‘দানিশ সিদ্দিকী সাংবাদিকতা পুরস্কার’ ঘোষণা

দানিশ সিদ্দিকী (Danish Siddiqui) । ২০২১ সালের ১৬ জুলাই আফগানিস্তানে আফগান সেনা ও তালিবানদের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে নিহত হন এই তরুণ চিত্র সাংবাদিক (Photo Journalist)। তিনি কান্দাহারের (Kandahar) বলদাক অঞ্চলে আফগান (Afghanistan) নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছিলেন। এর আগে ২০১৮ সালে মায়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপর হওয়া অত্যাচারের ছবি তুলে ধরে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন দানিশ সিদ্দিকী। এবার সেই জনপ্রিয় সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকীর প্রতি সম্মান জানিয়ে ‘দানিশ সিদ্দিকী জার্নালিসম ফাউন্ডেশন’ (Danish Siddiqui Foundation) পুরস্কার ঘোষণা করা হল। এই পুরস্কারের নাম ‘দানিশ সিদ্দিকী সাংবাদিকতা পুরস্কার’। সাহসিকতার জন্য ভারতে কর্মরত সমস্ত ভারতীয় ও বিদেশি সাংবাদিকরা এই পুরস্কার পেতে পারেন। জুরিতে রয়েছেন রাজদীপ সরদেশাই ( Rajdeep Sardesai), বৈষ্ণ রায় (Vaishna Roy), কিশলয় ভট্টাচার্য (Kishalay Bhattacharjee), গ্যাব্রিয়েল ফনসেকা (Gabrielle Fonseca)। দানিশ সিদ্দিকী ফাউন্ডেশন সাংবাদিকতায় নির্ভীক সাহসীকতা, সততা, সহানুভূতি এবং সত্যবাদিতা প্রদর্শনকারী সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার জন্য প্রথম এই পুরস্কারের ঘোষণা করেছে। এই পুরস্কারের লক্ষ্য প্রিন্ট মিডিয়া, চিত্র সাংবাদিকতা, ডিজিটাল ও সম্প্রচার মিডিয়াতে তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার প্রশংসা করা। দুইবার পুলিৎজার প্রাপ্ত সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকী তাঁর নির্ভীক সাংবাদিকতার জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। সাহসিকতা ও নির্ভীকভাবে কাজের জন্য ভারতের কর্মরত সমস্ত ভারতীয় ও বিদেশ সাংবাদিকরা এই পুরস্কার পেতে পারেন। ১ জানুয়ারি ২০২৪ এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ এর মধ্যে করা কাজের উপর ভিত্তি করে এই পুরস্কার নির্ধারণ করা হবে। মনোনয়ন ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। পুরষ্কার অনুষ্ঠানটি চলতি বছরের ৪ মে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফাউন্ডেশন বোর্ডের সদস্য আখতার সিদ্দিকী জানিয়েছেন, সাংবাদিকতা এই পেশাকে সম্মান জানানোর জন্য এই পুরস্কারে আয়োজন।
বিজেপির আয়ু আর ২-৩ বছর

নজরে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election)। তার আগে নেতাজি ইন্ডোরের সভা (Netaji Indore Stadium) থেকে ছত্রে ছত্রে বিজেপিকে (BJP) বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলাকে বদনাম করতে বারবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠাচ্ছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, এজেন্সির তৎপরতা বাড়বে। সব মিডিয়াকে কন্ট্রোল করে। সবাইকে ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়।’ নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে টার্গেট করা হয় এজেন্সি দিয়ে, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি আরও বলেন, ‘ইলেকশন এলেই মনে পড়ে তৃণমূলের চার্জশিট দিতে হবে। তৃণমূলের কাকে কাকে চোর বলা হবে। কাকে কাকে জেলে ঢোকানো হবে।’ এদিন বিধানসভা ভোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বিধানসভা ভোটে ২১৫টি আসন পেতেই হবে। অভিষেক ঠিক বলেছে। আরও বেশি আসন পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কম কোনও মতেই নয়। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম-এর জামানত জব্দ হওয়ার পালা এবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০২৭ থেকে ২৯ সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ। ওরা আর দু’তিন বছর যা করার করবে। তার বেশি আয়ু ওদের নেই। ওরা বাংলাকে টার্গেট করেছে, কারণ বাংলা লড়তে পারে, বাংলা সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করে।’ উল্লেখ্য, এদিন সভা থেকে বক্তব্য পেশের সময় বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বিজেপি এখনও গরির মানুষের টাকা বন্ধ রেখেছে। অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি ১৮ থেকে ১২-তে নেমে গেলেও শিক্ষা হয়নি।’ তবে কি ছাব্বিশের ভোটে নিজেদের রেকর্ড ভাঙাই লক্ষ্য? অভিষেক স্পষ্ট বলে দেন, গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও বেশি আসন জয় ২০২৬-এর লক্ষ্য। তৃণমূলের টার্গেট ২১৫টির বেশি।
আলু চাষিদের স্বার্থ সুরক্ষায় নতুন স্কিম

আলু চাষিদের (Potato Farmers) স্বার্থ সুরক্ষায় তৈরি হল আলু প্রকিওরমেন্ট স্কিম ২০২৫ (Potato Procurement Scheme 2025)। এই স্কিমে রাজ্য সরকার (State Government) প্রত্যেক আলু চাষির কাছ থেকে ৩৫ কুইন্টাল অর্থাৎ ৭০ বস্তার বেশি আলু কিনবে না। প্রতিটি আলুর ওজন হতে হবে ৫৩ গ্রাম। সহায়ক মূল্যে আলু কেনার সময় হিমঘর মালিকরা আলুর গুণগত মান দেখে নেবেন। হিমঘর মালিকরা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে চাষিদের আলুর দাম মিটিয়ে দেবেন। হিমঘর গুলিতে ৮১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত আলু মজুত ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্য সরকার ১১ লক্ষ মেট্রিক টন আলু সংগ্রহ করে হিমঘরে রাখবে। এই স্কিমে রাজ্য সরকার হিমঘরে ৩০ শতাংশ নিজেদের ও চাষিদের জন্য সংরক্ষিত করে রেখেছে। হিমঘরের মালিকরাও ৭ জুনের পর থেকে সপ্তাহে মোট মজুত থাকা আলুর পাঁচ শতাংশ বিক্রির জন্য বের করতে পারবেন। রাজ্য সরকারের মতে প্রাথমিক হিসাব বলছে, আলুর উৎপাদন এ বছর ১৪০ লক্ষ মেট্রিক টন। ১২টি জেলায় এই উৎপাদন হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) প্রতি কুইন্টাল পিছু ন্যূনতম ৯০০ টাকা আলু চাষিদের থেকে আলু কেনার দাম ঘোষণা করেছেন। ১লা মার্চ থেকে কার্যকর হবে এই স্কিম। তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার।