পাকিস্তানকে কড়া জবাব ভারতের

ওয়েব ডেস্ক: জম্মু এবং কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলার দ্রুত জবাব দেওয়া হবে। নয়াদিল্লির তরফে ইতিমধ্যে সেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দেশবাসীকে। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে জরুরি বৈঠক সারল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি (সিসিএস)। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। তারপরই বড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। কী কী জানালেন তিনি? পাকিস্তানিদের জন্য সমস্ত ‘সার্ক’ ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আগে যে ভিসাগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই ভিসার মাধ্যমে যে পাকিস্তানিরা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন, তাঁদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে। বস্তুত, ‘সার্ক’ সদস্য দেশগুলিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে ১৯৮৮ সালে সদস্য রাষ্ট্রগুলি ‘সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম’ বা এসভিইএস নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছিল। ওই এসভিইএস ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ওয়াঘা-আট্টারি সীমান্তও। ওই সীমান্ত পথে যাঁরা ইতিমধ্য়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ভারত থেকে ফেরার জন্য ১ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। পাশাপাশি নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আধিকারিকদের ‘অবাঞ্ছিত’ হিসাবে ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইসলামবাদেও ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আধিকারিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতে থাকা পাকিস্তানি দূতাবাসের আধিকারিক সংখ্যাও আগামী ১ মে থেকে ৫৫ থেকে ৩০-এ নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে। ভারতও একই পদক্ষেপ করবে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে শনাক্ত ৪ জঙ্গি

মঙ্গলবার দুপুরে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় নির্বিচারে গুলি চালায় জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছয় জন। সকলের মুখে ছিল মাস্ক। হাতে একে ৪৭-এর মতো বন্দুক। আচমকাই পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। এখনও পর্যন্ত পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও কয়েক জন। নিহতদের মধ্যে তিন জনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। আর ঘটনায় ৪ হামলাকারীর (Pahalgam attackers) ছবি প্রকাশ করল নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে চার জনের ছবিও প্রকাশ করে পরিচয় জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চার জঙ্গি হল— আদিল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা! ইতিমধ্যেই পহেলগাঁও হামলায় দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির আবহে জন্ম হয় এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর। পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই তিন জঙ্গিই টিআরএফের সদস্য।
ফের তীব্র ভূমিকম্প ইস্তানবুলে

তীব্র ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল তুর্কির ইস্তানবুল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। এমনই জানিয়েছেন সেদেশের ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনই পাওয়া যায়নি। তবে, শহরে কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিল্ডিং ও অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন বহু মানুষ। প্রাথমিকভাবে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর সামনে না এলেও, সোশাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, আতঙ্কে বহু মানুষ বিল্ডিং ও অফিস থেকে রাস্তায় নেমে এসেছেন। হঠাৎ, এত জোরে বিল্ডিং কেঁপে ওঠায় অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়েও রীতিমতো আতঙ্কিত ছিলেন। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিমি গভীরে সংঘটিত হয়েছে, যার ফলে কম্পনের প্রভাব ছিল প্রবল। এর উপকেন্দ্র ছিল ইস্তানবুল শহর থেকে প্রায় ৪০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মারমারা সাগরের নিচে। তুরস্কের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর নেই এবং বড় ধরনের ক্ষতির কোনও রিপোর্টও মেলেনি। তবে পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে তুরস্ক এমন একটি দেশ যা দুটি বড় টেকটোনিক ফল্ট লাইনের উপর অবস্থিত, যার ফলে এই দেশে প্রায়ই মাঝারি ও বড় মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে। উল্লেখ্য, গত বছর ৬ ফেব্রুয়ারি, তুরস্কে ৭.৮ মাত্রার এক বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়, যার জেরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের ১১টি প্রদেশের হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয় এবং প্রায় ৫৩,০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে। সেইসঙ্গে প্রতিবেশী সিরিয়ার উত্তরাংশেও প্রায় ৬,০০০ মানুষ প্রাণ হারান।
Apple to challenge fine; Meta negotiating with EU on compliance

Apple was fined 500 million euros ($570 million) on Wednesday and Meta 200 million euros, as European Union antitrust regulators handed out the first sanctions under landmark legislation aimed at curbing the power of Big Tech. The EU fines could stoke tensions with US President Donald Trump, who has threatened to levy tariffs against countries that penalise US companies. The sanctions follow a year-long investigation by the European Commission, the EU executive, into whether the companies comply with the Digital Markets Act that seeks to allow smaller rivals into markets dominated by the biggest companies. Apple said it would challenge the EU fine. “Today’s announcements are yet another example of the European Commission unfairly targeting Apple in a series of decisions that are bad for the privacy and security of our users, bad for products, and force us to give away our technology for free,” Apple said in an emailed statement. Meta criticised the EU decision. “The European Commission is attempting to handicap successful American businesses while allowing Chinese and European companies to operate under different standards,” it said in an emailed statement. “This isn’t just about a fine; the Commission forcing us to change our business model, effectively imposing a multi-billion-dollar tariff on Meta while requiring us to offer an inferior service”.