ফের চড়বে পারদ

ঝড়-বৃষ্টিতে (Rain) তাপমাত্রা কিছুটা নামলেও ধীরে ধীরে বাড়বে গরম (Mercury Rise Again), এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Weather Office)। এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে (Sourth Bengal) বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা নেই, আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে শুক্র ও শনিবার উত্তরবঙ্গের (North Bengal Weather) উপরের দু-তিন জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত কয়েকদিন সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পের (water vapor) প্রবেশ ঘটেছিল বাংলার উপকূলে (Bengal Coast) । সঙ্গে ছিল উত্তর-পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পরোক্ষ প্রভাব। ফলে বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতি আর নেই, ফের ফের চড়বে পারদ ৷ ফিরবে গরম। সোমবার রাজ্যের সব জেলার আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক থাকবে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ আজ দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩১ ডিগ্রি এবং ২৩ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে ৷ আজ বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই ৷ ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়বে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি বাড়বে ৷ আগামিকাল থেকে পরবর্তী তিনদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে, অর্থাৎ ফিরবে গরম।
মঙ্গলে বাণিজ্য সম্মেলন, বৃহস্পতিতে অক্সফোর্ডে ভাষণ

একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে লন্ডনে (London) রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee)। আজ সোমবার হাই কমিশনের (High Commission) সঙ্গে বৈঠক দিয়ে শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রীর একগুচ্ছ কর্মসূচি। মঙ্গলে বাণিজ্য সম্মেলন (Trade conference) । আগামী বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে (Oxford University) ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একটানা কর্মসূচি রয়েছে। তার মধ্যেই নিজের জরুরি বৈঠকের কাজগুলি সেরে ফেলবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে লন্ডন সফরে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের বিশেষ সচিব গৌতম সান্যাল, শিল্প সচিব বন্দনা যাদব, ডাইরেক্টর অফ সিকিওরিটি পীযূষ পাণ্ডে প্রমুখ। পাশাপাশি রয়েছেন WBTC-এর অফিসাররা। এছাড়া আছেন শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরী, মেহুল মোহানকা, উমেশ চৌধুরী, সন্তোষ বাঙ্গার। মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হিথরো বিমানবন্দরে সমস্যার কারণে শনিবার সকালের পরিবর্তে সন্ধ্যায় রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশ সফর বলে জানিয়ে দেন তিনি। যাওয়ার আগে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে একগুচ্ছ বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’ আগামী কয়েকদিনের জন্য আমরা যাচ্ছি। কিন্তু সর্বক্ষণ আমার সঙ্গে সংযোগ থাকবে। বাংলার মা-মাটি-মানুষকে বলব, আপনারা শান্তিতে থাকবেন।” রবিবার লন্ডন পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রী চলে যান বাকিংহ্যাম প্যালেসের কাছে সেন্ট জেমস কোর্ট হোটেল। আগামী কয়েকদিন এটাই মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানা। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী হয়েই এসেছিলেন বাকিংহ্যাম প্যালেসের আমন্ত্রণে। পরে আরও একবার ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে ব্লু প্লাগ লাগানোর অনুষ্ঠানে। মাঝে লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স-সহ আরও কিছু সংস্থার আমন্ত্রণ ছিল। এবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়টি সামাজিক উন্নয়ন। বর্তমানে এই সামাজিক উন্নয়নে মমতার মডেল বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিকে রাজ্যে নেই মুখ্যমন্ত্রী, কে সামলাবে দায়িত্ব। তার আগে থেকেই টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছেন তিনি। সেখানে রয়েছেন বিবেক কুমার, অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ডিজি রাজীব কুমার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
‘নাদ’ ফেস্টিভ্যালে চাঁদের হাট

সঙ্গীতের আসর কলকাতায় নতুন নয়। কিন্তু ‘নাদ’ (Naad) এমন এক অভিনব উচ্চমানের মনোজ্ঞ ফিউশন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর যেখানে শ্রোতারা বিরল যুগলবন্দির সুর-তাল-ছন্দে নিজেদের জারিয়ে নিতে পারেন। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। ভারতীয় বিদ্যা ভবন এবং পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষ তবলা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বসন্ত-সন্ধ্যায় বসেছিল ‘নাদ’-এর আসর। গোটা অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ (Pt Bikram Ghosh)। এবারে ২১ থেকে ২৩ মার্চ এই তিনদিন ধরে জি ডি বিড়লা সভাঘরে বসেছিল ‘নাদ’-এর আসর। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তাবড় তাবড় শিল্পীরাই এবারে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ধ্রুপদী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সঙ্গে ছিল ফিউশন। ‘নাদ’-এর প্রথম দিনে ছিল আমন আলি বঙ্গাসের (Aman Ali Bangas) সরোদ, তবলায় অনুব্রত চট্টোপাধ্যায়। কানায় কানায় ভর্তি সভাঘর, আমন আলি শুরু করলেন রাগ ললিতা দিয়ে। এরপর আভরি, হংসধ্বনি, সরস্বতী শোনান। হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা সভাঘর। আমন বলেন, “ছোটবেলা থেকেই কলকাতায় আসছি। তবে বাবার মতো কলকাতার মন জয় করতে পেরেছি কি না জানি না। কলকাতার শ্রোতা সব সময় আমার কাছে স্পেশ্যাল।” এছাড়া ছিল অদিতি মঙ্গলদাসের কত্থক, অজয় পহঙ্কার এবং অভিজিৎ পহঙ্কারের যুগলবন্দি ‘সাউন্ডস্কেপ’, একক হারমোনিয়ামে তন্ময় দেওচকে। এবারের উৎসবে অন্যতম আকর্ষণ ছিল শেষদিনে বিক্রম ঘোষের ব্র্যান্ড নিউ ‘ট্রান্সফর্মশন’। তবলা, মৃদঙ্গম, ভায়োলিন, কিবোর্ডের মিশ্রণে এক অভিনব ফিউশন। উনি শুরু করেন রাগ ‘যোগ’ দিয়ে।’নাদ’ শেষ হয় বিক্রম ঘোষের ফিউশন ঝংকারে। একঝাঁক তরুণ তুর্কিদের নিয়ে স্টেজে উঠেছিলেন তবলা মায়েস্ত্রো বিক্রম ঘোষ।