দেশে মোট ২০০ ক্যানসার নিরাময় কেন্দ্র

আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের সব জেলা হাসপাতালে ক্যানসার সেন্টার (Cancer Centre) তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। শনিবার সংসদে বাজেট (Union Budget 2025) পেশের সময় দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার খাতে এই বড় ঘোষণা করেন তিনি। এদিন অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত জেলা হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসার (Cancer Treatment) ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি, সারা দেশে মোট ২০০ ক্যানসার নিরাময় কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। সেই কারণে দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তাই, দেশজুড়ে মেডিক্যাল শিক্ষার ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয় আগামী অর্থবর্ষের বাজেটে। শনিবার সংসদে বাজেট পেশের সময় তিনি বলেন, এইভাবে আগামী পাঁচ বছরে দেশে ৭৫ হাজার নতুন মেডিক্যাল সিট বৃদ্ধি করা হবে। স্নাতক বা MBBS এবং স্নাতকোত্তর বা PG উভয় ক্ষেত্রেই এই আসন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের সময়কালে চিকিৎসাশিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে আসন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালের আগে স্নাতক স্তরের মেডিক্যাল সিটের ক্ষেত্রে মোট আসন ছিল ৫১,৩৮৪টি। ১০ বছর পর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে এই আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১,১২,১১২টি। এদিকে আবার PG অর্থাৎ স্নাতকোত্তর আসনের সংখ্যা ২০১৪-তে যেখানে ছিল ৩১,১৮৫টি, ২০২৪-এ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২,৬২৭।
AI পরিকাঠামো নিয়ে বাজেটে বড় ঘোষণা

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্মক্ষেত্রের প্রায় সর্বত্র প্রভাব ফেলেছে। এর গুরুত্ব অনুধাবন করে পদক্ষেপ নিল ভারত সরকার (Government of India)। শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে গিয়ে এআই-এর সেন্টার অফ এক্সেলেন্স (AI CoE) গড়ার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। এই সেন্টার অফ এক্সেলেন্স নিয়োজিত হবে এআই শিক্ষা ও গবেষণায়। ২০২৩ সালে পথচলা শুরু করেছিল এরকম তিনটি কেন্দ্র। সেই কর্মযজ্ঞকেই ব্যাপকতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ঘোষণা হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। ভারতের এআই বাজার খুব দ্রুত বড় হচ্ছে। ন্যাসকম-এর (NassCom) রিপোর্ট বলছে, এআই-এ দেশের প্রতিভা এবং লোকবল বাড়তে চলেছে। এই মুহূর্তে এআই সংক্রান্ত কর্মসংস্থানে জড়িত পেশাদার কর্মীর সংখ্যা ৬-৬.৫ লক্ষ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ১০ লক্ষের উপরে চলে যাবে। এক্ষেত্রে বার্ষিক যৌগিক বৃদ্ধি ১৫ শতাংশ। একই সঙ্গে সফটওয়্যার এবং পরিষেবা প্রদানকারী সেক্টরে এই বৃদ্ধি ২৫-৩০ শতাংশ হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই কারণেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দক্ষতায় পারদর্শী হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে এবং সেই কারণেই তার শিক্ষাগত পরিকাঠামো উন্নীত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫০০ কোটি টাকার বাজেতে এআই দক্ষতা শেখার জন্য পাঁচটি জাতীয় কেন্দ্র তৈরি হবে। টিমলিজ ডিগ্রি অ্যাপ্রেনটিসশিপ সংস্থার মুখ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট সুমিত কুমার সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এআই দক্ষতা শেখার পাঁচটি জাতীয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা দক্ষতার খামতি ঢেকে দেবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়াবে, নতুন আসা কর্মক্ষেত্রের জন্য যুবসমাজকে প্রস্তুত করবে। এর ফলে গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে পারবে দক্ষতাসম্পন্ন ভারতীয় পেশাদাররা।”
১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে নেই কোনও ট্যাক্স

ওয়েব ডেস্ক: ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে দিতে হবে না কোনও কর (Income Tax)। নতুন কর কাঠামোয় মিলবে এই সুবিধা। শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি বাজেটে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে করের পরিমাণ।’’ এ দিন বাজেট বক্তৃতায় নতুন কর কাঠামোয় করের নয়া স্ল্যাব ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি জানিয়েছেন, নতুন স্ল্যাবে শূন্য থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে করের পরিমাণ। এর পর চার থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে পাঁচ শতাংশ, আট থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ে ১০ শতাংশ এবং ১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা আয়ে ১৫ শতাংশ দিতে হবে কর। ১৬ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ২০ শতাংশ, ২০ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ২৫ শতাংশ এবং ২৪ লক্ষের উপরে আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ করের কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এত দিন পর্যন্ত বার্ষিক তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে দিতে হচ্ছিল না কোনও কর। বছরে আয়ের পরিমাণ তিন থেকে সাত লক্ষ টাকা হলে কর ধার্য হত পাঁচ শতাংশ।