বোল্ড লুকে শুভশ্রী

নিজের স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্য সবসময় খবরের শিরোনামে থাকেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী। কখনও ধরা দেন বোল্ড লুকে, আবার কখনও একেবারে সাবেকি আনায়। আর এবার একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করলেন অভিনেত্রী নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে। যেখানে তিনি ঘিয়ে কালারের সাটিন শাড়ি পরেছেন, সঙ্গে পেয়ার করেছেন গ্রীন কালারের নেকলেস। দেখুন তাঁর সেই বোল্ড লুক…..   View this post on Instagram   A post shared by Subhashree Ganguly (@subhashreeganguly_real) ঘিয়ে রঙের সিল্কের শাড়ি পরে এবার নিজেকে মেলে ধরলেন শুভশ্রী গাঙ্গুলী। সঙ্গে ম্যাচিং নেকলেস। স্লিভলেস ব্লাউজ, এবং খোলা চুলে, শুভশ্রীকে লাগছিল মোহময়ী। বোল্ড লুকেও নিজের আভিজাত্য ধরে রাখতে সক্ষম হন অভিনেত্রী। নিজেকে ভালোবেসে ছবির ক্যাপসানে হিন্দিতে লেখেন ‘ মুঝকো ‘ অর্থাৎ নিজেকে । সঙ্গে অমিত ত্রিবেদীর গান ‘ বিক্ষারনেকা মুঝকো সক হ্যে বারা ‘ গানটি নিজের ছবির পিছনে দেন।

রাজ্যজুড়ে ঝেঁপে বৃষ্টির পূর্বাভাস

বসন্তের শুরুতেই বর্ষার আবহ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Forecast)। মঙ্গলবার থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে, যা চলবে রবিবার পর্যন্ত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা (Rain Forecast) রয়েছে। শুধু বৃষ্টি নয়, বজ্রপাতেরও আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিকে কলকাতায় (Kolkata Weather) বৃহস্পতি ও শুক্রবার বৃষ্টির দাপট বেশি থাকতে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দিনের বেলায় আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। তবে বিকেল থেকে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হতে পারে। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গের (North Bengal Weather) পাহাড়ি এলাকাগুলিতেও আবহাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং ও সিকিমে তুষারপাত হতে পারে। এদিকে সুন্দরবন এলাকায় সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা রয়েছে এবং হালকা বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কেটে যাওয়া এবং বঙ্গোপসাগরে জলীয় বাষ্প সঞ্চারের ফলে রাজ্যে এই বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পাঁচ দিন ধরে বৃষ্টি চলবে। এর ফলে শীত প্রায় বিদায় নিয়েছে। রাজ্যের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ইতিমধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অসময়ের বৃষ্টি কৃষকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক জায়গায় আলু তোলার কাজ চলছে। বৃষ্টির কারণে চাষের কাজে বাধা পড়তে পারে। পাশাপাশি, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে, যা ফসলের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। ফলে এই হাওয়া বদল নিয়ে কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত

অবশেষে জল্পনার অবসান। রেখা গুপ্ত (Rekha Gupta) হচ্ছেন দিল্লির (Delhi) পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী (CM)। পরবেশ ভার্মা (Parvesh Verma) হচ্ছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী (Deputy CM)। বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য কার্যালয়ে পরিষদীয় দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে বিধায়করা রেখা গুপ্তকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন। ফলে এই নিয়ে দিল্লি চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানার মতো দিল্লিতেও নতুন মুখকে সামনে নিয়ে এল বিজেপি। তিনি প্রথমবারের বিধায়ক। ৫০ বছরের রেখা শালিমারবাগ কেন্দ্রের বিধায়ক। তিনি আপের বন্দনা কুমারীকে ২৯ হাজার ৫৯৫ ভোটে পরাজিত করেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসেন রেখা। দিল্লি ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমের মেয়রও ছিলেন। উত্তর পীতমপুরায় ২০০৭ সালে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বর্তমানে বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন। পরবর্তী উপ মুখ্যমন্ত্রী পরবেশ ভার্মা নয়াদিল্লি আসনে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যেসব নাম নিয়ে চর্চা হচ্ছিল তার মধ্যে এগিয়ে ছিলেন পরবেশ। যদিও শেষমেষ রেখাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ২৭ বছর পর এবার দিল্লির ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করলেও এতদিন খাস  রাজধানীদখল করতে পারেনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল।  সুষমা স্বরাজের পর ফের বিজেপির মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছেন দিল্লিবাসী। এবারের ভোটেও অন্যতম ইস্যু ছিল সরাসরি আর্থিক সহায়তা সহ মহিলাদের উন্নয়ন।  বৃহস্পতিবার রামলীলা ময়দানে শপথ অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেলিব্রিটিদের উপস্থিতিতে মেগা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এতদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপি। এমনকী এদিন বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকও পিছিয়ে যায়। ফলে মহারাষ্ট্রের মতো মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রকাশ্যে না আনতে পারায় বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৪৮ আসন পায় ভারতীয় জনতা পার্টি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ পার্টির সরকারের পতন ঘটে। আপ পায় ২২টি আসন।