সিডনিতে বাদ রোহিত?

সিডনি টেস্টের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন হেড কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। ইঙ্গিত দিয়েছেন, অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) সিরিজের শেষ টেস্টে বসানো হতে পারে। সরাসরি কিছু বলেননি, তবে যা বলেছেন তা-ই চোখ কপালে তোলার জন্য যথেষ্ট। সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত আসেননি, তা নিয়ে জল্পনা ওঠে। এ নিয়ে গম্ভীর বলেন, “রোহিত ঠিকই আছে, ওর এখানে আসতেই হবে এমন কোনও প্রথা নেই। হেড কোচ এসেছে সেটাই যথেষ্ট। কাল পিচ দেখে প্রথম একাদশের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।” হেড কোচকে ফের প্রশ্ন করা হয়, রোহিত কি সেই দলে থাকছেন? তাতে তিনি বলেন, “আগে যা বললাম সেটাই উত্তর।” সাধারণত, দল যাই হোক, অধিনায়কের নির্বাচন নিয়ে কোনও সংশয় থাকে না। কিন্তু চূড়ান্ত খারাপ ফর্মে থাকা রোহিতকে নিয়ে সে কথা বলা যাচ্ছে না। অন্তত গম্ভীরের কথা অনুযায়ী। রোহিতকে বসানো হলে জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) নেতৃত্ব দেওয়ার কথা যিনি পার্থ টেস্টে অধিনায়ক ছিলেন এবং ভারত সেই ম্যাচ জিতেছিল। কিন্তু অধিনায়কত্ব নিয়ে নতুন জল্পনা উঠেছে। শোনা যাচ্ছে, সিডনিতে নেতৃত্বে ফিরতে পারেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। দেশের সর্বকালের সফলতম টেস্ট অধিনায়ককে এবারের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে যথেষ্ট ‘প্রো-অ্যাক্টিভ’ দেখিয়েছে। ফিল্ডিং সাজানো থেকে বোলারদের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে তাঁকেই চোখে পড়েছে বেশি। রোহিতের অবর্তমানে বুমরা নয়, কোনও তরুণ নয়, কোহলিতেই আস্থা রাখছেন নির্বাচকরা, এ খবরও হাওয়ায় ভাসছে।
এক যুগ পর ফিরল ‘চন্দ্রবিন্দু’

এভাবেও ফিরে আসা যায়। তা প্রমাণ করে দিল চন্দ্রবিন্দু (Chandrabindoo)। ‘ক্যাসেট থেকে রেকর্ড দীর্ঘ চড়াই উৎড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পথচলা। আর এক যুগ পর নতুন অ্যালবাম নিয়ে ফিরল ‘চন্দ্রবিন্দু। দীর্ঘ ১২ বছর পর নিজেদের দশম অ্যালবামের নতুন গান প্রকাশ করল উপল-চন্দ্রিল-অনিন্দ্যরা। ৯ দশকের ছেলে মেয়েদের কাছে বাংলা ব্যান্ড একটা আবেগ। বন্ধুত্ব থেকে সাফল্য, প্রেমে ছ্যাকা সব সব কিছুর ওষুধ বাংলা ব্যান্ডের মন ছুঁয়ে যাওয়া গান। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল চন্দ্রবিন্দুর প্রথম অ্যালবাম ‘আর জানি না’। তারপর দীর্ঘ পথ চলা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদল এসেছে ভাবনায়। বদলেছে গান শোনানোর মাধ্যম। ২০১২ সালে শেষ অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছিল চন্দ্রবিন্দুর। এরপর কেটেছে ১২ বছর। দীর্ঘ ১২ বছর পর নিজেদের দশম অ্যালবাম নিয়ে এল। আইটিউনস, স্পটিফাইয়ের যুগে অ্যালবাম আনল উপলরা। চন্দ্রবিন্দুর দশম অ্যালবামের নাম ‘টালোবাসা’ (Talobasa)। নয়ের দশকের নস্ট্যালজিয়াকে ফেরত আনল চন্দ্রবিন্দু। নতুন অ্যালবামের ঘোষণা গত বছর করেছিল উপল-অনিন্দ্যরা। নতুন বছরের শুরুতে প্রকাশ পেল ‘টালোবাসা’র নতুন গান। উপল-চন্দ্রিল-অনিন্দ্যরা। সেইমতোই বছরের শুরুতেই মিলল ভালোবাসায়মাখা ‘টালোবাসা’র (Talobasa) খবর। উপল সেনগুপ্ত বলেন, ‘কেউ যদি নব্বইয়ের দশককে চিনতে জানতে চান, সেগুলো পেয়ে যেতে পারেন ‘চন্দ্রবিন্দু’-র গানে।
নীতীশের জন্য ইন্ডিয়া জোটের দরজা খোলা, মন্তব্য লালুর

লালুপ্রসাদ যাদব (লালু) (Laluprasad Yadav) ভারতীয় রাজনীতিতে এক বর্ণময় চরিত্র। জেল যাপন, কিডনি প্রতিস্থাপন, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সেভাবে ফ্রন্টফুটে দেখা যায় না। তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদবই আরজেডি (RJD) দল পরিচালনা করেন। লালুর একেকটা কথায় হাসির রোল উঠত। রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি করত। সে সংসদে রেলের বাজেট পেশের সময়ই হোক বা বিহারে হেমা মালিনীর গালের মতো মসৃণ রাস্তা করে দেওয়ার কথা বলাই হোক। বৃহস্পতিবার লালু আকস্মিকই বললেন, নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) জন্য ইন্ডিয়া জোটের দরজা খোলা। ব্যাস। পাটনার আকাশে আলোড়ন। এটা কি তবে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ রসিকতা? এগিয়ে আসছে বিহার বিধানসভা ভোট। তার আগে এই লালু-বার্তার গভীর রাজনৈতিক তাৎপর্য থাকতে পারেও বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। বিহারের রাজনীতিতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী নীতীশ, লালু। জয়প্রকাশ নারায়ণের একদা দুই শিষ্য পরে আলাদা শিবিরে বিভক্ত হয়ে যান। নিজেরাই হয়ে ওঠেন ভিন্ন ধারার রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রতিষ্ঠান। তবে তার পরেও জোট করে হিন্দি বলয়ের পূর্বের এই রাজ্যে সরকার গড়েছে লালু-নীতীশ। ২০১৫ সালে ও ২০২২ সালে বিজেপি ছেড়ে লালুর সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নীতীশ। যেভাবে বারবার জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ দল বদলে কুর্সি আঁকড়ে থেকেছেন, তাতে তিনি যে কোনও দিন যা কিছু করতে পারেন সেটা স্বাভাবিক বলে মনে করেন রাজনীতর পর্যবেক্ষকরা। কিন্তু, এমনটা হলে শুধু বিহারের রাজনীতিতে তা সীমাবদ্ধ থাকবে না। কারণ কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার টিকে রয়েছে নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নায়ডুর উপর ভর করে। নীতীশ এনডিএ ছেড়ে লালু বা ইন্ডিয়া জোটের হাত ধরলে টলমল করবে মোদির গদি। গত ২০ বছরে মোট চারবার জোট বদলে মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। এবার ফের বিধানসভা ভোটের আগে কি জোট বদলাবেন? তবে লালুর এই প্রস্তাবের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে নীতীশ খানিকটা বিরক্তির সুরেই সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা কি বলতে চাইছেন? উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদির এনডিএর বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোট গড়ার অন্যতম কারগির ছিলেন নীতীশ কুমার। এই জোটের প্রথম বৈঠকও পাটনায় হয়েছিল। যদিও পরে তিনি রং বদলে এনডিএতে ফিরে যান।