রঙ খেলার আগে মাথায় রাখুন এইগুলি

দুয়ারে রঙের উৎসব (Festival of Colors) হোলি (Holi)! দেশজুড়ে (India) উৎসবের উত্তেজনা চরমে। জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে উদযাপনের। হোলি হিন্দু ধর্মেও (Hindu Festival) একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দেশজুড়ে পালিত হয় দোল বা হোলি। এবছর এই উৎসব পালিত হবে ১৪ মার্চ। উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠার আগে জেনে নিন সুস্থ থাকার টিপস। হোলি মানেই জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া। তবে উৎসবের ব্যস্ততায় প্রায়ই শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন অনেকে। ভাজাভুজি, মিষ্টি খেয়ে শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান, তাহলে ওয়ার্কআউট বন্ধ করা যাবে না। ব্যস্ততার মধ্যেও অন্তত ২০ মিনিট নিজের ফিটনেসের জন্য সময় বের করুন। এতে উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ হবে। মার্চ মাসে পালিত হয় এই উৎসব। এই সময় আবহাওয়াতেও পরিবর্তন আসে। শীত বিদায় নিয়ে, গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসে গরম। এই সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ান জল খাওয়ার পরিমাণ। এছাড়া, ডাবের জল আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। অনেক সময় উৎসবের আনন্দে আমরা খাওয়া-দাওয়া ভুলে যাওয়া হয়, যা পরে শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। উৎসবের সময় সুস্থ থাকতে বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। বাইরে থেকে মিষ্টি বা স্ন্যাক না কিনে, বাড়িতেই নানারকম স্ন্যাকস তৈরি করুন। এতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হবে এবং খাবারের মান নিয়ে চিন্তাও করতে হবে না। পেট এবং মন দুইই খুশি থাকবে। দোলের সময় ভারী খাবার কম খান। বেশি খেয়ে ফেললে হালকা খাবার খান, যেমন ভেজ স্যুপ , ফ্রুট স্যালাড বা পাতলা ডাল । হজম শক্তি ঠিক রাখতে দই বা ছানা খেতে পারেন। রঙের উৎসব বলে অনেক সময় রঙিন হাতে খাবার খাওয়া হয়, যা থেকে খাবারে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই খাবার খাওয়ার আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন ।

আজ কোন কোন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?

বসন্তের মাঝামাঝি। তারই মধ্যেই রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা। সকাল হতেই শুরু হচ্ছে ঘাম ঝরা। আবার রাতের দিকে হালকা শীতের আমেজও অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু রোদের দাপট এতই যে শীত কোনও ভাবেই অনুভব করতে পারছেন না কেউ। আর এরই মাঝে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তাপপ্রবাহের সর্তকতা! দোলের পর থেকেই রাজ্যে শুরু হবে তাপপ্রবাহ। ১৬ মার্চ রাজ্যে রয়েছে তাপপ্রবাহের সর্তকতা। দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে – পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফরের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে হলুদ সর্তকতা। তবে দোলের সময় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গে চলবে বৃষ্টি। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা শুক্রবার পর্যন্ত। শনিবারও সেই বৃষ্টির দাপট বজায় থাকবে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। তারপরেই সেখানে দেখা মিলবে শুষ্ক আবহাওয়ার। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে এখন কোনও ভাবেই নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুষ্ক আবহাওয়াই বজায় থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫. ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী পাঁচ দিনে রাজ্যের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা।

রোহিঙ্গা শিবিরে যাবেন আন্তোনিও গুতেরেস

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্থাল ঢাকা (Dhaka)। মহম্মদ ইউনুস (Md Yunus) সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতায় রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজারে-হাজারে জনতা। বিক্ষোভ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তারই মধ্যে চার দিনের বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরে আসছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জানা গিয়েছে, কক্সবাজার যাবেন তিনি। তারপরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন গুতেরেস। সঙ্গে থাকবেন মহম্মদ ইউনুস। বুধবার ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৫ অগাস্ট বিক্ষোভের জেরে শেখ হাসিনা ভারতে চলে আসার পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক মঞ্চের কোনও শীর্ষ কর্তা বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তিনি সুশীল সমাজের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বাড়ছে। হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেকেই বলছেন, জামায়াতে ইসলামির মতো কট্টরপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচিত হাসিনা সরকারের পতনের পরে পরবর্তী সরকার নির্বাচনে ভোট কবে হবে সেই বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। এই প্রেক্ষিতে গুতেরেস কোনও বার্তা দেয় কি না সেটাই দেখার। মায়ানমারে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে রোহিঙ্গারা অনেকেই দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশ চলে আসেন। অনেকে বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতেও প্রবেশ করেছেন। বাংলাদেশ বড় সংখ্যায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের সফরে রোহিঙ্গা সমস্যা বিশ্বের আলোচনায় আসতে পারে। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। ২০১৭ সালে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবিক সংকটের জেরে লাখে লাখে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। একটি হিসেব অনুযায়ী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছেন। অভিযোগ, একটি বড় অংশের রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গেও আশ্রয় নিয়েছেন।