আজ থেকে বঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা

গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী! ভ্যাপসা গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার কাণ্ড সকলের। পাখার নীচে বসলেও মিলছেনা রেহাই। সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, কবে আসবে বৃষ্টি (Rain)? আর এবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Report) পক্ষ থেকে দেওয়া হল বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামীকাল, অর্থাৎ শনিবার থেকে বঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে বজ্রপাত সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। যার জেরে কিছুটা মিলবে স্বস্তি। ইতিমধ্যেই বঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। সকাল থেকেই সূর্যের তেজে ঝলসে যাওয়ার মত অবস্থা সেখানে। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপর ছিল কদিন। এখনও তা অব্যাহত। ২৩-২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে এই কয়েকটি রাজ্যে। এরই মাঝেই আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা হল বঙ্গে বৃষ্টির সতর্কতা। তবে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবেনা। আর্দ্রতাজনিত অশ্বস্তি বজায় থাকবে। বৃষ্টির দিনগুলিতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, বৃষ্টির দিন ফুরতেই আবারও তাপমাত্রা হুহু করে বাড়বে।
পাকিস্তানিদের খুঁজে খুঁজে তাড়ান

পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হামলা! নিহত একাধিক। ইতিমধ্যেই এই ইস্যু নিয়ে ভারত পাকিস্তান (Pakistan) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বসা হয়েছে বিভিন্ন বৈঠকেও। আর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে দিলেন বার্তা। জানালেন, ‘ভারতে থাকা সমস্ত পাকিস্তানিদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাড়ান’। জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের নৃশংসভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যেই ভারত সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বন্ধ করা হয়েছে সবরকম যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে নির্দেশ দিলেন পাকিস্তানিদের দেশ থেকে তাড়ানোর। ভারতের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, পাশাপাশি সমস্ত পাকিস্তানিদের দেশ ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও ভারত বিরোধী বিভিন্ন সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে।
Tourism sector faces cancellations, economic setback

April 22 terrorist attack in Pahalgam didn’t just end lives, it ended a season of hope. Kashmir, which had finally started rewriting its story from conflict to calm, has once again been dragged back by the same old shadows. The act of terror in Pahalgam has silenced more than just people; it’s silenced an entire economy that was learning to dream again. Tourism is one of the most important sectors in Jammu and Kashmir. According to the state’s Economic Survey, the sector contributes between 7% and 8% to the region’s Gross State Domestic Product (GSDP). With the total GSDP estimated at Rs 2.65 lakh crore, tourism is believed to be worth between Rs 18,500 crore and Rs 21,200 crore annually. The state government had set a target to raise this contribution to 15% in the coming 4–5 years. But the Pahalgam attack has put these plans in danger. The attack came during the start of the tourist season, which runs from April to October. This is the time when businesses related to hotels, transport, handicrafts, and local markets earn most of their income. Over the last few years, Kashmir had seen a steady rise in the number of visitors. Tourist arrivals grew from 34 lakh in 2020 to a record 2.36 crore in 2024. This included 65,000 foreign tourists.
কাশ্মীর গিয়ে কী বললেন রাহুল গান্ধী?

শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আর্মি বেস হাসপাতালে ভর্তি পহেলগাঁওকাণ্ডে (Pahalgam) আহতদের অনেকে । তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। বৈঠক করেছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে। বৈঠক শেষে রাহুল বলেন, ‘‘সমাজকে বিভক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা ঘটানো হয়েছে। সন্ত্রাসবাদকে রুখতে প্রত্যেক ভারতীয়কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একজোট হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাহুল বলেন, জঙ্গিদের উদ্দেশ্য হল সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করা। তাদের এই প্রচেষ্টা আমরা সফল হতে দেব না। তিনি আরও বলেন, ‘আমি এক আহত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছি। মুখ্যমন্ত্রী ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে।’ জম্মু-কাশ্মীরে লেফটেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) মনোজ সিং এবং জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীকে রাহুল আশ্বস্ত করেছেন যে, কংগ্রেস তাঁদের পূর্ণ সমর্থন করবে। রাহুল স্পষ্ট জানান, ‘আমি চাই সবাই জানুক গোটা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশ একজোট হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটা ঘটেছে, তার পিছনে মূল উদ্দেশ্য সমাজকে বিভক্ত করা। কিছু লোক আমাদের কাশ্মীরি ভাইবোনদের আক্রমণ করছে, এটা খুবই দুঃখজনক।’ প্রসঙ্গত ২২ এপ্রিল ভূস্বর্গের বৈসরানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়। প্রাণ হারান ২৬ জন। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে এটিই অন্যতম বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা। পুলুওয়ামার পর দেশে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা। দোটা দেশ ফুঁসছে প্রতিশোধের আগুনে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এই হামলার পেছনে থাকা মাস্টারমাইন্ডদের সমর্থন করেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতেই আজ জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, ‘এটা শুধু কাশ্মীর নয়, পুরো দেশের উপর আঘাত। গোটা ভারত একসঙ্গে আছে, এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’