অপারেশন সিঁন্দুর’, ISRO’র ভূমিকা কতটা?

‘অপারেশন সিঁন্দুর’ (Operation Sindur) শুধু একটি নাম নয়, ন্যায়ের প্রতীক, জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমনটাই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) । পাকিস্তান হামলা চালালে তার মোক্ষম জবাব দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দেন প্রধানমন্ত্রী । ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ ভারতের গর্ব, তিন বাহিনীকেই (Indian Army) স্যালুট জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাহিনীর অসীম সাহসের প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুও (President Draupadi Murmu) । তবে নিভৃতে কাজ করে গেছে আরও এক ‘বাহিনী’ যার নাম ইসরো। অপারেশন সিঁন্দুর-এ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (Isro)। প্রধানমন্ত্রী মোদি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পাকিস্তানের উপর সময় নজর রাখবে ভারত। প্রধানমন্ত্রীর কথা মতো পাকিস্তানের উপর নজর রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে ইসরো। EOS-09 কে মহাকাশে পাঠাচ্ছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন। ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা (India’s border security) জোরদার করতে ১৮ মে EOS-09 উৎক্ষেপণ করবে ইসরো। এই কৃত্রিম উপগ্রহটি শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। ভারত পাক উত্তেজনা (India Pakistan Conflict) আবহে প্রতি মুহূর্তে ভারতের পাশে থেকেছে ইসরো। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত করতে প্রতি মুহূর্তে সাহায্য করে গেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন। এই নতুন কৃত্রিম উপগ্রহ EOS-09 পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে। যেকোনও পরিস্থিতিতে ভূপৃষ্ঠের সঠিক স্পষ্ট ছবি তুলতে সক্ষম। আকাশে মেঘ থাক, বা রাত-দিন হোক যেকোনও পরিস্থিতিতে কাজ করবে, এই EOS-09 বা RISAT-1B। ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে প্রযুক্তির ব্যবহার ভারতকে বিশেষ সাফল্য দিয়েছে। আধুনিক যুদ্ধে প্রযুক্তি বিজ্ঞান,নয়া অধ্যায় তুলে ধরছে। এই পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইটের দ্বারা দেশের সুরক্ষা একটি বড় বিষয়। ইসরোর বহু স্যাটেলাইটই দেশের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রয়েছে। ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ (ISRO Chairman V. Narayan ) জানিয়েছেন, দেশের সুরক্ষার জন্যই ১০ টি স্যাটেলাইট কাজ করছে। এগুলি দেশের স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যা দেশের সুরক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হয়। এই উপগ্রহের মাধ্যমে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছে ভারত। এই উপগ্রহের উপর ভর করেই ভারত নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা-কীভাবে সুনিশ্চিত করা যেতে পারে সেই পরিকল্পনা করে চলেছে। আগামীদিনে এই ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী, জোরালো ও আধুনিক হবে আশাবাদী ভারত।
অ্যাপলকে ভারতে কাজ না করার নিদান ট্রাম্পের!

ফের বিতর্ক খাড়া করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। অ্যাপল সংস্থা (Apple) ভারতে কাজ করুক তা চান না তিনি। অ্যাপলের সিইও টিম কুককে (Tim Cook) তিনি বলেছেন, ভারত নিজের ব্যবস্থা নিজেই করতে পারবে, ওখানে কাজ করার দরকার নেই। কুককে যে এসব বলেছেন, তা নিজেই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দোহায় এক বাণিজ্যিক ইভেন্টে যোগ দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “বন্ধু, শুনলাম আপনি ভারতে উৎপাদন করছেন। আমি চাই না আপনি ভারতে উৎপাদন করুন। যদি আপনি ভারতের দেখভাল করতে চান তাহলে সেখানে উৎপাদন করুন, কারণ ভারত পৃথিবীর সবথেকে বেশি শুল্ক আদায় করা দেশের মধ্যে একটা। তাই ওখানে বিক্রি করা খুব কঠিন।” ট্রাম্প এমনও দাবি করেছেন যে ভারত (India) মার্কিন পণ্যের উপর কোনও শুল্ল চাপাতে চায় না, যদিও তেমন কোনও ঘোষণা নয়াদিল্লি করেনি। ট্রাম্প বলেন, “ওরা (ভারত) আমাদের এমন এক প্রস্তাব দিয়েছে যাতে আক্ষরিক অর্থে কোনও শুল্ক নেই। আমি টিমকে বললাম, আমরা তোমাকে ভালো জায়গা দিয়েছি, এত বছর ধরে চীনে এত কারখানা বানিয়েছেন সেসব মেনে নিয়েছি। কিন্তু আপনার ভারতে উৎপাদনে আমরা ইচ্ছুক নই। ভারত নিজের দেখভাল নিজেই করতে পারে।” অ্যাপলের আইফোন, ম্যাক বুক সারা পৃথিবীর মানুষের পছন্দের ‘গ্যাজেট’। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এবার আমেরিকাতেই এগুলোর উৎপাদন বাড়বে। অথচ তিনি এমন সময় এইসব মন্তব্য করলেন যখন অ্যাপল ভারতেই তার কর্মকাণ্ডে ব্যাপকতা আনতে চাইছে। ট্রাম্পের শুল্ক নীতি আঘাত প্রতিহত করতে চীন থেকে ভারতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে ভারতে তিনটি অ্যাপল প্ল্যান্ট আছে, দুটি তামিলনাড়ুতে এবং একটি কর্নাটকে। একটি চালাচ্ছে ফক্সকন এবং বাকি দুটি চালাচ্ছে টাটা গ্রুপ। আরও দুটি প্ল্যান্ট রয়েছে পাইপলাইনে।
জেলায় জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী?

ভ্যাপসা গরম ও চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। এই জ্বালা পোড়া গরম থেকে কবে রেহাই মিলবে সেই প্রশ্ন সকলের। এবার সুখবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পাঁচ জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী (Kalbaisakhi)। বৃহস্পতিবারের পর থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণের প্রায় সব জেলাতেই কমবেশি ঝড়বৃষ্টি (Rain Strom Forecast) হতে পারে। বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। তাপমাত্রাও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। একটানা ভ্যাপসা গরম চলেছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে সকাল থেকেই গলদঘর্ম অবস্থা পশ্চিমের জেলাগুলির। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই ছবিটা কিছুটা বদলে গেল।বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আবহাওয়ার দাওয়া বদল ঘটল। মেঘের দেখা মিলল কলকাতার আকাশেও। হাওয়া অফিস বলছে, এদিন দক্ষিণের বেশিরভাগ জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বইবে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। রাতের দিকে কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও ঝড়ো হাওয়া-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, বীরভূম, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে কালবৈশাখী বইতে পারে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়। বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখীর পরিস্থিতি চার জেলাতে-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলাতে। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে কলকাতা-সহ সব জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে। শুক্রবার কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি থাকবে দুই জেলাতে-নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতা-সহ সব জেলাতে রয়েছে। শনি ও রবিবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে কলকাতা-সহ সব জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। সোমবারের ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলাতে।