টেস্টে ৫৫০ উইকেট লায়নের

টেস্ট ক্রিকেটে ৫৫০ উইকেট নিয়ে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনার নাথান লায়ন (Nathan Lyon)। শ্রীলঙ্কা বনাম অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে দীনেশ চান্দিমলকে আউট করে মাইলস্টোন ছুঁলেন তিনি। এরপর ৫৫১তম উইকেট নিয়ে পেরিয়ে গেলেন সেই মাইলস্টোন। তাঁর সামনে এখন তাঁরই দেশের কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা (Glen McGrath), যাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৫৬৩ উইকেট। ৩৭ বছর বয়সি লায়ন আর একটা মরসুম খেললে ম্যাকগ্রাকে টপকে যাবেন। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় এখন সপ্তম স্থানে আছেন অজি অফস্পিনার। প্রথম থেকে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন মুথাইয়া মুরলীধরন (৮০০), শেন ওয়ার্ন (৭০৮), জেমস অ্যান্ডারসন (৭০৪), অনিল কুম্বলে (৬১৯), স্টুয়ার্ট ব্রড (৬০৪) এবং গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩)। প্রসঙ্গত, ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার আশঙ্কায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম টেস্টে এক ইনিংস এবং ২৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল স্টিভ স্মিথের (Steve Smith) দল। দ্বিতীয় টেস্টে অনেকটা লড়াই দিচ্ছে তারা। টসে জিতে ব্যাট নিয়ে প্রথম ইনিংসে ২৫৭ রানে অল আউট হয়ে যায় ধনঞ্জয় ডি সিলভার দল। জবাবে ৪১৪ করে অস্ট্রেলিয়া। এই মুহূর্তে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। এখনও ৯ রানে পিছিয়ে। তবে ১৫০ রানের লিড দিতে পারলে অঘটন ঘটতে পারে। প্রসঙ্গত, এই ম্যাচেই টেস্ট কেরিয়ারের ৩৬তম শতরান করেছেন স্টিভ স্মিথ। ছুঁয়েছেন জো রুট (Joe Root) এবং রাহুল দ্রাবিড়কে (Rahul Dravid)। তাঁর সামনে এখন পরপর কুমার সঙ্গাকারা (৩৮), রিকি পন্টিং (৪১), জাক কালিস (৪৫) এবং শচীন তেন্ডুলকর (৫১)।

অতিশী জিতলেও, কোন আপ প্রার্থীরা হারলেন?

দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Election 2025) ব্যাপক জয়ের পথে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। ইতিমধ্যে ৪৮ আসনে ‘লিড’ নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। অন্যদিকে, আম আদমি পার্টির (AAP) প্রার্থীদের জন্য এই নির্বাচন এক দুর্ভাগ্যজনক অধ্যায় হয়ে থাকল। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়াসহ পাঁচজন শীর্ষ নেতা এই ভোটে হেরে গিয়েছেন। চলুন তাঁদের কথা এবার জেনে নেওয়া যাক। (১) অরবিন্দ কেজরিওয়াল: ২০১৩ সালে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পর রাজনীতিতে পা রাখেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে গঠন করেন আম আদমি পার্টি। ২০১৫ ও ২০২০ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গড়লেও গত বছর দিল্লির বিতর্কিত ‘লিকার পলিসি’ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং ঘোষণা করেন যে, ‘জনতার আদালত’ যদি তাঁকে সমর্থন জানায়, তাহলে তিনি পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন। বিজেপির প্রবেশ বর্মা নিউ দিল্লি আসনে তাঁকে হারিয়েছেন। (২) মণীশ সিসোদিয়া: দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia) দীর্ঘদিন ধরে কেজরিওয়ালের ডানহাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পূর্ব দিল্লির পাতপারগঞ্জ আসন থেকে টানা তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এবার জঙ্গপুরা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে তিনি বিজেপির তরবিন্দর সিং মারওয়ার কাছে হেরে যান। (৩) সৌরভ ভারদ্বাজ: দিল্লির ‘হেভিওয়েট’ আপ নেতাদের মধ্যে অন্যতম সৌরভ ভারদ্বাজ (Saurabh Bharadwaj) ২০১৩ সালে গ্রেটার কৈলাশ আসনে জয়ী হয়ে প্রথম বিধায়ক হন। দিল্লি সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে তিনি স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। তবে এবারের নির্বাচনে তিনি বিজেপির শিখা রায়ের কাছে হেরে যান। (৪) দুর্গেশ পাঠক: আম আদমি পার্টির অন্যতম কৌশলবিদ দুর্গেশ পাঠক (Durgesh Pathak) এবারের নির্বাচনে রাজেন্দ্র নগর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০২২ সালের উপনির্বাচনে তিনি এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন, তবে এবার বিজেপির উমাং বাজাজের কাছে তিনি পরাজিত হয়েছেন। (৫) অবধ ওঝা: সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় আইএএস কোচ ও শিক্ষাবিদ থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া অবধ ওঝা (Avadh Ojha) নির্বাচনের কিছুদিন আগে আপ-এ যোগ দেন এবং পূর্ব দিল্লির পাতপারগঞ্জ আসনে দলের প্রার্থী হন। পাতপারগঞ্জে মণীশ সিসোদিয়া টানা তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে এবার তিনি অন্য আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ওঝাকে প্রার্থী করা হয়। কিন্তু তিনি বিজেপির রবীন্দ্র সিং নেগির কাছে ২৮,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

ভোটে হারের পর কী বললেন কেজরিওয়াল?

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election Result 2025) বিপুল মার্জিনে জয় পেতে চলেছে বিজেপি (BJP)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৪৮টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। অনেকগুলি আসনে ইতিমধ্যে জয় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। রাজধানী থেকে আপ (AAP) সরকারের বিদায়। শনিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এই রায় মেনে নেওয়ার কথা জানালেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তিনি তাঁর আমলে যেসব কাজ হয়েছে দিল্লিতে তার একটি বিবরণ তুলে ধরেন। কেজরিওয়াল এদিন জানান, ১০ বছরে আমরা অনেক কাজ করেছি। দিল্লির পরিকাঠামোর ভোলবদলের চেষ্টা করেছি। আমরা শুধু দায়িত্বশীল বিরোধী হিসেবে থাকব তা নয়, জনতার সুখ দুঃখে কাজে আসব। রাজনীতিতে ক্ষমতার জন্য আসিনি। সেবা, মানুষের সুখ দুঃখের মাধ্যম হিসেবে রাজনীতি, সেটা করতে থাকব। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশীও। তিনি কালকাজি আসনে জয় পেয়েছেন। সেজন্য ওই বিধানসভার ভোটারদের ধন্যবাদ দেন। অতিশী বলেন, জনাদেশ মেনে নিচ্ছি। তবে লড়াই জারি থাকবে। উল্লেখ্য, ২৭ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। বিপুল মার্জিনে এই জয়।