পরের সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী

আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ সফরেও (Mamata Banerjee North Bengal) যাবেন, বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই জানালেন তিনি। এবারের উত্তরবঙ্গ সফরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানেও একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাংলাকে ঘিরে শিল্প এবং কর্মসংস্থানে যে জোর দেওয়া হয়েছে সেটাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেখানে জমি সংক্রান্ত নানা প্রস্তাব এবং প্রকল্পের কথা উঠে আসে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, কোন কোন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নবান্নে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পবার্তা দেন। দ্রুত শিল্পায়ন আমাদের লক্ষ্য। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ১০টি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্যে কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে একাধিক সংস্থাকে জমি দেওয়া হয়েছে। বাংলায় শিল্পের জন্য আরও অনেকে জমি চাইছেন। এদিনের বৈঠকে মমতা জানান, রাজ্যের প্রায় প্রত্যেক জেলায় একটি করে বড় শপিং মল বা বিগ মার্কেট খোলা হবে। এই শপিং মল বা বড় বাজার হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ১১টি জেলায় জমি চিহ্নিত করার কাজ হয়ে গিয়েছে। পুরুলিয়া, দার্জিলিং, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর–সহ একাধিক জেলায় শপিং মল হবে। তিনি জানান, ভালো জমি পেলে দিঘায় বড় বাজার তৈরি হবে। এদিন মমতা জানান আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের সফরে যাবেন তিনি। এখন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে, আবহাওয়া ভালো থাকবে না, তাই হেলিকপ্টার ব্যবহার করবেন না মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌সামনের সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ সফরে যাব আমি। বানারহাট, ওদলাবাড়িতে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন কর্মসূচি করা হবে। তারপর প্রশাসনিক বৈঠক হবে ২১ তারিখ। আর ২২ তারিখ ফিরে আসব।

রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় শক্তি (Cyclone Shakti)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৩ থেকে ২৮ মে এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ তৈরি হতে পারে। ২৪ থেকে ২৬ মে এর মধ্যে উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা এবং ওড়িশা থেকে চট্টগ্রাম উপকূলকে। শক্তির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চল। ঝড় এগিয়ে গেলে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল তাণ্ডব চালাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারি বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। আয়লা, ফণী, আমফান, ইয়াস রুদ্রমূর্তি নিয়ে মে মাসে একে একে ধেয়ে এসেছিল। এবার ফের সেই মে মাসে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের (Bay Of Bengal) কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি করতে পারে। ১৬ মে থেকে ২২ মে এর মধ্যে নিম্নচাপ তৈরি হয়, তাহলে আবারো একটি ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের রূপ নিতে পারে। আবহাওয়া দফতর পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। তিন থেকে চারদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এ বছর দেশে আগাম বর্ষা। মঙ্গলবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ আন্দামান সাগর, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং উত্তর আন্দামান সাগরের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে গত দুই দিনে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। মৌসুমি বায়ু কেরালায় সাধারণত ১ জুন প্রবেশ করে তবে চলতি বছর ২৭ মে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলার জন্য আশার বাণী শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গোটা রাজ্যেই আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। চাঁদিফাটা রোদে গলদঘর্ম দশা রাজ্যবাসীর। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ (Heatwave South Bengal) পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি থেকে কবে স্বস্তি মিলবে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যবাসীর মনে। সোমবার সন্ধ্যায় ঝড়বৃষ্টির (Rain Strom Forecast) ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে আবার সেই পুরনো ফর্মে ব্যাট করছে গরম। বুধ সন্ধ্যা কি আদৌ হাওয়া বদল হবে? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বুধবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। তবে জারি রয়েছে অস্বস্তিকর গরম। দিনভর প্যাচপ্যাচে ঘাম নিয়েই কাটবে। তবে সন্ধ্যার পর বদল আসতে পারে আবহাওয়ায়। কোনও কোনও বৃষ্টি হলেও হতে পারে। কলকাতায় না হলেও বুধে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। হাল্কা হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টির সঙ্গে তাপপ্রবাহও বজায় থাকবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়বৃষ্টি বাড়তে পারে।

খাদ্যপণ্য থেকে জ্বালানি, মূল্যবৃদ্ধির হার কত?

এপ্রিলে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির (Wholesale Price Increase) হার দাঁড়িয়েছে ০.৮৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এই হার ছিল ২.৪৫ ও ২.০৫ শতাংশ। এপ্রিলে খাদ্যপণ্যের (Food products) দাম বেড়েছে ২.৫৫ শতাংশ, শিল্পজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ২.৬২ শতাংশ হারে। তবে জ্বালানি (Fuel) ও বিদ্যুতের দাম (Electricity Price) কমেছে ২.১৮ শতাংশ হারে। খাদ্যের মধ্যে শস্য, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধি এক্ষেত্রে বেশি অবদান রেখেছে, বিপরীতে দাম কমেছে চিনি ও ভেজিটেবল অয়েলের। এপ্রিল মাসে এফএও-এর গড় খাদ্য মূল্যসূচক এসে দাঁড়িয়েছে ১২৮ দশমিক ৩ পয়েন্টে। যা মার্চের ১২৭ দশমিক ১ পয়েন্টের তুলনায় এক শতাংশ ঊর্ধে। এপ্রিলের এই সূচক এক বছর আগের একই মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। তবে অন্যদিক দিয়ে দেখতে গেলে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর পর, সর্বোচ্চ থেকে ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ কম। গমে রফতানি বেড়েছে কারণ রাশিয়া থেকে রফতানি কমেছে। বেড়েছে চালের দাম বেড়েছে তার চাহিদার কারণে। ব্রিটেন ভূট্টার মজুদ করারে কারণ এপ্রিলে খাদ্যসূচক বেড়েছে। এফএও বলছে, মুদ্রার ওঠানামা বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের বাজারকে প্রভাবিত করেছে। সেই সঙ্গে শুল্ক নীতির সমন্বয় বাজারের অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি করেছে। সর্বভারতীয় পাইকারি মূল্য সূচক (WPI) সংখ্যার উপর ভিত্তি করে মুদ্রাস্ফীতির বার্ষিক হার ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের জন্য (এপ্রিল, ২০২৪ এর তুলনায়) ০.৮৫% (অস্থায়ী)। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে মুদ্রাস্ফীতির ইতিবাচক হার মূলত খাদ্য পণ্য, অন্যান্য উৎপাদন, রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য, অন্যান্য পরিবহন সরঞ্জামের উৎপাদন এবং যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের উৎপাদন ইত্যাদির দাম বৃদ্ধির কারণে।

Food and fuel prices mainly drove the slowdown in inflation

Wholesale inflation in India cooled down to a 13-month low of 0.85% in April 2025, thanks to lower prices of food, fuel, and some manufactured items. This is a drop from 2.05% in March and 1.19% in April last year, according to government data released on Tuesday. WHY ARE PRICES FALLING? The fall in wholesale prices is mostly because food and fuel costs have come down. Even though there’s still a slight rise in prices overall, the increase is much slower. The government explained that some price hikes in manufactured food products, chemicals, machinery, and transport equipment kept inflation in positive territory. MANUFACTURED GOODS AND FUEL SEE A SHIFT Manufactured products, which make up the biggest chunk of the wholesale price index, saw a price rise of 2.62% in April. Prices of primary articles rose more slowly at 1.44%, while the fuel and power segment actually got cheaper, falling by 2.18% after seeing a small rise the month before. FOOD PRICES SHOW BIG CHANGES The biggest relief was seen in everyday kitchen items. Vegetables became a lot cheaper, with prices dropping over 18% in April. Onion inflation almost vanished, going from a steep 26.65% in March to just 0.20%. Potatoes, too, became cheaper, with prices falling over 6%.