ফেব্রুয়ারিতেই ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ

আবহাওয়ার (Weather) খামখেয়ালিপনায়, নাভিশ্বাস উঠেছে রাজ্যবাসীর। কোনওসময় গরম (Temperatute), আবার দুদিন পরেই ঠান্ডা। ফলে সকালে রাস্তায় সোয়েটার শাল নিয়ে বের হলেও গলদঘর্ম হতে হচ্ছে মানুষকে। তবে শীত (Cold Wave) এবার পাকাপাকিভাবে বিদায় নিয়েছে বলেই জানাল আবহাওয়া দফতর (Alipur Weather Office)। ফেব্রুয়ারিতেই ক্রমশ তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। আগামী কয়েক দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে গরম। তবে নতুন সপ্তাহের মাঝামাঝি ফের দুই বঙ্গেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৮ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৫ ডিগ্রি। হাওয়া অফিস বলছে, সোম ও মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে পরিষ্কার আকাশ। তাপমাত্রা আরও দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। মঙ্গলবারের পর আংশিক মেঘলা আকাশ। বুধবার থেকে বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা রয়েছে জেলায় জেলায়। শুক্রবার পর্যন্ত এই রকম আবহাওয়া চলবে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা বাড়তে পারে। বুধবার কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমানে বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি সম্ভাবনা রযেছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে। কলকাতা এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি হবে শুক্রবার। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাত হতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং ও সংলগ্ন পার্বত্য এলাকায় কুয়াশার আধিক্য চলবে। সোম এবং মঙ্গলবার পরিষ্কার আকাশ। পরে আবার মেঘলা। বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে দার্জিলিং এবং কালিম্পং দুই পার্বত্য জেলায়। হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই কুয়াশার সম্ভাবনা। ঘন কুয়াশার দাপট থাকতে পারে দার্জিলিংয়ের কিছু অংশে। ২০০ মিটার বা তার নিচে নামতে পারে। তবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতে। জলপাইগুড়ি কালিম্পং কোচবিহার আলিপুরদুয়ার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা তে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা খুব সকালে।
ইংল্যান্ডকে পর্যুদস্ত করে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে পর্যুদস্ত করে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া (India Cricket Team)। ফর্মে ফিরেছেন রোহিত, বিরাট, শুভমন, শ্রেয়সরা। বুমরাকে না পেলেও ব্যাটারদের ভরসায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) নীল-নকশা তৈরি করছেন গুরু গম্ভীর (Gautam Gambhir)। এর মাঝেই দুবাই (Dubai) পাড়ি দিল ভারতীয় দল। শনিবার দুপুরে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। আসন্ন এই প্রতিযোগিতায় ভারত গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে টিম ইন্ডিয়া। তাই মরু দেশের পিচের চরিত্র বুঝে নিতে আগেভাগে দুবাই গেল ভারতীয় দল। শনিবার দুপুরে মুম্বই বিমানবন্দরে ভারতীয় দলকে দেখা যায় স্বতঃস্ফূর্ত মেজাজে। দলের সদস্যরা একে একে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। সবার আগে ঢোকেন প্রধান কোচ গম্ভীর। পরে ঢোকেন ওয়াশিংটন সুন্দর, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার, বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ শামি, অক্ষর পটেল, হর্ষিত রানা, ঋষভ পন্থ, কুলদীপ যাদব ও অর্শদীপ সিং। দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা সবার শেষে প্রবেশ করেন বিমানবন্দরে। দলের সঙ্গে রয়েছেন সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ, বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল, বিশ্লেষক রায়ান টেন দুশখাতে এবং ব্যাটিং পরামর্শদাতা সীতাংশু কোটাক। সকলকেই বিমানবন্দরে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা যায়। সমর্থকদের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুলতে এবং অটোগ্রাফ দিতে দেখা যায় বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও রোহিত শর্মাকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সদ্য পাওয়া সাফল্য যেন বাড়তি আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে দলকে। পাকিস্তানের মাটিতে আয়োজিত হলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত গ্রুপ পর্যায়ের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে তারা। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে রোহিত বাহিনী। ২ মার্চ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।
গান স্যালুটে শেষ বিদায় প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে

আজ বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে (Eminent Musician Pratul Mukhopadhyay) গান স্যালুটে শেষ বিদায় জানানো হল। রবীন্দ্র সদনে গান স্যালুট (Gun Salute) দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee) । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বিদায় সাময়িক, শিল্পী আমাদের মাঝে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আজ সকালেই জীবনাবসান হয় এই প্রখ্যাত শিল্পীর। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। শনিবার সকাল ১০টায় থেমে যায় শিল্পীর হৃদয়ের স্পন্দন। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পীর স্মৃতিচারণায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খবর শোনার পর আসতে বাধ্য হয়েছি, না এসে উপায় ছিল না। যেদিন থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি, আমি খবর নিয়েছি। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছিল। খবরটা পাওয়ার পর থেকেই খুব কষ্ট হয়েছে। নিজেকে সামলাতে পারিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তাঁকে সাময়িক বিদায় জানালেন তাঁরা। কারণ সঙ্গীতশিল্পী আজীবন সকলের মনে থেকে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, খুব অসুস্থ ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। শুক্রবার মধ্যরাতে তাঁর প্রেসার হঠাৎ অনেক কমে যায়। শনিবার সকালেই সেই খারাপ খবরটাই আসে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমন মানুষ আর আসবেন কিনা পৃথিবীতে আমি জানি না। তাঁর গান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’