খাবারে বিষক্রিয়া! যোগীরাজ্যে মৃত্যু ৪ শিশু

খাবারে বিষক্রিয়া (Food Poisoning), তার জেরে বেঘোরে প্রাণ হারাল চার শিশু। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখনউয়ের ঘটনা। সেখানে একটি সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্রে (Government Rehabilitation Centre) সন্দেহজনক খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণে চার শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে প্রত্যেকের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে এবং তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছিল বলে খবর। ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) হাসপাতালে পৌঁছে ঘটনার খবরাখবর নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুনর্বাসন কেন্দ্রের অনেক শিশু আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর মোট ২০ শিশুকে লখনউয়ের লোক বন্ধু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে চার শিশুর বেঘোরে মৃত্যু হয়েছে। যদিও চিকিৎসার পর বাকি ১৬ শিশুর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর লখনউ জেলা প্রশাসক বিশাখ জি আইয়ার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে সংগৃহীত খাদ্যের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেন, “মোট চার শিশু মারা গেছে। তাঁদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তাদের ভিসেরা সংরক্ষণ করা হবে।” এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ ও খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি, পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়েও তদন্ত চালানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বিষক্রিয়াকেই শিশুমৃত্যুর কারণ  বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা এখন স্থিতিশীল রয়েছে এবং আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”

মায়ানমারে তীব্র ভূমিকম্প

মধ্য মায়ানমারে তীব্র ভূমিকম্প (Myanmar Earthquake)। ভেঙে পড়ল ব্রিজ, বাড়ি। আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন সবাই। ভূমিকম্পের তীব্রতায় কেঁপে উঠল মণিপুরও। মৃদু কম্পন অনুভূত কলকাতাতেও। টের পাওয়া গিয়েছে দিল্লিতেও। নড়ল পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকা। পিঠোপিঠি দুটি কম্পন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৭ ও পরে আফটারশকের মাত্রা ৬.৪। শুক্রবার দুপুরে ভারতীয় সময় বেলা ১১ টা ৫০ মিনিটে ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূকম্পের কেন্দ্রস্থল মায়ানমারের সেজেইং শহর থেকে ১৬ কিম উত্তর পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। মায়ানমারের কিছু কিছু এলাকায় এই ভূমিকম্পে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ব্যাঙ্ককে সুইমিংপুলের জল উছলে ওঠে। ভূকম্প অনুভূত হল বাংলাদেশ ও চীনেও। চীনের ইউনান প্রদেশে মেট্রো ও রেল পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়। ভেঙে পড়ল মায়ানমারের মান্দালয়ের আইকনিক আভা সেতু। ইরাওয়াদি নদীতে তা ভেঙে পড়ে। বহু বাড়ি ভেঙে পড়ে। রাস্তায় চওড়া ফাটল দেখা যায়।  ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে ব্যাঙ্ককে। যা মধ্য মায়ানমার থেকে ৯০০ কিমি দূরে অবস্থিত। তবে এই ভূমিকম্পে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাণহানির রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাড়ি ভেঙে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ে থাকতে পারেন অনেকে। এক মাসের ব্যবধানে মায়ানমারে বড় ধরনের দুটি ভূমিকম্প হল। এদিন কলকাতাতে সিলিং ফ্যান নড়তে দেখেন অনেকে। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন বহুতলের বাসিন্দারা। রাজধানী দিল্লির আশপাশে এনসিআর এলাকা নয়ডা, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা

কয়েকদিনের স্বস্তি মিললেও, ফের তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা হতে চলেছে বঙ্গবাসীর! কারণ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস আর নেই বঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সপ্তাহান্তে রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির উপর চলে যাবে। এবং কলকাতার তাপমাত্রা হতে পারে প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস! আগামী তিন দিনে রাজ্যের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেই খবর। উল্লেখ্য, মার্চ মাসের প্রথম থেকেই তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা হয় বঙ্গবাসীর। এমনকি রাজ্যের বেশকিছু জেলাতে জারি করা হয়েছিল তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতাও। আর তারপরেই নামে স্বস্তির বৃষ্টি, যা সকলের প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। কমে যায় বেশকিছুটা তাপমাত্রাও। তবে এবার আর মিলবেনা তেমন স্বস্তি কারণ এবার তাপমাত্রা ফের বাড়বে বলেই জানা যাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বজায় থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা  ৩৪.৮ ডিগ্রি। তবে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা যেমন বাড়বে, উত্তরবঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে রয়েছে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, রবিবার ও সোমবার দার্জিলিংয়ের পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।