দেশি লুকের নেশা ধরালো অনন্যা

বলিউডে বিগত পাঁচ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন চাংকি পাণ্ডের কন্যা অনন্যা (Ananya Pandey)। নিজের শরীর নিয়ে তিনি যে খুব একটা সন্তুষ্ট তা নয়। তাকে বহুবার ট্রোল্ড হতে হয়েছে। নেটিজেন্দ্রা তাকে ‘ফ্ল্যাট বডি’ বলে অভিহিত করেছে। শরীরে পরিবর্তন আনতে নিম্নাঙ্গে অস্ত্র প্রচার করেছেন তিনি! এমনটাই গুজব শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি এক বডিকন পোশাক পরে নিজের ছবি দিয়েছেন অনন্যা। নেটিজেন দের ধারণা নিতম্বের তিনি অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। যা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু মুখে কুলু পেতেছেন অভিনেত্রী নিজে। অন্য একটা নতুন ফটোশুটে একটি বোহেমিয়ান সাহসী দেশি লুকে যাকে দেখা গিয়েছে। তার এই নতুন লুক নজর কেড়েছে তার ভক্তদের। তিনি ওয়েস্টার্ন স্টাইল অথবা দেশিলুকে সর্বদাই সাবলীল। তার বহেমিয়ান স্টাইল আর লুক কাঁপিয়েছে নেটপাড়া। অনন্যাকে একটি গাঢ় রঙের টাইপ প্যাটার্নের টিউব ব্লাউজ টপে দেখা গিয়েছে এই ফটোশুটে। কাঁধের উপর দিয়ে যেমন শাড়ির আঁচল নেওয়া হয়, সেই ভাবেই টপটি ডিজাইন করা। এর পাশাপাশি, তিনি এটি একটি সোনালি রঙের লম্বা স্কার্ট পরেছিলেন। যা পোশাকটির জৌলুস আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে শুধু কী তাই! এই টপ ও স্কার্ট পরে নিজেকেও যেন আমূল ভাবে বদলে নিয়েছেন অনন্যা। তাঁর মুখে ফুটে উঠে ছিল অন্য ভাব। এই রূপে, এই মেজাজে এর আগে কখনও তাঁকে দেখেননি দর্শকরা। তবে কেবল পোশাক বা এক্সপ্রেশন নয়। সাজেও ছিল বড় চমক। অভিনেত্রী গয়না হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সেপ্টাম। তাঁর সঙ্গে নায়িকা পরেছিলেন একটি মিষ্টি কালো টিপ।একরাশ মত্ত ঢেউ খেলানো চুল কিছুটা অগোছালো ভাবে বেঁধেছিলেন অভিনেত্রী, আলগা চুলে বেঁধে নিয়েছিলেন ফুলের মালা। সব মিলিয়ে তাঁর চেহারায় একটা তীক্ষ্ণ, দেশি ভাব ফুটে উঠেছিল। এই সাজে সত্যি অনন্য দেখাচ্ছিল অনন্যাকে।   View this post on Instagram   A post shared by Ananya 🌙 (@ananyapanday)

মহাকুম্ভে শ্যামাসুন্দরী

মোনালিসা (Monalisa)। বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলার ছবি। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির (Leonardo The Vinci) আঁকা সেই মোনালিসা আচমকাই চর্চায় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh)। মহাকুম্ভে মালা বিক্রি করা মোনালিসা নেট দুনিয়ায় মানুষের মন জয় করে নিল। টিনএজার মোনালিসার ভিডিও এখন ভাইরাল। মহাকুম্ভে তাকে ঘিরে উন্মাদনা চরমে। অনেকে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মোনালিসার সঙ্গে তাকে তুলনা করেছে। কয়রা চোখ, শ্যামলা মোনালিসার রূপের জাদুতে মুগ্ধ সবাই। সেখানে তার সঙ্গে সেলফি তোলার জন্যে হুড়োহুড়ি। এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে মোনালিসা ভোঁসলের বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কপালে একটি ছোট্ট টিপ। গলায় একাধিক পুঁথির মালা। চোখে হাল্কা কাজল। সাজ পোশাকে অতি সাধারণ। ঠিক যেন পাশের বাড়ির মেয়ে। অথচ ত্রিবেণী সঙ্গমের ঢেউয়ের চেয়ে ওই মালা বিক্রেতার মায়া কাজল ঢেউ তুলেছে। মালা কিনতে না কি আশেপাশে যেসব বিক্রেতারা ছিলেন তাঁদের দিকে কেউ ফিরেও চাইছেন না। এরকমই একজন শচীন গুপ্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আমার বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে। কেউ কিনতেই চাইছে না। মোনালিসার মালা বিক্রির আবহে বিভিন্ন গান দিয়ে তৈরি করা ভিডিও ভাইরাল। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) জোর চর্চা। কিন্তু লাইম লাইটে আসা মধ্যপ্রদেশের ইনদোরের বাসিন্দা মোনালিসা নিজে এই ঘটনায় যারপরনাই বিরক্ত। তার কথায়, ফটো, ফটো, ফটো খিঁচতে হ্যায়, ইয়ে আচ্ছি নেহি’। তবে মোনালিসা মুগ্ধ মহাকুম্ভের সাধুদের দেখে। তার কাছে মুণ্ডমালা সহ বিভিন্ন মালা কিনতে সাধুরা এসেছেন। তাদের ব্যবহারে খুশিতে চকচক করে ওঠে শ্যামলিমার মুখাবয়ব।

ট্যাংরায় হেলে পড়ল বহুতল

বাঘাযতীনের পর ট্যাংরা! ফের হেলে পড়ল বহুতল। বুধবার সকালেই ট্যাংরায় বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা সামনে আসে। আর দুপুর হতে না হতেই সেই বহুতল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা পুরসভা। পুরসভার নির্দেশে এবার ভেঙে ফেলা হতে চলেছে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের উপর অবস্থিত সবুজ বাড়িটি। ইতিমধ্যেই সেই বহুতল খালি করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। মাকিংয়ে চলছে সতর্কতামূলক প্রচারও। তবে এবার ফ্ল্যাট বাসিন্দারা বহুতল খালি করে দিলেও ফ্ল্যাটের টাকা দাবি করছেন। তবে কীভাবে ১১/২ ক্রিস্টোফার রোডের ওই নির্মীয়মাণ বহুতল বুধবার সকালবেলা হেলে পড়ল তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পরেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, ক্রিস্টোফার রোডে ওই বহুতলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছিল। বাড়ির ভিতরের কাজ বাকি ছিল বলেই খবর। এরই মাঝে বুধবার সকালে স্থানীয়রা দেখেন বহুতলটি একদিকে হেলে পড়েছে পাশে বাড়ির গায়ে। পাশেই রয়েছে আরেকটি বহুতল, স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার বাসিন্দারাও ভয়ে। খবর দেওয়া হয় পুরসভায়। কেন এই ঘটনা, কার গাফিলতিতে পুরোপুরি তৈরির আগেই বিপত্তি, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার কোনও শর্তেই মানা হয়নি। পাশের বাড়িগুলির সঙ্গে যে নূন্যতম দূরত্ব রেখে নির্মাণকাজ করতে হয় সেই বিষয়টিও মানা হয়নি। অন্য দিকে, শহরে আরও একটি বাড়ি হেলে পড়ায় প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কাজ নিয়েও। ওই এলাকার মাটি পরীক্ষা না করে কী ভাবে বহুতলটি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ক্রিস্টোফার রোডের বাসিন্দারা। তবে এই ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলারের দিকেও আঙুল তুলছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, এলাকার প্রায় সমস্ত বহুলতি নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। সবই বেআইনিভাবে তৈরি আর সেই সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে জানান কাউন্সিলার বলে দাবি বাসিন্দাদের।