সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সঞ্জয় রায়ের। এদিন শিয়ালদহ আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাস এই সাজা ঘোষণা করেন। এদিন সাজা ঘোষণার আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয় সঞ্জয় রায়কে। তারপরই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। এদিন সিবিআই জানিয়েছে বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ এটি। চিকিৎসক ডিউটিতে ছিলেন। শুধু পরিবার এক জন সদস্যকে নয়, এক জন চিকিৎসককে সমাজ হারিয়েছে। কঠিন শাস্তির পক্ষে সওয়াল করা হয়। সঞ্জয়ের আইনজীবীরা দাবি করেন, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়। মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন তাঁরা। এই সময়ে সঞ্জয় নির্লিপ্ত ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল কাঠগড়ায়। এরপর বিচারক সবাইকে এজলাস ফাঁকা করে দেওয়ার কথা জানান। ২টো ৪৫ মিনিটে আবার কোর্ট বসে। তারপরই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সোমবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জয় রায়কে। গ্রিন করিডর করে সঞ্জয়কে আদালতে আনা হয়েছিল। এদিন সকাল থেকে নিরাপত্তার কড়া চাদরে মোড়া ছিল শিয়ালদহ আদালত (Sealdah Court) চত্বর। আদালতের সামনে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। ডিসি গৌরব লাল থেকে ইন্সপেক্টর এবং এসআই পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত শনিবার ১৬২ দিনের মাথায় আরজি কর মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শিয়ালদহ আদালত। সে দিন সঞ্জয় আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তারপরই সঞ্জয়ের উদ্দেশে বিচারক অনির্বাণ দাস বলেছিলেন,আমি সমস্ত তথ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখেছি আপনিই দোষী। শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে।

আজ সাজা ঘোষণা সঞ্জয় রায়ের

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আরজি কর (RG Kar Case) ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের শাস্তি ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জয় ঘোষকে। গ্রিন করিডর করে সঞ্জয়কে আদালতে আনা হয়েছে। এদিন শুরুতে সঞ্জয় ও তাঁর আইনজীবী কবিতা সরকারের কথা শুনবেন বিচারক অনির্বাণ দাস (Judge Anirban Das)। এদিন সকাল থেকে নিরাপত্তার কড়া চাদরে মোড়া শিয়ালদহ আদালত (Sealdah Court) চত্বর। আদালতের সামনে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। ডিসি গৌরব লাল থেকে ইন্সপেক্টর এবং এসআই পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীরা রয়েছেন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গত শনিবার ১৬২ দিনের মাথায় আরজি কর মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শিয়ালদহ আদালত। সে দিন সঞ্জয় আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তারপরই সঞ্জয়ের উদ্দেশে বিচারক দাস বলেছিলেন,আমি সমস্ত তথ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখেছি আপনিই দোষী। শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে।’’ বিচারকের পর্যবেক্ষণ, গত বছরের ৯ অগস্ট ভোরে সঞ্জয় আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে ঢুকেছিলেন। এক মহিলা চিকিৎসককে তিনি আক্রমণ করেন, তাঁর মুখ এবং গলা টিপে ধরেন। পরে ওই চিকিৎসক মারা যান। আরজি করের (RG Kar Case) ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ৫ মাস ৯ দিন পর গত শনিবার রায় ঘোষণা করেছিলেন বিচারক অনিবার্ণ দাস। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬, ১০৩(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয় রায়কে। এই ধারা অনুযায়ী যাব্বজীবন কারাবাস অথবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সঞ্জয়ের। আজ সোমবার এই মামলার সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক। সমস্ত তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষীর ভিত্তিতে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। কাঁদতে কাঁদতেই বিচারককে ধন্যবাদ জানান নির্যাতিতার বাবা। তিনি বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আপনার উপর যে আস্থা ছিল, তার পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন। আমাদের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ বিচারক দাস প্রত্যুত্তরে বলেন, সোমবার আসুন।