জাঁকিয়ে শীত কবে?

আরও আরেকটা বছর। নতুন বছর ২০২৫ (New Year 2025) কে স্বাগত জানাল গোটা বিশ্ব (World) । ফের একটি নতুন ইনিংস লিখবে এই বছর। ২০২৪ সালে বছরের শেষের দিনগুলিতে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় উষ্ণ ২৫ শে ডিসেম্বর কাটিয়েছে মানুষ। শেষ দিকটাও প্রায় ছিল একই রকম। তবে ৩১ শে ডিসেম্বর (December) রাত থেকে আবহাওয়া (Weather) তার রূপ পরিবর্তন করতে শুরু করে। আজ ১ জানুয়ারি সকাল থেকেই বেশ ঠান্ডার (Cold Wave) অনুভূতি কলকাতা সহ তার পাশ্ববর্তী জেলাগুলিতে (District)। আবহাওয়া দফতর (Weather Office) জানিয়েছে, আজ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আজ বুধবার নতুন বছরের প্রথম দিন আকাশ ভোরের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়লে পরিষ্কার হয়ে যাবে । এক ধাক্কায় পারদ পতন শহরে। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.২ ডিগ্রি । দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.৬ ডিগ্রি। চলতি সপ্তাহে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের চ প্রায় সব জেলাতেই ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে। তবে জানিয়ে রাখি প্রবল শীতের কোনও সম্ভাবনা এখনও নেই। সেই নিয়ে আশার খবর শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস। অর্থাৎ শীতপ্রেমীদের মন খারাপের কিছু নেই। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে আজ থেকে তাপমাত্রা নামবে একটু একটু করে। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি শহর কলকাতাতেও শীতের আমেজ রয়েছে। আগামী কয়েকদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতায় দিনে এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় তাপমাত্রা এক লাফে ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে। মূলত পশ্চিমের জেলাগুলিতে এক ধাক্কায় নেমে যেতে পারে পারদ। আজ থেকে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের কোনো জেলাতেই। তবে পিছু ছাড়বে না কুয়াশা। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দাপট থাকবে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায়। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও কম-বেশি কুয়াশা থাকবে। অন্যদিকে জমিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করবে উত্তরবঙ্গের মানুষ। উত্তরবঙ্গে কুয়াশার দাপট বেশি থাকবে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা থাকবে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কোচবিহার উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে থাকবে বেশিরভাগ এলাকায় কোথাও কোথাও ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে। আজ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দার্জিলিং, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদাতেও। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদায় থাকবে কুয়াশার দাপট।

নতুন বছরে কী বার্তা মমতার?

বিশ্ববাসী নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। আনন্দের পরিবেশ, উৎসবের মেজাজ। বছরের প্রথম দিনে ছুটির মেজাজ। আনন্দে মাতোয়ারা বাংলা। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে (TMC Foundation Day) বিশেষ বার্তা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২৭ পেরিয়ে ২৮ বছরে পা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। আজকের দিনে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিশেষ দিনটি স্মরণ করে বিশেষ বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নতুন বছরে উৎসবের আনন্দ, মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভাল। ২৪শের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। ২৯টি আসন জয়ী হয় তৃণমূল। যেটিকে মাইলস্টোন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মমতা। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচন। ঘর গোছাতে ব্যস্ত রাজ্যের শাসকদল। বছরের প্রথমদিন ও দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভোট ময়দানে তৃণমূলের সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন তৃণমূলনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখলেন, মা মাটি আর মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভাল, তৃণমূলের হাতেই থাকুক নতুন দিনের আলো। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূলের হাত ধরে রাজ্যে যেভাবে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, আগামীদিনও তা বহাল থাকবে, এমনটাই বুঝিয়েছেন মমতা। তৃণমূলের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলকে আশীর্বাদের জন্য ‘গণদেবতা’-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ২৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করল রাজ্যের শাসক দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার বাইপাসের কাছে তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসী। প্রতিষ্ঠা দিবসের উপলক্ষে এদিন তৃণমূল ভবনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যসভা সাংসদ দোলা সেন, দলের সহ সভাপতি জয় প্রকাশ মজুমদার, মণীশ গুপ্ত, বামফ্রন্ট আমলের প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমানে তৃণমূল নেতা মোর্ত্তজা হোসেন সহ একাধিক নেতৃত্ব। ২৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের উপলক্ষে শহীদ বেদীতে একেক করে মাল্যদান দান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তৃণমূল নেতৃত্বে। অনুষ্ঠান শেষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিক জীবনের পাশাপাশি তার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কর্মকাণ্ডের উপরে আলোকপাত করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসী। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি ১৯৯৩ সালে ১৪ জুলাই সচিত্র পত্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ২১ জুলাইয়ের আন্দোলন যখন মহাকরণের ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে আন্দোলন সংঘঠিত হয়েছিল। তখন বামফ্রন্ট সরকার নির্বিচারে গুলি ও লাঠি চালিয়ে ছিল। যারা ফলে ১৩ জন শহীদ হয়েছিলেন। এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের দাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির প্রথম বিরোধিতা জানান। বাংলার কংগ্রেসের একটা বড় অংশ দিল্লির সঙ্গে মিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিলেন। তার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়।আজকে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে সংসদীয় রীতিনীতি মেনে সরকার গঠন করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। প্রান্তিক মানুষের কাছে যাতে সরকারের ৭৩ টি প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সহকর্মীদের বলব বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করে সরকারের প্রকল্প পৌঁছে দেবেন। সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে থাকবেন। তার প্রকল্প কে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকব বলে জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।

ভারতে অসাধ্যসাধন ঘটাবেন ইলন মাস্ক?

ভারতের বুকে এখনও এমন অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম রয়েছে, যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছয়নি। তবে এবার এই সমস্যার সমাধান করার উদ্দেশ্যে মহাকাশে ‘জিস্যট-২০’ স্যাটেলাইট পাঠাল ভারত। এক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করল ইলন মাস্কের সংস্থা ‘স্পেস এক্স’। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সোমবার মধ্যরাতে আমেরিকার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে স্পেস এক্স-এর ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটের মাধ্যমে এটিকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মাত্র ৩৪ মিনিটে ভারতের এই স্যাটেলাইট মহাকাশে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সম্পূর্ণ বানিজ্যিক এই স্যাটেলাইটটির ওজন ৪,৭০০ কেজি। যদিও এর আগে ইসরো এককভাবে অনেক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ‘জিস্যাট-২০’-র ওজন অনেকটা বেশী হওয়ার কারণে এটিকে পাঠানোর জন্য স্পেস এক্স-এর সাহায্য নিতে হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল যে, এই ‘জিস্যাট-২০’ স্যাটেলাইটের আসল কাজ কী? জানা গিয়েছে যে, এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মূলত বিমানে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া হবে। এছাড়াও, এখনও ভারতের অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছয়নি। সেই সমস্যার ঘটানো এই মিশনের উদ্দেশ্য হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ বছর ধরে এই স্যাটেলাইট পরিষেবা দেবে। ইসরো জানিয়েছে যে, সফলভাবে কক্ষপথে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।