কবে পালিত হবে দোলপূর্ণিমা?

আর কিছুদিন পরেই দোল পূর্ণিমা (Dol Purnima)। রঙের উৎসবে (Festival of Colors) মেতে উঠবে গোটা দেশ (India)। দেশজুড়ে ছোট-বড় সকলেই একে অপরকে আবির । এ সময় ভারতের প্রায় প্রতিটি কোণায় দোল এবং হোলি (Holi 2025) উৎসব পালন করা হয়। তবে এ বছর দোল পূর্ণিমা কবে, তা নিয়ে বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। হিন্দু ধর্ম মতে (Hinduism), দোল পূর্ণিমা শুধু রঙের উৎসব নয়, এটি শ্রীকৃষ্ণ (Lord Krishna) এবং রাধার (Radha) ঐশ্বরিক প্রেমলীলার উদযাপনও বটে। বিশেষ করে বৃন্দাবনে কৃষ্ণ-রাধার রঙের খেলা নিয়ে অনেক পৌরাণিক গল্প শোনা যায়। মা যশোদার পরামর্শে কৃষ্ণ রাধার গায়ে রং লাগিয়ে রঙের খেলায় মেতে উঠেছিলেন। সেই থেকেই দোল পূর্ণিমার শুরু। এই উৎসবের আরও একটি দিক হোলিকা দহন। দানব রাজা হিরণ্যকশ্যপে বোন হোলিকা প্রহ্লাদকে আগুনে নিয়ে বসেছিলেন। ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদে প্রহ্লাদ বেঁচে যান, আর হোলিকা পুড়ে যায়। এই ঘটনাকেই স্মরণ করে হোলিকা দহনের আয়োজন করা হয়, যা হোলি উৎসবের প্রথম দিনের অংশ। এবছর দোল পূর্ণিমার তিথি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন ১৩ মার্চ, কেউ বলছেন ১৪ মার্চ। পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১৩ মার্চ সকাল ১০.৩৫ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৪ মার্চ দুপুর ১২.২৩ মিনিটে । মূলত, ১৪ মার্চই পালিত হবে রঙের খেলা। এর আগে ১৩ মার্চ হবে হোলিকা দহন। তাই এ বছর দোল পূর্ণিমার দিন ঠিক ১৪ মার্চেই, যেদিন সকলেই রঙের উৎসবে মেতে উঠবেন। দোল পূর্ণিমার দিন সবাই মিষ্টি , ঠাণ্ডাই খেয়ে, পিচকারি দিয়ে রঙ খেলে, গান-বাজনা আর নাচে মেতে উঠবেন। এই উৎসব একতার বার্তা দেয়, সমাজের সকল স্তরের মানুষ একসঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন।

দক্ষিণবঙ্গে ঠান্ডার আমেজ বেশিদিনে নয়

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) ব্যাটিং দেখেছেন তো? যেন সেই রকমই ‘ব্যাটিং’ করছে শীত। ফাল্গুন মাস চলছে, বসন্তের (Spring) এই ভরা বাজারে হঠাৎই শীত শীত ভাব দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। এই কিছুদিন আগেই ফ্যান চালাতে হচ্ছিল, এসি-র শরণাপন্ন কবে হতে হবে আলোচনা চলছিল তা নিয়ে। এখন রাতে ফ্যান চালাতে হচ্ছে না, গায়ে উঠছে চাদর। হার্দিকের ইনিংস যেমন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, দক্ষিণবঙ্গে ঠান্ডার আমেজও বেশিদিনের নয়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শীতবিলাসীদের সুখ আর বড়জোর ৪৮ ঘণ্টা। তারপরেই চড়তে শুরু করবে তাপমাত্রার পারদ। অর্থাৎ এই ‘উইকেন্ড’ একটু আরাম করে নিতে পারে বাঙালি। দক্ষিণবঙ্গের যা আবহাওয়া, কলকাতা (Kolkata) শহরের অবস্থা সেরকমই। বেলা বাড়লে গরম অনুভূত হচ্ছে, ঘাম হচ্ছে কিন্তু সূর্য ডুবতেই ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। সন্ধে থেকে রাতভোর হয়ে সাতসকাল পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে শীতের আমেজ। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ছবি অন্যরকম। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পার্বত্য এলাকায় হতে পারে তুষারপাতও যা পর্যটকদের আনন্দ দিতে পারে। উত্তরবঙ্গের এই আবহাওয়া আপাতত কিছুদিন স্থায়ী হবে।