হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করল ভারত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ( Bangladesh Interim Government) চাপ বাড়ল। হাসিনা(Sheikh Hasina) এখনই ফেরাচ্ছে না ভারত। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল ভারত। বাংলাদেশ অপেক্ষায় ছিল, হাসিনা ফিরলেই তার উপর আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবে ইউনুসের কেয়ারটেকার সরকার। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল ভারত। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে ভারতের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কূটনৈতিক সূত্রে আজ, বুধবার এই খবর জানা গেছে। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পড়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার মধ্যেই তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আজই আবার বাংলাদেশের অভিবাসন এবং পাসপোর্ট দফতর হাসিনার পাসপোর্টও বাতিল করেছে। হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর কাজটি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছে লোকাল ফরেনার্স রিজিওনাল অফিস (এফআরআরও)। দু’দিন আগেই হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়। দ্বিতীয় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্যেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ভারত কিছু জানায়নি, এমনটাই জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তা হলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজি কমিশন। শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। ওই প্রাপ্তি স্বীকারের বাইরে তেমন কিছু বলার নেই।’ বাংলাদেশে ভারতের প্রাক্তন হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলাদেশকে শক্তিশালী প্রমাণ দিতে হবে যে হাসিনা ওই অপরাধে দোষী। কারণ প্রত্যর্পণ একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তাবলীর মধ্যে ন্যায্যতা ও নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি অবশ্যই মানতে হবে। শেখ হাসিনা যে সময় পালিয়ে ভারত চলে আসেন সে সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি। বিষয়টি বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ প্রচেষ্টাকে জটিল করতে পারে।‘ উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণের চুক্তি আছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ই ২০১৩ সালে চুক্তিটি হয়। ২০১৬ সালে সেটি সংশোধনও হয়েছিল।

মাকে টেক্কা দিচ্ছে মেয়ে রাসা

রবিনাকে টেক্কা দিচ্ছে মেয়ে রাসা (Raveena Daughter Rash)। রবিনা টন্ডনের (Raveena Tandon) মতোই অভিনয় এবং নাচ দুয়েই দারুণ পারদর্শী মেয়ে রাশা থাদানি (Rasha Thadani)। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বড়পর্দায় পা রেখেছেন তিনি। প্রথম ছবিতে নেচে তাক লাগালেন রাশা। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে ছবির নতুন গান উই আম্মা’। এই গানে নেচে নেটপাড়ায় ঝড় তুললেন রাশা। অনেকে তাঁর সঙ্গে তুলনা টানলেন মা রবিনার। নয়ের দশকের বলিউড কাঁপানো অভিনেত্রী ছিলেন রবিনা ট্যান্ডন। অভিনয় থেকে নাচ…সবেতেই সুপারহিট এই গ্ল্যাম ডিভা। মায়ের মতোই রাসার গর্জাস লুক বলিউডের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ সেই বিষয়ে কিন্তু, কেউই সন্দেহ প্রকাশ করেনি। আগামী ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পাবে ‘আজাদ’। এই ছবিতে অজয় দেবগণের সঙ্গে দেখা যাবে রাশাকে। ছবির মুক্তির আগেই দর্শকের চর্চায় রাশা। ছবির একটি নতুন গান উই আম্মা’ মুক্তি পেয়েছে। এই গানে রাশা নাচ উত্তাপ বাড়িয়েছে নেটরাড়ায়। অনেকে ক্যাটরিনা কইফ-এর ‘চিকনি চামেলি’র সঙ্গেও তুলনা টেনেছেন। রাশার নাচ দেখে অনেকেই বলছেন রবিনাকেও টেক্কা দিতে প্রস্তুত তাঁর মেয়ে। রাশার এই পারফরম্যান্স ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তাঁকে ‘সস্তার চিকনি চামেলি’ বলে কটাক্ষের তির বিঁধেছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। মা রবিনার শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অনেকেই বলছে রবিনার চিপচিপ বরসা পানি গানে যে ঝড় তুলেছিল সেই একই ফিল পাওয়া গেল তাঁর মেয়ের নাচে। যদিও এত কম বয়সে তাঁর অভিনয় জগতে পা রাখার প্রশংসা জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।

ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫

২০২৫-এর শুরুতেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) বিপর্যস্ত নেপাল (Nepal) ও তিব্বতের (Tibet) একাংশ। মঙ্গলবার সকালে ৭.১ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয় দক্ষিণ এশিয়ার (South Asia Earthquake) বিস্তীর্ণ এলাকায়। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে শহর কলকাতাতেও (Kolkata) সাতসকালে কেঁপে ওঠে মাটি। তবে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিব্বতের লাৎসে শহর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ইতিমধ্যে সেখানে ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি। সূত্রের খবর, ৭.১ মাত্রার কম্পনের পর আর ৪৯টি আফটার-শক (After Shock) হয়েছে সেখানে। প্রথম কম্পনের পরে সকাল ৭টা ২ মিনিটে ৪.৭ তীব্রতার দ্বিতীয় কম্পন, ৭টা ৭ মিনিটে ৪.৯ তীব্রতার তৃতীয় কম্পন, এবং এর ছয় মিনিট পর ৫.০ তীব্রতার আরেকটি কম্পন হয়। প্রথম দু’টি ভূমিকম্প ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এবং তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে ছিল। ভূমিকম্পের প্রভাব নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিম, এবং অসম পর্যন্ত টের পাওয়া গেছে। দিল্লি এবং ভুটানেও কম্পনের খবর মিলেছে। তিব্বতের শিগাতসে শহরে ৬.৮ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের সংবাদমাধ্যম। তীব্র কম্পনের জেরে নেপালের বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কাঠমান্ডুতে আতঙ্কিত মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে সেখানে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।