বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস ছয় জেলায়

আর দুই দিন বাদেই বাঙালির প্রিয় বসন্ত উৎসব, দোল পূর্ণিমা (Dol Purnima) । আবিরে আবিরে আকাশ বাতাস রাঙিয়ে উঠবে। কিন্তু দোলের পরের থেকেই বাড়বে তাপমাত্রা, এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Alipur Weather Office)। দোলের দিন সকাল ও রাতের দিকে হালকা শীতের আমেজ (Winter mood) থাকবে। কিন্তু দোলের পর থেকেই পরিবর্তন হবে আবহাওয়ার। তাপমাত্রা (Temperature) ক্রমশই বাড়তে থাকবে। একধাক্কায় চড়বে পারদ। তবে দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে (South Bengal) আপাতত কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Alert) নেই। শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া কোথাও বৃষ্টি হবে না। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩২-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। তবে আপাতত কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তবে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রার হেরফের হবে। শীতের আমেজ কমবে। সেইসঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর। তবে আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার ও বৃহস্পতিবার।
দূষণের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি

প্রকাশ করা হল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকা। আর সেখানেই উঠে এল ভারতের নাম। জানা যাচ্ছে, বিশ্বের সবথেকে দূষিত ২০টি শহরের নামের যেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে ১৩টি ভারতের শহরের নাম। মঙ্গলবার দূষণ সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা প্রকাশ করা হয় যেখানে এই ভয়াবহ চিত্র এল সামনে। আবারও দিল্লি সেই তালিকার শীর্ষে উঠে এল বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লি পেল বিশ্বের সবথেকে বায়ু-দূষিত রাজধানীর তকমা। আর এই নিয়ে পরপর ৬ বছর দূষণের শীর্ষ স্থানে উঠে এল দিল্লির নাম। রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের সবথেকে বায়ু-দূষিত ২০ শহরের তালিকায় ১৩টি শহর ভারতের, ৪টি পাকিস্তানের, ১ টি চিন এবং ১ টি কাজাখস্তানে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে সবথেকে দূষিত ২০টি শহরের ১৯টি এশিয়া মহাদেশে। ২০২৪ এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, কেবল বায়ুদূষণের কারণে ভারতবাসীর গড় আয়ু ৫ বছর কমে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সবথেকে বায়ু দূষণে ভারাক্রান্ত দেশের মধ্যে ভারত ছিল তৃতীয় স্থানে,আর এবার তা একটু পিছিয়ে হয়েছে পঞ্চম। ২০২৪ এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, কেবল বায়ুদূষণের কারণে ভারতবাসীর গড় আয়ু ৫ বছর কমে যাচ্ছে।
এবার এসি লোকাল চলবে শিয়ালদহে!

পূর্ব ভারতে প্রথমবার! এসি লোকাল ট্রেন (Local Train) চালু হতে চলেছে শিয়ালদহে (Sealdah)। গোটা দেশের দ্বিতীয় এসি লোকাল এটি। শিয়ালদহ ডিভিশনে (Sealdah Division) ১২ কোচের এই এসি ট্রেন মাস কয়েকের মধ্যেই যাত্রীদের নিয়ে ছুটতে শুরু করবে রাজ্যে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, চলতি সপ্তাহেই চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে (আইসিএফ) তৈরি এসি রেকটি শহরে ঢুকে যাবে। আসন্ন গরমে চরম দাবদাহের কথা মাথায় রেখে যাত্রীদের সুবিধার জন্য আসছে এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লোকাল। সূত্রের খবর, বর্তমানে সাধারণ ট্রেন যাত্রী যে ৫ টাকার টিকিট কাটেন, এসি কামড়ায় তা বেড়ে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা হতে পারে। যদিও কোন রুটে এই ট্রেন চলবে তা চূড়ান্ত হয়নি। এ প্রসঙ্গে শিয়ালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) দীপক নিগম বলেন, এসি লোকালের বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। রেল বোর্ড ও হেড কোয়ার্টারের চূড়ান্ত অনুমোদনের পরই তা স্থির হবে। প্রসঙ্গত, মহানগরীর পাতাল পথে ভারতবর্ষের পয়লা মেট্রো রেল পরিষেবা শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে কলকাতা মেট্রোয় নন-এসি যুগের অবসান ঘটেছে। এই মুহূর্তে, শহরের চালু পাঁচটি মেট্রো রুটে ১০০ শতাংশ এসি পরিষেবা পান যাত্রীরা। ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর থেকে নর্থ-সাউথ মেট্রো রুটে প্রথম এসি মেট্রো চালু হয়েছিল। তারও প্রায় ১৫ বছর পর লোকাল ট্রেন লাইনে এসি পরিষেবার অন্তর্ভূক্তি ঘটতে চলেছে। দেশের অন্যতম ব্যস্ত শিয়ালদহ ডিভিশনে পরীক্ষামূলকভাবে তা চালু হতে চলেছে। যাত্রীদের তরফে ইতিবাচক সাড়া মিললে লোকাল ট্রেনে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার পরিধি বাড়ানো হবে বলে রেল সূত্রের দাবি। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার অন্তর্গত কবি সুভাষ কিংবা খোদ শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে মেট্রোয় যাতায়াত করেন হাজার হাজার যাত্রী। সেক্ষেত্রে গরমকালে মেট্রোর স্বস্তিদায়ক সফরের স্বাদ এবার লোকাল ট্রেনে পাওয়ার সম্ভবনা। জানা গিয়েছে, স্টিল বডির যাত্রীবান্ধব এই এসি ট্রেনে সর্বোচ্চ প্রায় ১ হাজার ১০০ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। অন্যান্য লোকাল এই ট্রেনের মতো কোচগুলি আলাদা হবে না। ভেস্টিবিউলের মাধ্যমে কোচগুলি সংযুক্ত থাকবে। এই ব্যবস্থা মেট্রোতেও দেখা যায়। যাত্রীদের জন্য থাকছে আরামদায়ক বসার আসন, ব্যাগপত্তর রাখার জন্য অ্যালুমিনিয়ামের রেক। থাকবে মেট্রোর মতোই স্ল্যাইডিং ডোর। স্টেশনগুলিতে সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য তা খুলে যাবে। যাত্রী তুলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ ট্রেনের বাইরে নির্দিষ্ট রুটে এসি লোকালের জন্য নয়া সময়সূচি তৈরি হবে। অর্থাৎ, বর্তমানে ট্রেনের সময়সরণীতে বিঘ্ন না ঘটিয়ে, এসি পরিষেবা চালু হবে। সময়সূচি, ভাড়া ও যাত্রাপথ নির্ধারনে এখনও বেশ কিছুটা সময় লাগবে, খবর পূর্বরেল সূত্রে।