বিধ্বংসী আগুনের গ্রাসে গোটা হলিউড!

দাউদাউ করে জ্বলছে গোটা শহরটা। আকাশ যেন ঢেকে গেছে কালো ধোঁয়ায়। পরিস্থিতি এমনই যে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না। আর তারমধ্যেই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। লম্বা লাইনে গাড়ির ভিড়ে রাস্তায় লেগে গেছে ট্র্যাফিক জ্যাম। দাবানলের গ্রাসে গোটা লস অ্যাঞ্জেলেস।এখনও পর্যন্ত আগুন ছড়িয়েছে সাতটা পয়েন্ট থেকে। মোটামুটি প্রায় ৩০ হাজার একর জমি আগুনের গ্রাসে। পুড়ে ছাই ২ হাজারেরও বেশি বাড়ি। ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষকে ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার, নিহতের সংখ্যা ডাবল ডিজিটে পৌঁছে গিয়েছে। ইতিহাস বলছে, এখনো পর্যন্ত এত বড় ফরেস্ট ফায়ার দেখেনি ক্যালিফোর্নিয়া। আমেরিকার পশ্চিম প্রান্তে প্রদেশগুলি থেকে ফায়ার ফাইটাররা চলে এসেছেন আগুন নেভাতে লস অ্যাঞ্জেলসে। তবে যা খবর, তাঁদের শত চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না আগুন। আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে হেলিকপ্টার থেকে। আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে, বিপদ আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জয়ললিতার বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি ফিরে পেতে আত্মীয়দের আবেদন খারিজ

তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার (Jayalalithaa) বাজেয়াপ্ত হওয়া আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিপুল সম্পত্তি ফিরে পেতে তাঁর আত্মীয়রা আবেদন করেছিলেন। সেই দাবি খারিজ কর্নাটক হাইকোর্টে (Karnataka High Court)। আবেদনে বলা হয়, নিম্ন আদালত জয়ললিতাকে দোষী সাব্যস্ত করে। কিন্তু হাইকোর্ট তাঁকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু সরকারের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকাকালীনই তাঁর মৃত্যু। তাই এক্ষেত্রে জয়ললিতাকে আসামি হিসাবে ধরা যাবে না। সেই কারণে তাঁর সম্পত্তি ফেরত দেওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত, যে সময়কালের জন্য তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়, তার আগের সম্পত্তি ফেরত দেওয়া উচিত। বিচার চলাকালীন জয়ললিতার মৃত্যুর কথা জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টকে। তার পরেও মৃতের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। পাল্টা সওয়াল সরকার পক্ষের। তাতে বিচারপতি ভি শ্রীশানন্দ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট জয়ললিতার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ প্রসঙ্গে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। দ্বিতীয়ত, নিম্ন আদালত মৃতের আত্মীয়দের দাবি ‘মেরিট’-এর ভিত্তিতে খারিজ করেছিল। তাই মৃতের আইনি উত্তরাধিকারের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। আদালতের উপদেশ, আপনারা বরং জয়ললিতার নামে কোনও ফাউন্ডেশন স্থাপন করুন। সমাজে বিপুলসংখ্যক গরিব রয়েছেন। ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে তাদের জন্য খরচ করুন। তাঁদের আনন্দে রাখার চেষ্টা করুন। তার ফলে আপনারাও যেমন মানসিক সন্তুষ্টি পাবেন, তেমনি মৃতের আত্মাও শান্তি পাবেন। মনে রাখতে হবে, যা মেলে তা ঈশ্বরের দান। তাতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত। ঋণাত্মক অনেক কিছুই ঘটতে পারে। কিন্তু তার প্রতি মনোযোগ দিলে হবে না।
নিজেকে শেষ করলেন ‘ফসিলসে’র প্রাক্তন সদস্য

বাংলা রক সঙ্গীতজগতের ফের নক্ষত্রপতন। জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ফসিলস’-এর (Fossils) প্রাক্তন সদস্য চন্দ্রমৌলী বিশ্বাস (Chandramouli Biswas) আর নেই। রবিবার ওয়েলিংটনের ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রিটে নিজের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৮ বছর। চন্দ্রমৌলীর এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সঙ্গীতজগত। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন চন্দ্রমৌলীর বন্ধু এবং ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্য মহুল চক্রবর্তী (Mohul Chakraborty) তাঁর মৃতদেহটি প্রথম দেখতে পান। মহুল জানিয়েছেন, চন্দ্রমৌলী তাঁকে বাড়িতে দেখা করতে ডাকেন। ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা সত্ত্বেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে চন্দ্রমৌলীর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে মানসিক অবসাদে (Depression) ভুগছিলেন চন্দ্রমৌলী। আর্থিক অনটন এবং পেশাগত অসন্তোষ তাঁকে গ্রাস করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট (Suicide Note) উদ্ধার করেছে পুলিশ, যেখানে তিনি তাঁর মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি। চন্দ্রমৌলীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ফসিলস-এর ম্যানেজার এবং রূপম ইসলামের (Rupam Islam) স্ত্রী রূপসা দাশগুপ্ত (Rupsa Dashgupta) লিখেছেন, “চন্দ্র আমাদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। ফসিলস পরিবারের এক অভিন্ন অঙ্গ। তাঁর এই প্রস্থান আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে।” ১৯৭৬ সালের ৫ জুন জন্মগ্রহণ করা চন্দ্রমৌলী যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। তবে আকর্ষণীয় চাকরি ছেড়ে দিয়ে সঙ্গীতকেই জীবনের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেন। ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ‘ফসিলস’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর সৃষ্টিশীলতা এবং সুরের জাদুতে তিনি দ্রুত বাংলা সঙ্গীতপ্রেমীদের মন জয় করেছিলেন। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্যজনিত কারণে তিনি ‘ফসিলস’ ছাড়তে বাধ্য হন। বর্তমানে ‘গোলক’ এবং ‘জম্বি কেজ কন্ট্রোল’ নামে দুই ব্যান্ডের (Bangla Band) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চন্দ্রমৌলী। কিন্তু আর্থিক অনটন এবং অবসাদ তাঁকে ধীরে ধীরে বিপন্ন করে তোলে। সেই কারণেই কি চরম সিদ্ধান্ত নিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী? প্রশ্নটা উঠছে।