মোদির চিঠি ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে!

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন মুলুকের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মসনদে বসতে চলেছেন দ্বিতীয়বার। আমেরিকার ইতিহাসে একবার হেরে গিয়ে ফের প্রেসিডেন্ট পদে বসার ঘটনা খুবই, এর আগে একবারই হয়েছিল। ভারতীয় সময় রাত ১২টায় শপথগ্রহণ করবেন ট্রাম্প, তার আগে তাঁর প্রতি বার্তা পাঠালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে মোদিকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছিলেন রিপাবলিকান নেতা। তবে এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মোদি থাকছেন না। তবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সূত্রের খবর, তাঁর হাত দিয়ে ট্রাম্পের জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যদিও সেই চিঠিতে কী লেখা তা জানা যায়নি। বিপুল সমর্থন নিয়ে নভেম্বরে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান ট্রাম্প। আজ, ভারতীয় সময় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান শুরু। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সও শপথ নেবেন। ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani), নীতা আম্বানি (Nita Ambani)ইতিমধ্যে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমেরিকা গিয়েছেন। ৪০ বছর আগে আমেরিকার প্রবীণ প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগন ইন্ডোরে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটালে শপথ নিয়েছিলেন। প্রবল ঠান্ডার জন্য ট্রাম্পও এদিন ইন্ডোর অনুষ্ঠানে শপথ নেবেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে ইতিমধ্যে কোল্ড এয়ার এমার্জেন্সি জারি হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি ও নিউ জার্সিতে। বড় ঝড় হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ব্যক্তিগত পরিসরে নাক গলাচ্ছে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা?

আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ (CIA) আপনার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ (WhatsApp Messages) পড়ে ফেলতে পারে, এ কথা জানালেন স্বয়ং মেটার (Meta) কর্ণধার মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg)। তবে তিনি জানিয়েছেন, আপনার ফোন সিআইএ-র হাতে পড়লে তবেই এমনটা হওয়া সম্ভব। ‘দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স’ নামক এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন জুকারবার্গ। সেখানে সাংবাদিক টাকার কার্লসন অভিযোগ করেন, তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগে নাক গলাচ্ছে আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরেই এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন জুকারবার্গ। ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপের ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ ব্যবস্থার জেরে মেটা কোনও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ‘চ্যাট’ দেখতে পারে না। তবে কারও ডিভাইসে সেই ‘চ্যাট’ কতটা সুরক্ষিত কিংবা অরক্ষিত তা মেটার হাতে নিয়ন্ত্রণে নেই। তিনি স্বীকার করেন, কোনও ডিভাইস অরক্ষিত থাকলে তার ফায়দা তোলা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে স্পাইওয়্যার নিয়ে সাবধান করেছেন জুকারবার্গ। তিনি বলেছেন, পেগাসাসের (Pegasus Spyware) মতো স্পাইওয়্যার টুল ব্যবহার করে গোয়েন্দা বা গুপ্তচর সংস্থা যে কোনও ফোনের বার্তালাপ, ছবি, কল লগ অ্যাকসেস করতে পারে। মেটার সিইওর কথায় পরিষ্কার, ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যমের বাড়বাড়ন্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার আশু প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো যায় কীভাবে? হোয়াটসঅ্যাপের ‘ডিজ্যাপিয়ারিং মেসেজ’ (Disappearing Messages) ব্যবস্থা ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করেছেন জুকারবার্গ। এই অপশন অন থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ নির্দিষ্ট সময়ের পরে আপনা থেকেই ডিলিট হয়ে যায়। তিনি বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপ এনক্রিপ্টেড রাখা এবং ডিজ্যাপিয়ারিং মেসেজ করে রাখা গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ভালো উপায়।”
সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে রাজ্য

সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এক্স হ্যান্ডলে একথা লিখেছেন। সোমবার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদহ নিম্ন আদালত। সঞ্জয়ের যাতে ফাঁসি হয় তার জন্য আবেদন জানাবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানালেন, কেন এটি বেনজির ঘটনা নয়, তা শুনে তিনি স্তম্ভিত। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ”আমি মনে করি এটা ‘রেয়ারেস্ট অফ রেয়ার কেস’। যার শাস্তি ‘ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট’। কীভাবে এই মন্তব্যে আসা যায় যে এটা রেয়ারেস্ট অফ রেয়ার কেস নয়? গত তিন-চার মাসে আমরা এধরনের ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া নিশ্চিত করতে পেরেছি। তাহলে এই ঘটনায় কেন ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট দেওয়া হল না? আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি এই ঘটনায় ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করব।”নিম্ন আদালতে শাস্তি ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহে জানিয়েছিলেন, এখনও দোষীর ফাঁসির শাস্তির দাবিতে তিনি অনড়। পরে এক্স হ্যান্ডলে এই ঘটনাকে জঘন্য অপরাধ বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর কাণ্ডে ফাঁসি চেয়ে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল সমাজ। হাসপাতালের ভিতরে কর্তব্যরত তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় (বহিষ্কৃত)।