চ্যাম্পিয়ন হতেই যাচ্ছে বাংলাদেশ: শান্ত

আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। আট দলের এই টুর্নামেন্ট কোনও দলকেই খাটো করে দেখা উচিত নয়। যে কেউ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। বাংলাদেশের (Bangladesh) অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও (Nazmul Hossain Shanto) মনে করছেন, তাঁরা কারও থেকে কোনও অংশে কম নন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী শোনাল তাঁকে। সাংবাদিক বৈঠকে টাইগারদের অধিনায়ক বললেন, “আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাচ্ছি চ্যাম্পিয়ন হতে। এই টুর্নামেন্টে আটটি দলই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্য। প্রত্যেক দলেরই কোয়ালিটি রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের দলের ক্ষমতা রয়েছে। অতিরিক্ত চাপ কেউই অনুভব করবে না। প্রত্যেকে সত্যিই চ্যাম্পিয়ন হতে চায় এবং তাদের দক্ষতার উপর বিশ্বাস করে। আল্লাহ আমাদের জন্য কী লিখে রেখেছেন জানি না। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি, আমাদের সেরাটা দিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।” শান্ত আরও বলেন, “আমি দলের ১৫ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে খুশি। যেই খেলুক, একার হাতে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখে। খুব বেশিদিন হবে না, আমাদের কাছে ভালো মানের পেসার ছিল না, কিন্তু এখন আমাদের পেস ইউনিট শক্তিশালী। আমাদের রিস্ট স্পিনার ছিল না, এখন আছে। সবমিলিয়ে দলে ভারসাম্য আছে। যদি প্রত্যেকে তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে, আমরা যে কোনও দলকে যে কোনও সময় হারিয়ে দিতে পারি।” প্রসঙ্গত, ২০ ফেব্রুয়ারি শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি তারা। গ্রুপের শেষ ম্যাচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৭ তারিখ। গ্রুপের সেরা দুই দল সেমিফাইনালে উঠবে। ফলে সব ম্যাচই প্রায় মরণ-বাঁচন।

অভিষেকের আইনি চিঠি মেটা প্ল্যাটফর্মকে

মেটার বিরুদ্ধে এবার সরব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন? তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, বেআইনিভাবে তাঁর ফেসবুকের বায়ো বদলের অভিযোগ তুলেছেন অভিষেক মেটার বিরুদ্ধে। আর যার জেরে এবার মেটা প্ল্যাটফর্মকে আইনি চিঠি দিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কীভাবে তাঁর অনুমতি ছাড়া ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মেটা সেই অ্যাকাউন্টের বায়ো বদল করতে পারে এই অভিযোগ তুলে এবার সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ে অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তাঁর বায়ো বদল করা হয়েছে। যেই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিজের জনসংযোগ জারি রাখেন। শুধুতাই নয়, পেজটি যথেষ্ট একটিভ, আর যার ফলোয়ার সংখ্যাও বহু। সেই ফেসবুক পেজের বায়ো যেখানে তাঁর এবং তাঁর দল সমন্ধে লেখা ছিল সেই বায়ো উধাও! বায়োতে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল তিনি ‘ অল ইন্দিয়া তৃণমূল কংগ্রেস’ এর কর্মী। কিন্তু সকাল থেকেই দেখা যায় সেই ‘ অল ইন্দিয়া তৃণমূল কংগ্রেস’ লেখাটা আর নেই, তা উধাও। আর যা নিয়েই সরব হন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মেটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন তিনি, এবং তাদের আইনি চিঠি পাঠান।

পাঁচ বছরে আমেরিকা ভারতের দ্বিগুণ বাণিজ্য

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বন্ধুত্বের কথা সবাই জানেন। এমন হয়েছিল যে প্রোটোকল ভেঙে মোদি ট্রাম্পের জন্য ভোটও চেয়েছিলেন। এবার তা আরও গাঢ় হতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ হতে চলেছে। যা ৫০০ বিলিয়ন ডলার হবে। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে শুক্রবার এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আমেরিকার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ছিল ১২৯ বিলিয়ন ডলারের। পুরনো বন্ধু রাশিয়া থেকে সরে গিয়ে তবে কি ভারত আমেরিকার দিকে আরও বেশি ঝুঁকতে চলেছে? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরও পশ্চিমী বিশ্বের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে ভারত। এবার আরও বেশি প্রাকৃতিক তেল ও গ্যাস কেনা হবে আমেরিকা থেকে। মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন,  বিশ্বের সব থেকে পুরনো গণতন্ত্র আমেরিকা। বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। আমি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করছি, যা একবিংশ শতাব্দীতে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্ব আমাদের অর্থনৈতিক চুক্তিগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে। ভারতে সামরিক ক্ষেত্রে বিক্রি বাড়াবে। এফ ৩৫ বিমান দেওয়া হবে ভারতকে। কট্টর ইসলামিক সন্ত্রাসের হুমকির প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারতের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো হবে। ভারতের সঙ্গে আগের চেয়ে আরও ভালো কাজ হবে। ভারত আমেরিকার পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। ৩০, ৪০, ৭০ পর্যন্ত শুল্ক চাপায় ভারত। যেমন ৭০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয় আমেরিকার গাড়িতে। যার ফলে গাড়ি বিক্রি অসম্ভব হচ্ছে। এটা দুই দেশের পদক্ষেপের উপর নির্ভরশীল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আমি শক্তি ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছি। তেল ও গ্যাসের জোগান দেওয়া হবে ভারতকে। ভারত ও আমেরিকা একসঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় কাজ করবে। ভারত, ইজরায়েল, আমেরিকা,  বন্দর রেলওয়ে ও সমুদ্রের তলা দিয়ে কেবলের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। এদিন ট্রাম্পের কথায় জো বাইডেনের প্রশাসনের চেয়ে তাঁর আমলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। এমন কথাও শোনা গিয়েছে।